সম্পাদকীয়
৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটা অর্থমন্ত্রী হিসেবে যেমন তাঁর প্রথম বাজেট, তেমনি শেখ হাসিনার টানা চার মেয়াদের নতুন সরকারেরও প্রথম বাজেট।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭১৯ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অগ্রগতি। স্বাধীনতার ৫২ বছরে বহুদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ? তবে বাজেট ঘোষণার পর থেকেই নিয়ম অনুযায়ী এর পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত প্রকাশ হচ্ছে। সরকারপক্ষ মনে করছে, সবদিক বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেটই অর্থমন্ত্রী পেশ করেছেন।
অন্যদিকে, যাঁরা সরকারে নেই, তাঁরা বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না। বলা হচ্ছে, নতুন বাজেটে চলমান সংকট কাটানোর দিকনির্দেশনা নেই। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করের যে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি আরও বাড়বে। এ বছরের শেষ দিকে, অর্থাৎ ৬ মাস পর মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে অর্থমন্ত্রীর আশাবাদের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ।
সংসদের ভেতরে-বাইরে আলোচনার পর বাজেট পাস হবে। এখন বাজেট সম্পর্কে বলার কথা এটুকুই যে বাজেট হলো সরকারের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা। সরকার সারা বছর কী কী কাজ করতে চায়, সেই সব করার জন্য কত ব্যয় হবে এবং সেই অর্থ কোথা থেকে, কীভাবে জোগাড় হবে তা-ই বাজেটে উল্লেখ করা হয়। যাঁদের নিয়ে সরকার, তাঁরা কিন্তু নিজের টাকা দিয়ে দেশের কাজ করেন না; বরং উল্টো তাঁরা কাজের জন্য সরকারি তহবিল থেকে টাকা নেন, মানে বেতন-ভাতা ইত্যাদি না নিলে তাঁদের জীবন চলে না।
প্রশ্ন হলো, সরকারের তহবিলটা কোত্থেকে আসে? একটা কথা আছে, লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন? এই গৌরী সেন বাবুর সন্ধান আবার কারও জানা নেই। আসলে দেশের মানুষের খাজনা-ট্যাক্সের পয়সায় তৈরি হয় সরকারি তহবিল। সরকার দেশের উন্নয়ন করার জন্য বিদেশ থেকেও ধারকর্জ করে থাকে। তবে এই ধারকর্জ কেউ লিল্লাহ বা খয়রাত হিসেবে দেয় না, সুদে-আসলে তা পরিশোধ করতে হয়। এই পরিশোধের দায়ও কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষেরই কাঁধে বর্তায়।
দেশে বাস করতে হলে নাগরিকদের খাজনা-ট্যাক্স দিতে হয়। বিনিময়ে দেশ পরিচালকেরা নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। বিষয়টা ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেলের মতো’, অর্থাৎ আপনি টাকা দেবেন, তারপর সরকার আপনার জন্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল ইত্যাদি বানিয়ে দেবে। আপনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এটা ঠিক যে ট্যাক্স, খাজনা, ভ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে নাগরিকেরা সরকারি কোষাগারে যা জমা দেন, তার সবই সেবার নামে ফেরত পাওয়ার হকদার তাঁরা কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার তেলা মাথায় বেশি তেল দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে থাকে। এখানে হয়তো যুক্তি এটাই যে তেলা মাথায় তেল দিতে কম তেল লাগে! এবারের বাজেটেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটা অর্থমন্ত্রী হিসেবে যেমন তাঁর প্রথম বাজেট, তেমনি শেখ হাসিনার টানা চার মেয়াদের নতুন সরকারেরও প্রথম বাজেট।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭১৯ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অগ্রগতি। স্বাধীনতার ৫২ বছরে বহুদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ? তবে বাজেট ঘোষণার পর থেকেই নিয়ম অনুযায়ী এর পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত প্রকাশ হচ্ছে। সরকারপক্ষ মনে করছে, সবদিক বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেটই অর্থমন্ত্রী পেশ করেছেন।
অন্যদিকে, যাঁরা সরকারে নেই, তাঁরা বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না। বলা হচ্ছে, নতুন বাজেটে চলমান সংকট কাটানোর দিকনির্দেশনা নেই। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করের যে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি আরও বাড়বে। এ বছরের শেষ দিকে, অর্থাৎ ৬ মাস পর মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে অর্থমন্ত্রীর আশাবাদের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ।
সংসদের ভেতরে-বাইরে আলোচনার পর বাজেট পাস হবে। এখন বাজেট সম্পর্কে বলার কথা এটুকুই যে বাজেট হলো সরকারের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা। সরকার সারা বছর কী কী কাজ করতে চায়, সেই সব করার জন্য কত ব্যয় হবে এবং সেই অর্থ কোথা থেকে, কীভাবে জোগাড় হবে তা-ই বাজেটে উল্লেখ করা হয়। যাঁদের নিয়ে সরকার, তাঁরা কিন্তু নিজের টাকা দিয়ে দেশের কাজ করেন না; বরং উল্টো তাঁরা কাজের জন্য সরকারি তহবিল থেকে টাকা নেন, মানে বেতন-ভাতা ইত্যাদি না নিলে তাঁদের জীবন চলে না।
প্রশ্ন হলো, সরকারের তহবিলটা কোত্থেকে আসে? একটা কথা আছে, লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন? এই গৌরী সেন বাবুর সন্ধান আবার কারও জানা নেই। আসলে দেশের মানুষের খাজনা-ট্যাক্সের পয়সায় তৈরি হয় সরকারি তহবিল। সরকার দেশের উন্নয়ন করার জন্য বিদেশ থেকেও ধারকর্জ করে থাকে। তবে এই ধারকর্জ কেউ লিল্লাহ বা খয়রাত হিসেবে দেয় না, সুদে-আসলে তা পরিশোধ করতে হয়। এই পরিশোধের দায়ও কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষেরই কাঁধে বর্তায়।
দেশে বাস করতে হলে নাগরিকদের খাজনা-ট্যাক্স দিতে হয়। বিনিময়ে দেশ পরিচালকেরা নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। বিষয়টা ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেলের মতো’, অর্থাৎ আপনি টাকা দেবেন, তারপর সরকার আপনার জন্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল ইত্যাদি বানিয়ে দেবে। আপনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এটা ঠিক যে ট্যাক্স, খাজনা, ভ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে নাগরিকেরা সরকারি কোষাগারে যা জমা দেন, তার সবই সেবার নামে ফেরত পাওয়ার হকদার তাঁরা কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার তেলা মাথায় বেশি তেল দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে থাকে। এখানে হয়তো যুক্তি এটাই যে তেলা মাথায় তেল দিতে কম তেল লাগে! এবারের বাজেটেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫