Ajker Patrika

অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো নিষেধ

মুফতি আবু দারদা
অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো নিষেধ

কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাই প্রত্যেকের উচিত, নিজের ভুল শুধরে নিতে মনোযোগী হওয়া। দুঃখজনক সত্য হলো, মানুষ নিজের ভুলের চেয়ে অন্যের ভুল খুঁজতে বেশি আগ্রহী। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ ভাইয়ের চোখে পড়া সামান্য ময়লাও দেখতে পায়; কিন্তু নিজের চোখে পড়া খড়কুটাও দেখতে পায় না।’ (ইবনে হিব্বান, আদাবুল মুফরাদ)

ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো গুনাহের কাজ। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। মহানবী (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন এবং এমনটি যারা করবে, তাদের কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা দোষ-ত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে, আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারও দোষ-ত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় ফাঁস করবে, আল্লাহ তার গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবেন। এমনকি এ কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)

দোষ খোঁজার উদাহরণ হতে পারে—মানুষের ব্যক্তিগত পাপাচার ও দোষ অনুসন্ধান করা, ক্ষতি করা, ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য কারও পেছনে লেগে থাকা ও গোয়েন্দাগিরি করা, লুকিয়ে কারও কথা শোনা, ফেসবুকের আইডি হ্যাক করা, পাসওয়ার্ড চুরি করা, ইনবক্স চেক করা, গোপনীয়ভাবে কারও ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ করা, কথা রেকর্ড করা ইত্যাদি।

তবে দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে এবং অপরাধী ধরতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে অনুসন্ধান চালানো ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত