Ajker Patrika

ইজারা না নিয়ে খাজনা আদায়ের অভিযোগ

মো. ইব্রাহিম, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
ইজারা না নিয়ে খাজনা আদায়ের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজার ইজারা না নিয়ে খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কালকিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনসুর মোল্লার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। গত বছর তিনি বাজার ইজারা নিলেও এ বছর ইজারাই দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

বাজারের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আলম ও ফুচকা বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, প্রতি হাটের দিন (শুক্র ও মঙ্গলবার) তাঁদের কাছ থেকে ২০-৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। সবজি বিক্রেতা আবদুল মতিন, বাহার ও শরিয়ত উল্যাহ বলেন, প্রতি হাটে তাঁদের কাছ থেকে ৫০-৮০ টাকা করে আদায় করা হয়।

জহির নামের একজন বলেন, কবুতরের হাটে শতকরা ১০ টাকা খাজনা দিতে হয়। ছাগল ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারী ও মিরাজ ব্যাপারী বলেন, আগে যেমন খাজনা নিত, এখনো নেয়। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খাজনা নেয়।

জানা গেছে, সর্বশেষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দে ৬ লাখ টাকা ইজারা মূল্যে মনসুর মোল্লা মতিরহাট বাজার ডাক নেন। ১৪২৯ বঙ্গাব্দে সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯২৮ টাকা।

নীতিমালা অনুযায়ী, দরপত্রের সর্বোচ্চ দর গ্রহণ করতে হবে এবং পূর্ববর্তী তিন বছরের সর্বোচ্চ ইজারা মূল্য থেকে কম হলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার দরপত্র আহ্বান করেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়া গেলে নতুন বছরে খাজনা আদায়ের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। যথাযথ ইজারা মূল্য না হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

খাস আদায়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সভাপতি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদস্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি প্রয়োজন হলে কোনো সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

মতিরহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক ইউএনও, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মনসুর মোল্লা মিলে অবৈধভাবে লেনদেনের মাধ্যমে বাজার ইজারা দিয়েছেন, নিয়ম মানা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘কমিটি হয়েছে কি না জানি না। আমি এই কমিটির সদস্য কি না জানি না, আমাকে জানায়নি। খাজনা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও অফিস আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি।’

মতিরহাট বাজারের সাবেক ইজারাদার মনসুর মোল্লার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।

কালকিনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে খাজনা তুলে ছয় মাসে ৭০ হাজার ৩৩৫ টাকা সরকারি হিসাবে জমা দিয়েছেন।

ইউএনও সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ‘আমি কমলনগরে নতুন যোগদান করলাম, বিষয়টা জানব। তবে নীতিমালা মেনে কাজ হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইজারাসংক্রান্ত প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত