Ajker Patrika

স্বজনের কান্না থামছে না খোকনের অবস্থার উন্নতি

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
স্বজনের কান্না থামছে না খোকনের অবস্থার উন্নতি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পরিবারের মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তানসহ সব হারানো খোকন বসাকের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি এখন কথা বলতে পারছেন। হেঁটে বাথরুমেও যেতে পারছেন। হাতের আঙুল দগ্ধ হওয়ায় এখনো নিজ হাতে খাবার খেতে পারছেন না। তবে নড়াচড়া করতে পারছেন।

গতকাল শনিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলার পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, খোকনের শরীরের অবস্থা যতই স্বাভাবিক হচ্ছে, মনের অবস্থা ততই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মা-বাবা, স্ত্রী আর সন্তানদের কথা মনে করে বিমর্ষ হয়ে পড়ছেন। তাঁদের বাঁচাতে না পারার ব্যর্থতায় নিজেকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কাতর হয়ে পড়ছেন। মনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ঝড় তিনি কীভাবে সামাল দেবেন, তা নিয়ে এবার শঙ্কায় আছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘খোকন বসাককে আমরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় পেয়েছিলাম। তাঁর শ্বাসনালি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। যখন আগুনের তাপে শ্বাসনালি পুড়ে যায় বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকে। খোকন বসাক চিকিৎসক ও নার্সদের গত দুই দিনের নিবিড় পরিচর্যায় সেই সংকট থেকে সেরে উঠেছেন। আশা করছি, খুব দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।’

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন আহত খোকন বসাকের বিষয়ে সুখবর শোনালেও ওই বাড়িতে বাতাসে এখনো লাশের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানান।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাঙ্গুনিয়ায় পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বসাক পাড়ায় খোকন বসাকের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা যান খোকন বসাকের বাবা কাঙ্গাল বসাক (৭০), মা ললিতা বসাক (৬২), স্ত্রী লাকি বসাক (৩৫), ছেলে সৌরভ বসাক (১২) ও মেয়ে সায়ন্তী বসাক হিমাদ্রী (৬)। গত শুক্রবার বিকেলে তাঁদের সৎকার হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত