সম্পাদকীয়
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে চাঁদপুরে ‘মুকুল ফৌজ শিবির’ অনুষ্ঠিত হয়। নানা কারণেই তা ছিল ঐতিহাসিক আয়োজন। সেই সময় যাঁরা কিশোর ছিলেন এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন কামরুল হাসান, আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন, রফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, নূরুল কাদের খান, জিয়াউল হক প্রমুখ।
সেই শিবিরে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরই লেখা ও আঁকা দিয়ে বের হয়েছিল একটি হাতে লেখা পত্রিকা। পুরো পত্রিকাটি শিবিরকে কেন্দ্র করে এবং শিবিরে যোগদানকারীদের লেখা। পত্রিকায় হাতের লেখাটি ছিল আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীনের, আর তার ছবিগুলো এঁকেছিলেন কামরুল হাসান। পত্রিকা তো তৈরি হলো, কিন্তু জয়নুল আবেদিনকে না দেখিয়ে তো বাঁধাই করতে দেওয়া যায় না। তাই জয়নুল আবেদিনের আবদুল হাদী লেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো পত্রিকাটি। পত্রিকার সবকিছু দেখে মুগ্ধ হলেন শিল্পাচার্য। তিনি সোৎসাহে বললেন, ‘এই পত্রিকার প্রচ্ছদ আমি এঁকে দেব।’ পতাকার নিচে এক কিশোর দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছে, এমন একটা প্রচ্ছদ আঁকলেন জয়নুল আবেদিন। পরে যখন কামরুল হাসান মুকুল ফৌজ ত্যাগ করেন, তখন মুকুল ফৌজ কর্তৃপক্ষকে সেই পত্রিকাটি দিয়ে এসেছিলেন। তা আর সংরক্ষিত হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তাঁর কিছু জানা ছিল না।
তবে, তারও অনেক আগে, দেশভাগের আগেই, ১৯৪৩ সালে এমনই একটি পত্রিকা বের করেছিলেন কামরুল হাসানেরা। সেই পত্রিকায় হাতের লেখা ছিল কবি হাবীবুর রহমানের। তিনিই ছিলেন তার সম্পাদক। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘আবীর’। সে পত্রিকার প্রচ্ছদও এঁকেছিলেন জয়নুল আবেদিন। মা ও শিশুর ছবি দিয়ে শিল্পাচার্যের অনিন্দ্যসুন্দর একটি স্কেচ আছে সেখানেও। কামরুল হাসান সে পত্রিকাটি আগলে রেখেছিলেন। এরপর তিনি এটি জাতীয় জাদুঘরে দান করেন। প্রথম যৌবন থেকেই জয়নুল আবেদিন যে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারই প্রমাণ এই কাজ দুটো।
সূত্র: কামরুল হাসান, বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলন ও আমার কথা, পৃষ্ঠা ৮৭
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে চাঁদপুরে ‘মুকুল ফৌজ শিবির’ অনুষ্ঠিত হয়। নানা কারণেই তা ছিল ঐতিহাসিক আয়োজন। সেই সময় যাঁরা কিশোর ছিলেন এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন কামরুল হাসান, আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন, রফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, নূরুল কাদের খান, জিয়াউল হক প্রমুখ।
সেই শিবিরে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরই লেখা ও আঁকা দিয়ে বের হয়েছিল একটি হাতে লেখা পত্রিকা। পুরো পত্রিকাটি শিবিরকে কেন্দ্র করে এবং শিবিরে যোগদানকারীদের লেখা। পত্রিকায় হাতের লেখাটি ছিল আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীনের, আর তার ছবিগুলো এঁকেছিলেন কামরুল হাসান। পত্রিকা তো তৈরি হলো, কিন্তু জয়নুল আবেদিনকে না দেখিয়ে তো বাঁধাই করতে দেওয়া যায় না। তাই জয়নুল আবেদিনের আবদুল হাদী লেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো পত্রিকাটি। পত্রিকার সবকিছু দেখে মুগ্ধ হলেন শিল্পাচার্য। তিনি সোৎসাহে বললেন, ‘এই পত্রিকার প্রচ্ছদ আমি এঁকে দেব।’ পতাকার নিচে এক কিশোর দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছে, এমন একটা প্রচ্ছদ আঁকলেন জয়নুল আবেদিন। পরে যখন কামরুল হাসান মুকুল ফৌজ ত্যাগ করেন, তখন মুকুল ফৌজ কর্তৃপক্ষকে সেই পত্রিকাটি দিয়ে এসেছিলেন। তা আর সংরক্ষিত হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তাঁর কিছু জানা ছিল না।
তবে, তারও অনেক আগে, দেশভাগের আগেই, ১৯৪৩ সালে এমনই একটি পত্রিকা বের করেছিলেন কামরুল হাসানেরা। সেই পত্রিকায় হাতের লেখা ছিল কবি হাবীবুর রহমানের। তিনিই ছিলেন তার সম্পাদক। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘আবীর’। সে পত্রিকার প্রচ্ছদও এঁকেছিলেন জয়নুল আবেদিন। মা ও শিশুর ছবি দিয়ে শিল্পাচার্যের অনিন্দ্যসুন্দর একটি স্কেচ আছে সেখানেও। কামরুল হাসান সে পত্রিকাটি আগলে রেখেছিলেন। এরপর তিনি এটি জাতীয় জাদুঘরে দান করেন। প্রথম যৌবন থেকেই জয়নুল আবেদিন যে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারই প্রমাণ এই কাজ দুটো।
সূত্র: কামরুল হাসান, বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলন ও আমার কথা, পৃষ্ঠা ৮৭
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫