Ajker Patrika

দেড় বছরে রডে মরিচা অতঃপর কাজ শুরু

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
দেড় বছরে রডে মরিচা অতঃপর কাজ শুরু

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকায় সেতুর কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার এক বছর পর আবার কাজ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন করে কাজ শুরু হওয়া সেতুটির নির্মাণকাজ গত মার্চে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এদিকে রডে মরিচা পড়ে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার সময়সীমা পার হলেও এখনো সেতুর অর্ধেকের কম কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে লাপাত্তা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স। পরে এলজিইডির হস্তক্ষেপে আবার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে সেতু নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা করা হয়। খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে মাঝপথে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরে এলজিইডির হস্তক্ষেপে গত সপ্তাহে আবার কাজ শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লামকুপাড়া ও আশপাশের এলাকার মানুষের কালাডেবা বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সেতু এটি। প্রায় দুই হাজার পরিবারের বাস এই এলাকায়। নতুন করে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হলেও স্থানীয়দের মনে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার ও রড গাঁথুনির পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।

রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বশর বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত কাজে গাফিলতি করেই যায়। ধীরগতিতে কাজ করছে, তবে এলজিইডির দায়িত্ব সেটা দেখাশোনা করা। খালের পানি চলাচলের জন্য বিকল্প খাল না করায় সেতুর রড জোয়ারে ভেসে গেছে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক বলেন, কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি তাঁর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি এলজিইডি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে উভয়ের সমন্বয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বলবেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সেতু ঢালাইয়ের জন্য খালের ওপর রড স্থাপন করা হয়েছিল। এলজিইডিকে পরিদর্শনের জন্য বারবার বলা হলেও তারা আসেনি। তাদের কালক্ষেপণের কারণে বর্ষার পানিতে রডগুলো ভেঙে গেছে। যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে পুরোদমে সেতুর কাজ চলছে। সেতুর নির্মাণকাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন করে এলজিইডিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে দেরি করেছে। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের করা অভিযোগ সত্য নয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত