Ajker Patrika

উৎসবের পৌষসংক্রান্তি

আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ০০
উৎসবের পৌষসংক্রান্তি

বারো মাসে তেরো পার্বণে উৎসব পালন বাঙালিদের একটি ঐতিহ্য। পৌষসংক্রান্তি এমনই এক প্রাণের উৎসব। মৌলভীবাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উচ্ছ্বাসের রং ছড়ানো এ উৎসব সর্বজনীনে রূপ নেয়।

পৌষসংক্রান্তির উৎসব পালন করেন গ্রামবাংলার সর্বস্তরের মানুষ।

এদিনটিতে শহরের অনেকেই চলে যান গ্রামের বাড়িতে। পরিবার নিয়ে মেতে ওঠেন পৌষসংক্রান্তির উৎসবে। সব ধর্মের মানুষ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পিঠাপুলি খাওয়ার জন্য উপস্থিত হন।

সংস্কৃতিকর্মী মীর ইউসুফ আলী বলেন, ‘সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর অন্তত ৫০টি পরিবার থেকে দাওয়াত পাই। সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব না হলেও চার-পাঁচ জায়গায় আমি সপরিবারে উপস্থিত হই। এ উৎসব পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়ায়।’

চাকরিজীবী সজল দেবনাথ বলেন, ‘সংক্রান্তি উপলক্ষে শহর ও গ্রাম—দুই জায়গাতেই আয়োজন করেছি। দুটো বড় মাছ কিনেছি ১২ হাজার টাকায়। রয়েছে নানা রকমের পিঠাপুলির আয়োজন। এই ধরনের উৎসব অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে।’

নতুন চালের মিহিদানার মালপুয়া, পাটিসাপটা, সেদ্ধ পিঠা। আখের রসের লালিগুড় দিয়ে মিষ্টান্ন। খেজুরের গুড়ের চোঙ্গা পিঠা, গরুর দুধের দুধপুলি, নতুন আলু, নারকেলসহ নানা উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় পৌষ পার্বণের পিঠাপুলি।

শিক্ষার্থী তৃষা দাশ বলে, শীতের এই সময়টায় আমরা শহর থেকে গ্রামে যাই। সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘরের বড়রা বিভিন্ন কাজ করেন, আর আমরা আনন্দ-হইহুল্লোড় করি।’

শহরের গির্জাপাড়ার বাসিন্দা সুস্মিতা দাশ বলেন, ‘সংক্রান্তির বিশেষ আকর্ষণ থাকে খড় দিয়ে তৈরি উঁচু ঘর। আঞ্চলিকভাবে আমরা এটাকে মেরামেরির ঘর বলি। সংক্রান্তির দিন সকালে গোসল করে নতুন জামাকাপড় পরে এই ঘরে আগুন দিই। আগুন পোহাই, এটা আমাদের অনেক আনন্দ দেয়।’

এ এলাকার বাসিন্দা তপন দত্ত বলেন, পিঠাপুলির পাশাপাশি বড় মাছ এই সময় কেনা হয়। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া আনন্দ বাড়ায়।

অন্যান্য বছর পৌষসংক্রান্তিতে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে করোনার কারণে এবার হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত