Ajker Patrika

নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৯
নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীর আছাদনগর শরীফপুর সেতুর নিচে অবৈধভাবে মাছ ধরা থামছে না। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছেন জেলেরা। এতে প্রতিদিন নানা প্রজাতির পোনা মারা পড়ছে। এদিকে নদীতে অবৈধভাবে বেড়া দেওয়ায় পানির প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, আছাদনগর শরীফপুর সেতুর নিচে অবৈধভাবে বেড়া দিয়ে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরছেন অনেক জেলে। যার ফলে দেশীয় কই, শিং, বোয়াল, মাগুর, টাকি ও পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তের পথে। এতে তিতাস নদীর স্রোতও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

জেলে গোলাপদা বলেন, ‘সরকার অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তারপরও পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হয়। তাই মহাজনের কথায় মাছ ধরতে আসলাম।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় দেখেছিলাম তিতাস নদী অনেক খুস (গভীর)। আমাদের বাপ-দাদারা এই তিতাস নদী থেকে প্রচুর মাছ ধরতো। দিনে দিনে দুই পারের দখল হয়ে যাওয়ায় নদীর স্রোত কমে যাচ্ছে। এ সব কারণে এখন মাছ পাওয়া যায় না।’

শাহ রাহাত আলী কলেজে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অবৈধ ভাবে মাছ ধরার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জেলেদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও তাঁরা গোপনে জাল দিয়ে মাছ ধরে যাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনিবন্ধিত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গরিব জেলেদের সহযোগিতার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

আওয়ামী লীগকেও পথভ্রষ্ট করেছেন শেখ হাসিনা

গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের বিবৃতিতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত