Ajker Patrika

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেমি ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে আমনের খেত

নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেমি ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে আমনের খেত

ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের পানি বেড়েছে তিস্তায়। নীলফামারীতে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। উজানের ঢলের পানি তীব্র গতিতে ভাটির দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে  রাখা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বোর্ডের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, গতকাল সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপরে চলে আসে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলায় তলিয়ে যাচ্ছে আমন ধানের খেত। উপজেলায় গত মাসের বন্যায় কৃষকেরা হারিয়েছিলেন আমনের বীজতলা। পরে চড়া দামে কেনা চারা রোপণ করা হলেও এবার গাছ পানির নিচে চলে যাচ্ছে।

উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশা ও ঝুনাগাছ চাপানীর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার খালিশা ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের ধানচাষি নুরে আলম জানান, চলতি আমন মৌসুমে তিনি ১১ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেছিলেন। এখন হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খেতের উঠতি গাছ নষ্ট হতে বসেছে।

কিসামত চরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েক বিঘা জমি নদীতে গেছে। আবাদ নিয়ে অনেক শঙ্কায় থাকতে হয়। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে কয়েক দিন ধানগাছ ডুবে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়বেন চরাঞ্চলের আমন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, তিস্তা এলাকায় প্রায় ১০ হেক্টর জমি আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যায় জমি তলিয়ে থাকার স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত