তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে ২০২৪ সালের শুরুতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে কঙ্কালসার হয়ে যায় গ্রিন কোজি কটেজ। সাততলার এই বাণিজ্যিক ভবনে ওই বছর প্রাণ হারিয়েছিল ৪৬ জন; দগ্ধ ও আহত হয় আরও ১৩ জন।
ঘটনার রেশ কাটার আগেই রাজধানীজুড়ে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিটি করপোরেশন। গ্রেপ্তার করা হয় আট শতাধিক মানুষকে।
জনমনে প্রশ্ন ওঠে, গ্রিন কোজি কটেজে থাকা রেস্তোরাঁগুলোতে প্রতিদিন যেখানে অসংখ্য মানুষ ভিড় করত, সেই ভবনের নকশার এমন করুণ দশা কেন? ভবনটিতে কোনো জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা ছিল না কেন? ভবনে চলাচলের সিঁড়িটাই-বা এত সরু কেন? জরুরি নির্গমন পথ থাকলে বা সিঁড়িটা প্রশস্ত হলে তো এত প্রাণহানি হতো না।
কার অঙ্গুলি হেলনে ভবনটির নকশার অনুমোদন পায়? পত্রপত্রিকা মারফত খবর আসে, গ্রিন কোজি কটেজের নকশার অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজউক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী। ২০১১ সালে রাজউকের অথরাইজড অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি ভবনটির অনুমোদন দেন।
সে সময় খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে ব্যাপক শোরগোল চললেও একপর্যায়ে থেমে যায়। দুই বছরের বেশি সময় পর আজ আবার তিনি উঠে এসেছেন আলোচনায়। গ্রিন কোজি কটেজের নকশা অনুমোদনে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া সেই খালেকুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ভালো পদায়ন।
আজ মঙ্গলবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘দামি চেয়ার’ হিসেবে পরিচিত মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
চাকরিজীবনে বছর পাঁচেক আগে বিভাগীয় মামলায় দণ্ড পাওয়া এ প্রকৌশলীকে গুরুত্বপূর্ণ এই চেয়ারে দায়িত্ব দেওয়ায় খোদ পূর্ত ভবনের প্রকৌশলীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান চৌধুরী আজ রাতে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ ছিল, তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আর বেইলি রোডের ঘটনায় ভবন অনুমোদন ও নির্মাণে কোনো অনিয়ম করিনি।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালে ২০১১ সালে এই প্রকৌশলী অথরাইজড অফিসার প্রেষণে রাজউকে আসেন। সে সময় বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের নকশার অনুমোদন দেন তিনি। জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা না থাকা, সরু একটিমাত্র সিঁড়িসহ নানা অনিয়মে পূর্ণ ছিল নকশাটি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের চাকরিজীবনের বড় সময় কেটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। স্ত্রী-সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় সেখানে তিনি বহুবার যাতায়াত করেন। তবে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে উচ্চতর শিক্ষাছুটির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর লঘুদণ্ড দেয় পূর্ত মন্ত্রণালয়। তাঁর বেতন স্কেলও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
এরপর নিজ জেলার বাসিন্দা ফরিদপুরের প্রভাবশালী সাবেক দুদক কমিশনার মোজ্জাম্মেল হক খানের মাধ্যমে জোরালো তদবির শুরু করেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাবেক পূর্তসচিব শহীদ উল্লা খন্দকারের আমলে একটি আবেদন করে তিনি। তৎকালীন সচিব এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের মতামত চান। জনপ্রশাসন তাদের মতামতে তাঁর জ্যেষ্ঠতা স্থগিত রাখার সুপারিশ করে।
কিন্তু দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার তাঁকে পদোন্নতি দেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে সর্বশেষ গোপালগঞ্জ জোন থেকে গণপূর্তের মেট্রোপলিটন জোনে আনা হলো।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর বেইলি রোডে ২০২৪ সালের শুরুতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে কঙ্কালসার হয়ে যায় গ্রিন কোজি কটেজ। সাততলার এই বাণিজ্যিক ভবনে ওই বছর প্রাণ হারিয়েছিল ৪৬ জন; দগ্ধ ও আহত হয় আরও ১৩ জন।
ঘটনার রেশ কাটার আগেই রাজধানীজুড়ে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিটি করপোরেশন। গ্রেপ্তার করা হয় আট শতাধিক মানুষকে।
জনমনে প্রশ্ন ওঠে, গ্রিন কোজি কটেজে থাকা রেস্তোরাঁগুলোতে প্রতিদিন যেখানে অসংখ্য মানুষ ভিড় করত, সেই ভবনের নকশার এমন করুণ দশা কেন? ভবনটিতে কোনো জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা ছিল না কেন? ভবনে চলাচলের সিঁড়িটাই-বা এত সরু কেন? জরুরি নির্গমন পথ থাকলে বা সিঁড়িটা প্রশস্ত হলে তো এত প্রাণহানি হতো না।
কার অঙ্গুলি হেলনে ভবনটির নকশার অনুমোদন পায়? পত্রপত্রিকা মারফত খবর আসে, গ্রিন কোজি কটেজের নকশার অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজউক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী। ২০১১ সালে রাজউকের অথরাইজড অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি ভবনটির অনুমোদন দেন।
সে সময় খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে ব্যাপক শোরগোল চললেও একপর্যায়ে থেমে যায়। দুই বছরের বেশি সময় পর আজ আবার তিনি উঠে এসেছেন আলোচনায়। গ্রিন কোজি কটেজের নকশা অনুমোদনে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া সেই খালেকুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ভালো পদায়ন।
আজ মঙ্গলবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘দামি চেয়ার’ হিসেবে পরিচিত মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
চাকরিজীবনে বছর পাঁচেক আগে বিভাগীয় মামলায় দণ্ড পাওয়া এ প্রকৌশলীকে গুরুত্বপূর্ণ এই চেয়ারে দায়িত্ব দেওয়ায় খোদ পূর্ত ভবনের প্রকৌশলীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান চৌধুরী আজ রাতে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ ছিল, তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আর বেইলি রোডের ঘটনায় ভবন অনুমোদন ও নির্মাণে কোনো অনিয়ম করিনি।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালে ২০১১ সালে এই প্রকৌশলী অথরাইজড অফিসার প্রেষণে রাজউকে আসেন। সে সময় বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের নকশার অনুমোদন দেন তিনি। জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা না থাকা, সরু একটিমাত্র সিঁড়িসহ নানা অনিয়মে পূর্ণ ছিল নকশাটি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের চাকরিজীবনের বড় সময় কেটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। স্ত্রী-সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় সেখানে তিনি বহুবার যাতায়াত করেন। তবে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে উচ্চতর শিক্ষাছুটির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর লঘুদণ্ড দেয় পূর্ত মন্ত্রণালয়। তাঁর বেতন স্কেলও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
এরপর নিজ জেলার বাসিন্দা ফরিদপুরের প্রভাবশালী সাবেক দুদক কমিশনার মোজ্জাম্মেল হক খানের মাধ্যমে জোরালো তদবির শুরু করেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাবেক পূর্তসচিব শহীদ উল্লা খন্দকারের আমলে একটি আবেদন করে তিনি। তৎকালীন সচিব এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের মতামত চান। জনপ্রশাসন তাদের মতামতে তাঁর জ্যেষ্ঠতা স্থগিত রাখার সুপারিশ করে।
কিন্তু দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার তাঁকে পদোন্নতি দেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র খালেকুজ্জামান চৌধুরীকে সর্বশেষ গোপালগঞ্জ জোন থেকে গণপূর্তের মেট্রোপলিটন জোনে আনা হলো।
আরও খবর পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত দুই সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে। আজ বুধবার সকাল থেকে জেলায় দূরপালার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
১৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিপাড়া এলাকায় মন্ডল গ্রুপ ও সর্দার গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
২১ মিনিট আগেটইটুম্বুর রাঙামাটির কাপ্তাই লেক। লেকের পানির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণে না আসায় গতকাল দিবাগত রাত থেকে সাড়ে ৩ ফুট করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (কপাবিক) ১৬টি জলকপাট দিয়ে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৬৩ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুর্নবহালের দাবিতে জেলা জুড়ে টানা দুইদিনের হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) হরতালের প্রথমদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা কর্মীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত...
১ ঘণ্টা আগে