Ajker Patrika

কাটাখালীর মেয়র আব্বাস ৩ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৫২
কাটাখালীর মেয়র আব্বাস ৩ দিনের রিমান্ডে

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক শংকর কুমার গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মেয়র আব্বাসের ১০

দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। এ আবেদনের শুনানির জন্য গতকাল দুপুরে আব্বাস আলীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। এরপর আসামির উপস্থিতিতেই শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসলাম সরকার আদালতকে বলেন, মেয়র আব্বাস আলী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন। পরে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি বলেছেন, এক বড় হুজুরের পরামর্শে তিনি ম্যুরাল নির্মাণ থেকে সরে এসে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। কে সেই বড় হুজুর, সেটা জানা দরকার। এ জন্য আব্বাসকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে মেয়র আব্বাসের আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহিদী আদালতকে বলেন, মেয়র আব্বাস তাঁর নিজের ডিভাইস থেকে ম্যুরাল নিয়ে বক্তব্য ছড়াননি। তিনি ফেসবুক লাইভে এসেই স্বীকার করেছিলেন যে, ওই কথোপকথন তাঁর। সাধারণত ‘ক্লুলেস’ মামলায় সবশেষ ‘চিকিৎসা’ হিসেবে পুলিশি রিমান্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় শুধু একটা ফরেনসিক রিপোর্ট নিয়েই পুলিশ তদন্ত শেষ করতে পারে। রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা নেই।

তবে উভয় পক্ষের কথা শোনার পর আদালত মেয়র আব্বাসের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আব্বাসের পক্ষে তাঁর জামিনেরও আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এ ছাড়া আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। জেলকোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আদালত আদেশে বলেছেন। রিমান্ড শুনানির সময় মেয়র আব্বাস আলী আদালতের কাঠগড়ায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুনানি শেষেই তাঁকে আবার প্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি মেয়র আব্বাসের ঘরোয়া বৈঠকের দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। একটি অডিওতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে ‘পাপ হবে’ মন্তব্য করতে শোনা যায় আব্বাসকে। এই অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাঁকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পৌরসভার সব কাউন্সিলর মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার এড়াতে মেয়র আব্বাস ঢাকায় একটি হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে থাকেন। ১ ডিসেম্বর ভোরে র‍্যাব সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সেদিন তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করেছি, এখন আমরাই বড় মাফিয়া: এনসিপি নেতা জুবাইরুল

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত