Ajker Patrika

তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী দুই মাস, ভোগান্তি চরমে

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী দুই মাস, ভোগান্তি চরমে

ময়মনসিংহ মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বলাশপুর ও ভাটিকাশর এলাকায় দুই মাস ধরে পানিবন্দী প্রায় তিন হাজার পরিবার। ড্রেন সংস্কারের অভাবে পানি প্রবাহিত না হওয়ায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। এ নিয়ে কাউন্সিলররা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। মেয়র বলেছেন, চলমান কাজ সম্পন্ন হলেই সেখানকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।

জানা গেছে, দুই মাস ধরে পানিবন্দী আলিয়া মাদ্রাসা রোডের বলাশপুর, ভাটিকাশরসহ আশপাশের প্রায় তিন হাজার পরিবার। সামান্য বৃষ্টি হলেই হলেই বাসাভাড়ি এবং মসজিদ মাদ্রাসায় পানি ওঠে। তিন বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারণে দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না। রাস্তায় হাঁটুপানি জমে থাকায় স্কুল-কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা আফরোজা আক্তার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের মধ্যে থেকে আমরা চরমভাবে অবহেলিত। দুই মাসের বেশি হবে পানির মধ্যে বসবাস করছি। কেউ একবার খোঁজও নেয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর দেখেও দেখছে না। অনেকের পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ হচ্ছে।

লিটন হোসেন নামের আরেকজন বলেন, পরিকল্পিতভাবে ড্রেন সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি যাওয়ার কোনো পথ নেই। তাই বৃষ্টি হলে সেই পানি বাসাবাড়িতে ওঠে। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাবা জায়গা কিনে শখ করে বাসা করছে শহরে থাকবেন বলে। এখন পানির জন্য ঘরে বসেও থাকা যায় না। প্রয়োজনের তাগিদে হাঁটুপানি ভেঙে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে। পায়ে ফোসকা পড়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না। ’

শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘স্কুল থেকে এসে বাসার সামনে বিকেলে যে একটু খেলাধুলা করব, সেই অবস্থা নেই। পানি ভেঙে স্কুলে যেতে হয়, আসতে হয়। পরে ঘরে বসে থাকি।’

ইজিবাইকচালক হোসেন আলী বলেন, ‘রাস্তার মধ্যে কয়েক মাস ধরে হাঁটুপানি। যাত্রীদের অনুরোধে একদিন অটো নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর পানিতে ভিজে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। যেহেতু তারা সিটি করপোরেশনে কর দিয়ে বসবাস করছে, সেহেতু বিষয়টি কর্তৃপক্ষ সুরাহা করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন মণ্ডল বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অচিরেই লাঘব হবে। ড্রেন সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে আগে ড্রেন নির্মাণের কারণেই জলাবদ্ধতা হয়েছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সামীমা আক্তার বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরের গাফিলতির কারণে শত শত মানুষ পানিবন্দী। আমি সময় পেলেই মানুষের ভোগান্তি দেখার জন্য ছুটে যাই। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি।

জলাবদ্ধতার বিষয়টি নজরে আছে জানিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘চলমান কাজ সম্পন্ন হলেই সেখানকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত