Ajker Patrika

ডেঙ্গু রোগী বাড়ছেই মশা নিধনে জোর মসিকের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ২৫
ডেঙ্গু রোগী বাড়ছেই মশা নিধনে জোর মসিকের

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে হাসপাতালটিতে ২৫০ জনের মতো লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বাড়ায় মসক নিধনে তোড়জোড় শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।

বর্তমানে মমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ৬ ইউনিটে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় আতঙ্কে অন্য রোগীরা। 
 তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড গঠনের কথা জানিয়েছেন পরিচালক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ২৫০ জনের মতো লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।

তাদের মধ্যে ময়মনসিংহের স্থানীয় ১৫ জন রয়েছে। অন্যরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুটি শিশু, তিনজন নারী এবং বাকিরা পুরুষ। চিকিৎসকেরা বলছেন, যারা আক্রান্ত তাদের অবস্থা ভালো রয়েছে। এ সময়ে বৃষ্টির কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের রাখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরেও থাকছে না রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর সংখ্যা আরও কিছু বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করা হবে।

এদিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে মসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডকে ৩টি জোনে ভাগ করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। মশকনিধনে কাজ করছে ২২টি দল। প্রতিদিন ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে।

মমেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় থেকে লেখাপড়া করি। সম্প্রতি আমার জ্বর ও শরীর ব্যথা অনুভব করি। সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলমাকান্দায় পরীক্ষা করলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। দিন দিন আমার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হই।

তবে, এখন অবস্থার অবনতি বা উন্নতি কিছুই বুঝতে পারছি না।’

একই ওয়ার্ডে অন্য রোগে আক্রান্ত ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা বেশিক্ষণ মশারির ভেতর না থেকে বাইরেই থাকছে।’

মমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কয়েক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগী আরও বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

মসিকের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগী বাড়ায় মশকনিধনে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত