Ajker Patrika

কম্বল-ওষুধ পেয়ে খুশি ওঁরা

খুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৭
Thumbnail image

খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সামাজিক সংগঠন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি।

গতকাল সোমবার সারা দিন খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, বিনা মূল্যে ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, কিশোরী মেয়েদের মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও বাচ্চাদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।

এসব কম্বল ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টায় মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌকুনী (বহুমুখী) মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে দক্ষিণ কালিকাপুর, চৌকুনী, কালিকাপুর (পশ্চিম পাড়া) এবং বাবুরা বাঁধ এলাকার ২৫০ পরিবারের মাঝে শীতের কম্বল, ২০০ জনকে শীতের সোয়েটার, সাড়ে ৩০০ জনকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে ওষুধ প্রদান এবং ১০০ মানুষের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সময় ১০০ জন কিশোরীকে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হয়। এ ছাড়া এসব এলাকার ২০০ শিশুকে চকলেট দেওয়া হয়। এ ছাড়া কালিকাপুর চৌকুনী (বহুমুখী) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন তাঁরা।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১০ বছর ধরে কয়রার মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিতরা কোনো ধরনের সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাননি।

তীব্র শীতে কম্বল পেয়ে খুশি মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষেরা। এ সময় সংগঠনটির কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।

এ ছাড়া দুপুর ১টায় কালিকাপুর চৌকনী (বহুমুখী) মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী ও কিশোরীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতামূলক সেমিনার করেন সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা বাল্যবিবাহের কুফল ও মেয়েদের পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করতে এলাকাবাসীকে আহ্বান জানান।

কম্বল পেয়ে নিজের খুশি ব্যক্ত করেন বাবুরা বাঁধ এলাকার বাসিন্দা কালাচান বিবি। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িত মেলা লোক। রাইতের বেলা ঘুমাতি সমস্যা হয়। শীতে কষ্ট হয়। কয়রাতে তো শীত খুব। কম্বলটা কামে দিবে।’

সংগঠনের সভাপতি মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, ‘শীতে সাধারণ মানুষ যখন কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছেন তখন মানবকল্যাণে আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সামান্য উদ্যোগের ফলে হয়তো শীতার্ত মানুষের কষ্ট কিছুটা কমবে। ভবিষ্যতে যেকোনো দুঃসময়ে গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকব আমরা। এ ছাড়া মহেশ্বরিপুর ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সমাজের বিত্তবানদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া আহ্বান জানান তিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত