ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
চন্দ্র ও সূর্য এমন দুটি সৃষ্টি, যেগুলোর কারণে আমরা সময় হিসাব করতে পারি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী চলে।’ (সুরা আর-রহমান: ৫) এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নববর্ষ পেয়ে থাকি। নববর্ষ উদ্যাপন প্রতিটি জাতিসত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। বিভিন্ন কারুকার্য ও রংবেরঙের আলোকসজ্জা ব্যবহার করে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। ছোট-বড় সবার মধ্যে বিরাজ করে আনন্দের বন্যা। কোনো কোনো অঞ্চলে মেলা বসিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। কিন্তু ইসলামে এভাবে অনুষ্ঠান পালন করার কোনো ভিত্তি নেই। নেই কোনো নির্দেশনা। তাই বলে ইসলাম এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়নি। কারণ মহানবী (সা.) নতুন বছরে পদার্পণ করলে মহান আল্লাহর দরবারে অধিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। কারণ, তাঁর দয়া ও বরকতে মানুষ পরবর্তী বছরে পদার্পণ করতে সক্ষম হয়।
এরপর মহানবী (সা.) বিগত বছরকে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করতেন। তাতে কত ভুলত্রুটি হয়েছে, কোন কোন কাজ করার ইচ্ছা ছিল, কোন কোনটি সম্পাদিত হয়েছে, কোন কোনটি সম্পাদিত হয়নি এবং তা না হওয়ার কারণ কী ইত্যাদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করতেন। বিগত বছরের ভুল নিয়ে সমালোচনা করে তিনি মহান রবের কাছে ক্ষমা চাইতেন। অনুরূপ ভুল যেন আর ভবিষ্যতে না হয় অথবা সাধ্যাতীত বোঝা বা দায়িত্ব যেন ঘাড়ে এসে না পড়ে, সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
তাঁর দোয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমাদের রব, আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের মার্জনা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)
ভুল সংশোধন করার পাশাপাশি মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে নতুন বছরে কাজ করার তাওফিক চাইতেন এবং সব সময় তাঁর ওপর ভরসা করতেন। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.)-এর দোয়া উদ্ধৃত করে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি আমার সাধ্যমতো সংশোধন চাই। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোনো তাওফিক নেই। আমি তাঁরই ওপর ভরসা করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই।’ (সুরা হুদ: ৮৮)
অপর দিকে নববর্ষ উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা, বিভিন্ন স্থাপনা নানা কারুকার্যে সজ্জিত করা ছাড়াই আমরা অনুষ্ঠানটি সম্পাদন করতে পারি। কারণ এগুলোর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। বরং এসব কাজ করা অপচয়ের শামিল। আর যারা অপচয় করে, তারা শয়তানের ভাই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় করো না, নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা ইসরা: ২৭) তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা খাও, পান করো কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে গানবাজনা করা, নাচানাচি করা, বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ পরিধান করা, অশ্লীল কাজ করা হারাম। কেননা এসব কাজ যেমন অন্য সময় করা বৈধ নয় তেমনি নববর্ষ উপলক্ষেও করা বৈধ নয়। কোনো মুসলমানের পক্ষে এমন কাজ করা অনুচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারও সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’
চন্দ্র-সূর্যের হিসাব অনুযায়ী একটি বছর চলে যাওয়ার পর আরেকটি বছর আসবে—এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুনত্বের কিছু নেই, জমকালো উদ্যাপনও এখানে অপচয়ের শামিল। বরং ভাবতে হবে, আমার জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। তাই সময়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে নবোদ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে হবে।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
চন্দ্র ও সূর্য এমন দুটি সৃষ্টি, যেগুলোর কারণে আমরা সময় হিসাব করতে পারি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী চলে।’ (সুরা আর-রহমান: ৫) এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নববর্ষ পেয়ে থাকি। নববর্ষ উদ্যাপন প্রতিটি জাতিসত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। বিভিন্ন কারুকার্য ও রংবেরঙের আলোকসজ্জা ব্যবহার করে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। ছোট-বড় সবার মধ্যে বিরাজ করে আনন্দের বন্যা। কোনো কোনো অঞ্চলে মেলা বসিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। কিন্তু ইসলামে এভাবে অনুষ্ঠান পালন করার কোনো ভিত্তি নেই। নেই কোনো নির্দেশনা। তাই বলে ইসলাম এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়নি। কারণ মহানবী (সা.) নতুন বছরে পদার্পণ করলে মহান আল্লাহর দরবারে অধিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। কারণ, তাঁর দয়া ও বরকতে মানুষ পরবর্তী বছরে পদার্পণ করতে সক্ষম হয়।
এরপর মহানবী (সা.) বিগত বছরকে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করতেন। তাতে কত ভুলত্রুটি হয়েছে, কোন কোন কাজ করার ইচ্ছা ছিল, কোন কোনটি সম্পাদিত হয়েছে, কোন কোনটি সম্পাদিত হয়নি এবং তা না হওয়ার কারণ কী ইত্যাদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করতেন। বিগত বছরের ভুল নিয়ে সমালোচনা করে তিনি মহান রবের কাছে ক্ষমা চাইতেন। অনুরূপ ভুল যেন আর ভবিষ্যতে না হয় অথবা সাধ্যাতীত বোঝা বা দায়িত্ব যেন ঘাড়ে এসে না পড়ে, সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
তাঁর দোয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমাদের রব, আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের মার্জনা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)
ভুল সংশোধন করার পাশাপাশি মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে নতুন বছরে কাজ করার তাওফিক চাইতেন এবং সব সময় তাঁর ওপর ভরসা করতেন। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.)-এর দোয়া উদ্ধৃত করে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি আমার সাধ্যমতো সংশোধন চাই। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোনো তাওফিক নেই। আমি তাঁরই ওপর ভরসা করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই।’ (সুরা হুদ: ৮৮)
অপর দিকে নববর্ষ উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা, বিভিন্ন স্থাপনা নানা কারুকার্যে সজ্জিত করা ছাড়াই আমরা অনুষ্ঠানটি সম্পাদন করতে পারি। কারণ এগুলোর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। বরং এসব কাজ করা অপচয়ের শামিল। আর যারা অপচয় করে, তারা শয়তানের ভাই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় করো না, নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা ইসরা: ২৭) তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা খাও, পান করো কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে গানবাজনা করা, নাচানাচি করা, বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ পরিধান করা, অশ্লীল কাজ করা হারাম। কেননা এসব কাজ যেমন অন্য সময় করা বৈধ নয় তেমনি নববর্ষ উপলক্ষেও করা বৈধ নয়। কোনো মুসলমানের পক্ষে এমন কাজ করা অনুচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারও সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’
চন্দ্র-সূর্যের হিসাব অনুযায়ী একটি বছর চলে যাওয়ার পর আরেকটি বছর আসবে—এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুনত্বের কিছু নেই, জমকালো উদ্যাপনও এখানে অপচয়ের শামিল। বরং ভাবতে হবে, আমার জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। তাই সময়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে নবোদ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে হবে।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪