বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে গত সপ্তাহের ছুটির দিনের তুলনায় এ সপ্তাহে অধিকসংখ্যক পর্যটক এসেছে। শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে উপচে পড়া ভিড় বলে জানিয়েছেন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
এতে কেন্দ্রগুলোর আশপাশে বিভিন্ন পণ্যের দোকান ও রেস্টুরেন্টে বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা যায়।
জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বান্দরবানে করোনা শনাক্ত কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয় প্রশাসন। এতে পর্যটকদের সাড়া পড়লেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা বাড়ায় কড়াকড়ি আরোপ করে হয়। তবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
বান্দরবান সদরে সরকারিভাবে পরিচালিত পর্যটনকেন্দ্রগুলো অন্যতম নীলাচল। এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আদিব বড়ুয়া গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার নীলাচলে পর্যটন অনেক বেড়েছে। অন্য পর্যটনকেন্দ্রেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে জনপ্রতি ৫০ টাকা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। আদিব বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার নীলাচলে ১ হাজারের কম পর্যটক এলেও শুক্রবার পর্যটকের ঢল নামে। এই দিন বেলা দুইটা পর্যন্ত সোয়া ১ হাজার পর্যটক টিকিট কেটে নীলাচলে প্রবেশ করেছেন। বিকেলের দিকে পর্যটক আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
নীলাচলে বেড়াতে আসা আবদুর রশিদ জানান, সিলেট থেকে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন। এখানকার সৌন্দর্য দেখে তাঁরা মুগ্ধ।
এদিকে জেলা সদরের আরেক পর্যটনকেন্দ্র মেঘলাতেও শুক্রবার বিপুলসংখ্যক পর্যটক দেখা গেছে। এখানে প্রবেশের জনপ্রতি টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। তবে ভেতরে প্যাডেল বোটে চড়লে জনপ্রতি ১০০ টাকা দিতে হয়। মেঘলায় গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার পর্যটক বেশে এসেছেন বলে টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ সুকান্ত জানান।
অপরদিকে শৈলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্রেও শুক্রবার পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। বম জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত শৈলপ্রপাতে পাহাড়িদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। এ কারণে জেলার বাইরের পর্যটকদের আগমন বেশি ঘটে এখানে। শুক্রবার দেখা যায়, শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসা অনেকে বমদের তৈরি শাল, মাফলার, বিভিন্ন পোশাক, বাঁশ-বেতের তৈরি সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।
এখানকার বস্ত্রসামগ্রী বিক্রেতা নিক্কি বম জানান, শুক্রবার সেখানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছেন। তাঁদের বিক্রিও ভালো। সেখানে আনারসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করা হচ্ছে। কেটে কেটেও মসলা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসা পর্যটক শাহ আলম বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন শুক্রবার সকালে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ তাঁর ভালো লাগে। কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বান্দরবানে বেড়াতে আসছেন।
এদিকে পর্যটকের আগমন বাড়ায় পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহনগুলো আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। জিপচালক মো. ফরিদ মিয়া জানান, আগের তুলনায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় তাঁরা ভাড়াও বেশি পাচ্ছেন।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রিন হিলের ম্যানেজার রূপন দাশ আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁদের হোটেলে সব রুমই বুকিং হয়েছে। তাঁদের হোটেলে বোর্ডার বেড়েছে।
বান্দরবানে গত সপ্তাহের ছুটির দিনের তুলনায় এ সপ্তাহে অধিকসংখ্যক পর্যটক এসেছে। শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে উপচে পড়া ভিড় বলে জানিয়েছেন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
এতে কেন্দ্রগুলোর আশপাশে বিভিন্ন পণ্যের দোকান ও রেস্টুরেন্টে বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা যায়।
জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বান্দরবানে করোনা শনাক্ত কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয় প্রশাসন। এতে পর্যটকদের সাড়া পড়লেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা বাড়ায় কড়াকড়ি আরোপ করে হয়। তবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
বান্দরবান সদরে সরকারিভাবে পরিচালিত পর্যটনকেন্দ্রগুলো অন্যতম নীলাচল। এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আদিব বড়ুয়া গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার নীলাচলে পর্যটন অনেক বেড়েছে। অন্য পর্যটনকেন্দ্রেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে জনপ্রতি ৫০ টাকা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। আদিব বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার নীলাচলে ১ হাজারের কম পর্যটক এলেও শুক্রবার পর্যটকের ঢল নামে। এই দিন বেলা দুইটা পর্যন্ত সোয়া ১ হাজার পর্যটক টিকিট কেটে নীলাচলে প্রবেশ করেছেন। বিকেলের দিকে পর্যটক আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
নীলাচলে বেড়াতে আসা আবদুর রশিদ জানান, সিলেট থেকে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন। এখানকার সৌন্দর্য দেখে তাঁরা মুগ্ধ।
এদিকে জেলা সদরের আরেক পর্যটনকেন্দ্র মেঘলাতেও শুক্রবার বিপুলসংখ্যক পর্যটক দেখা গেছে। এখানে প্রবেশের জনপ্রতি টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। তবে ভেতরে প্যাডেল বোটে চড়লে জনপ্রতি ১০০ টাকা দিতে হয়। মেঘলায় গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার পর্যটক বেশে এসেছেন বলে টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ সুকান্ত জানান।
অপরদিকে শৈলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্রেও শুক্রবার পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। বম জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত শৈলপ্রপাতে পাহাড়িদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। এ কারণে জেলার বাইরের পর্যটকদের আগমন বেশি ঘটে এখানে। শুক্রবার দেখা যায়, শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসা অনেকে বমদের তৈরি শাল, মাফলার, বিভিন্ন পোশাক, বাঁশ-বেতের তৈরি সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।
এখানকার বস্ত্রসামগ্রী বিক্রেতা নিক্কি বম জানান, শুক্রবার সেখানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছেন। তাঁদের বিক্রিও ভালো। সেখানে আনারসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করা হচ্ছে। কেটে কেটেও মসলা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসা পর্যটক শাহ আলম বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন শুক্রবার সকালে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ তাঁর ভালো লাগে। কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বান্দরবানে বেড়াতে আসছেন।
এদিকে পর্যটকের আগমন বাড়ায় পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহনগুলো আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। জিপচালক মো. ফরিদ মিয়া জানান, আগের তুলনায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় তাঁরা ভাড়াও বেশি পাচ্ছেন।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রিন হিলের ম্যানেজার রূপন দাশ আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁদের হোটেলে সব রুমই বুকিং হয়েছে। তাঁদের হোটেলে বোর্ডার বেড়েছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২০ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪