Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

সংঘাত ছেড়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

সংঘাত ছেড়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তাদের এই সংঘাতে প্রায়ই ঝরছে রক্ত। তবে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে আধিপত্যের এই লড়াই ছেড়ে একসঙ্গে কাজ করতে সংগঠন দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল। সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

২৪ বছরেও পার্বত্য চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি, বিভিন্ন মহলের এমন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। সেখানে যেসব বিষয় বাস্তবায়নাধীন, সেগুলো মাথায় রাখতে হবে; সেগুলো গ্রহণ করতে হবে।’

চুক্তিটি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারকে পুরোপুরি আন্তরিক মনে হয় কি? এ প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল বলেন, অবশ্যই আন্তরিক।

গঠনের পর গত ২৫ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্জন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জিয়া সরকার, এরশাদসহ কত সরকারই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া কেউ তো পাহাড়িদের কথা চিন্তা করেনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। একটি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় মানুষের কল্যাণের জন্য। নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় তার উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। পশ্চাৎপদ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই মন্ত্রণালয় অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।

মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাকে আরও কার্যকর করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘পরিকল্পনা ছাড়া তো সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। এখানে সমস্যাও থাকবে। এসব সমস্যা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই আসল মজা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে এই মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মকে অধিকতর উন্নত করা এবং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’

তিন পার্বত্য জেলা এখন দেশের মানুষের কাছে অন্যতম ভ্রমণস্থল। ওই অঞ্চলে পর্যটনের আরও বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেখেন কি না? জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘পর্যটনের উন্নয়নে তেমন কোনো বাধা নেই। বরং তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটনের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তিন জেলায় তিন ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে। স্থানীয়দের সুযোগ-সুবিধা মাথায় রেখে পর্যটনের বিকাশে সেখানে আরও বিনিয়োগ করা হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত