Ajker Patrika

বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ

মো. বায়োজিদ বিন ওয়াহিদ, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ০৮
Thumbnail image

একসময় শখের বশে বাড়ির ছাদ কিংবা টবে ক্যাপসিকাম লাগাতেন শৌখিন মানুষ। কিন্তু সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে সবজিটির চাষ। এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সবজিটির চাষের উপযোগী। ফলে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।

জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে, দেশীয় সবজির পাশাপাশি উপজেলায় ক্যাপসিকামের চাষ হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও এর চাষ ছড়িয়ে দিলে কমবে আমদানি নির্ভরতা। সবজিটির চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করা হচ্ছে।

জামালগঞ্জের সদর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আবুল কালাম নতুন কিছু করার প্রত্যয়ে পাঁচ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন ক্যাপসিকাম। ইতিমধ্যে গাছে সবুজ ক্যাপসিকাম ধরেছে। নিবিড় পরিচর্যা ও সময়মতো ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে এ সবজির চাষ সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদিত ক্যাপসিক্যাম বাজার নিশ্চিত করা। সফল চাষ দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন ক্যাপসিকাম চাষে।’

ক্যাপসিকাম চাষাবাদের বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘ক্যাপসিকামের বীজ রোপণ করার এক মাস পর চারা তৈরি হয়। চারা উপযুক্ত হওয়ার পর জমি তৈরি করতে হয়। চারা রোপণের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে গাছের চারা রোপণ করতে হয়।

বীজ রোপণের পর গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। আর ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হয়। কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় গাছ থেকে।

আবুল কালাম আরও বলেন, ‘এ বছর অল্প পরিসরে তিনি এ সবজির চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় প্রতিটি ফলের ওজনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও ভালো। আগামীতে কয়েক গুণ বাড়িয়ে এ সবজির চাষ করব।’

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘জামালগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। মাঠ পরিদর্শন করে এসেছি। এটি লাভজনক চাষ। চাহিদাও রয়েছে বাজারে। উপজেলাব্যাপী ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত