তানিম আহমেদ, ফেনী থেকে
টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী ফেনী। গতকাল শুক্রবার জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যার পানি কমলেও সোনাগাজীর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর বাসিন্দারা। বন্যা কয়েক দিন দীর্ঘায়িত হলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী। অন্যদিকে নতুন করে সোনাগাজী উপজেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লালপোল এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে
যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে বন্দরনগরীর সঙ্গে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জেলাগুলো ছাড়া সারা দেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার (এস এস কে) সড়ক, মহিপাল, রামপুর, লালপোলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্দশা দেখা গেছে। জেলার শহরের ব্যস্ততম এস এস কে সড়ক হয়ে ট্যাংক রোডে যাওয়া যায়নি। বুকপানির কারণে মহিপাল থেকে ফিরে আসতে হয় এ প্রতিবেদককে। সড়কটির কোথাও বুকপানি, কোথাও হাঁটুপানি। রাস্তায় মানুষকে দেখা যায় নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটতে। কেউ রিকশায় এলেও বসেছিলেন সিটের ওপরের অংশে। আর রিকশাচালকের গলা পর্যন্ত ভেজা দেখা যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এস এস কে সড়কে কথা হয় ছাগলনাইয়ার মোহরীগঞ্জের মুনশি আবদুল্লাহর সঙ্গে। তিনি শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে তাঁর বাড়ির এলাকাও বন্যায় প্লাবিত। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলে ট্যাংক রোডে পানি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু এখন এসে আমার ভুল ভেঙেছে। শুধু আমি নয়, আমার বাবার বয়সকালেও এমন পানির কথা শোনেননি। ১৯৮৮ সালের বন্যায়ও ফেনীর মানুষ এমন বন্যার শিকার হয়নি।’
অতিবৃষ্টির কারণে গত সোমবার থেকে ফেনী জেলার নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকে। বৃষ্টির সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বাড়িঘরে পানি ঢোকে। ওই দিন রাতে থেকেই পানি বাড়তে শুরু করে। এতে কাঁচা বাড়িঘর ডুবে যায়। অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। আর বুধবার সকাল থেকে বাড়িঘর ছাড়ে অনেকেই। কিন্তু বুধবার থেকে বানের পানির স্রোত ফেনী শহরে ঢুকে পড়ে। ওই দিন রাতে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। নিচতলার বাসিন্দারা দোতলায় আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী শহরের বেশির ভাগ বাসার নিচতলা পানিতে ডুবে যায়।
এস এস কে সড়কের দুই পাশে থাকা বাড়িগুলোর নিচতলা পানির নিচে দেখা যায়। স্টার লাইনের কাউন্টারের পাশে এক বাসা থেকে এক ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে শুকনা খাবার ও সুপেয় পানি চাইতে দেখা যায়। মধ্যবয়সী ওই লোক বলেন, ‘বন্যার কারণে বেক (অধিকাংশ) দোকান বন্ধ। একবার হানি (পানি) ভাঙি (ভিজে) গেছিলাম, কিন্তু হানি হায় ন (পাইনি)। কারেন্টও নেই যে মোটর চালাই হানি তুলুম। এখন তো সমস্যায় হড়ি (পড়ে) গেছি। এতে তো খাওনের হানির সমস্যায় হড়ি গেছি।’
গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই অধিকাংশ জেলায়। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। আত্মীয়স্বজন কোথায় কোন আশ্রয়ে আছে, সেই তথ্য গতকাল থেকে অধিকাংশ মানুষ জানতে পারছে না। আবার রাস্তায় পানি থাকায় নৌকা ছাড়া কোথাও যাতায়াত করা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম পুরো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী দল ত্রাণ বিতরণ করছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনছে। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল না থাকায় কী পরিমাণ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে তথ্য ফেনী থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
এখনো অনেকই স্বজনদের উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবীদের অনুরোধ করছে। লালপোল এলাকায় কথা হয় পাঁচগাছিয়ার বাসিন্দা সারোয়ার আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আমার বোন ও ভাগনি গত তিন দিন পানিবন্দী (লালপোলের পাশের গ্রামে)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাদের জন্য কিছু একটা করেন ভাই। আমারে ওদের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’
টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী ফেনী। গতকাল শুক্রবার জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যার পানি কমলেও সোনাগাজীর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর বাসিন্দারা। বন্যা কয়েক দিন দীর্ঘায়িত হলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী। অন্যদিকে নতুন করে সোনাগাজী উপজেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লালপোল এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে
যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে বন্দরনগরীর সঙ্গে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জেলাগুলো ছাড়া সারা দেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার (এস এস কে) সড়ক, মহিপাল, রামপুর, লালপোলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্দশা দেখা গেছে। জেলার শহরের ব্যস্ততম এস এস কে সড়ক হয়ে ট্যাংক রোডে যাওয়া যায়নি। বুকপানির কারণে মহিপাল থেকে ফিরে আসতে হয় এ প্রতিবেদককে। সড়কটির কোথাও বুকপানি, কোথাও হাঁটুপানি। রাস্তায় মানুষকে দেখা যায় নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটতে। কেউ রিকশায় এলেও বসেছিলেন সিটের ওপরের অংশে। আর রিকশাচালকের গলা পর্যন্ত ভেজা দেখা যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এস এস কে সড়কে কথা হয় ছাগলনাইয়ার মোহরীগঞ্জের মুনশি আবদুল্লাহর সঙ্গে। তিনি শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে তাঁর বাড়ির এলাকাও বন্যায় প্লাবিত। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলে ট্যাংক রোডে পানি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু এখন এসে আমার ভুল ভেঙেছে। শুধু আমি নয়, আমার বাবার বয়সকালেও এমন পানির কথা শোনেননি। ১৯৮৮ সালের বন্যায়ও ফেনীর মানুষ এমন বন্যার শিকার হয়নি।’
অতিবৃষ্টির কারণে গত সোমবার থেকে ফেনী জেলার নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকে। বৃষ্টির সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বাড়িঘরে পানি ঢোকে। ওই দিন রাতে থেকেই পানি বাড়তে শুরু করে। এতে কাঁচা বাড়িঘর ডুবে যায়। অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। আর বুধবার সকাল থেকে বাড়িঘর ছাড়ে অনেকেই। কিন্তু বুধবার থেকে বানের পানির স্রোত ফেনী শহরে ঢুকে পড়ে। ওই দিন রাতে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। নিচতলার বাসিন্দারা দোতলায় আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী শহরের বেশির ভাগ বাসার নিচতলা পানিতে ডুবে যায়।
এস এস কে সড়কের দুই পাশে থাকা বাড়িগুলোর নিচতলা পানির নিচে দেখা যায়। স্টার লাইনের কাউন্টারের পাশে এক বাসা থেকে এক ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে শুকনা খাবার ও সুপেয় পানি চাইতে দেখা যায়। মধ্যবয়সী ওই লোক বলেন, ‘বন্যার কারণে বেক (অধিকাংশ) দোকান বন্ধ। একবার হানি (পানি) ভাঙি (ভিজে) গেছিলাম, কিন্তু হানি হায় ন (পাইনি)। কারেন্টও নেই যে মোটর চালাই হানি তুলুম। এখন তো সমস্যায় হড়ি (পড়ে) গেছি। এতে তো খাওনের হানির সমস্যায় হড়ি গেছি।’
গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই অধিকাংশ জেলায়। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। আত্মীয়স্বজন কোথায় কোন আশ্রয়ে আছে, সেই তথ্য গতকাল থেকে অধিকাংশ মানুষ জানতে পারছে না। আবার রাস্তায় পানি থাকায় নৌকা ছাড়া কোথাও যাতায়াত করা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম পুরো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী দল ত্রাণ বিতরণ করছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনছে। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল না থাকায় কী পরিমাণ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে তথ্য ফেনী থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
এখনো অনেকই স্বজনদের উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবীদের অনুরোধ করছে। লালপোল এলাকায় কথা হয় পাঁচগাছিয়ার বাসিন্দা সারোয়ার আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আমার বোন ও ভাগনি গত তিন দিন পানিবন্দী (লালপোলের পাশের গ্রামে)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাদের জন্য কিছু একটা করেন ভাই। আমারে ওদের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৮ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫