সাইফুল মাসুম, ঢাকা
নাগরিকদের সুবিধার কথা ভেবে ঢাকা জেলা পরিষদ গাবতলীর বড় বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় নির্মাণ করেছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টার। তবে কনভেনশন সেন্টারটির সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয় নাগরিকেরা। কথা ছিল, এই স্থাপনায় মিলনায়তনের পাশাপাশি থাকবে পাঠাগার, ব্যায়ামাগারসহ নানা নাগরিক সুবিধা। কিন্তু বাস্তবে এসব নেই। অভিযোগ আছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন।
২ নভেম্বর গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথের দেয়ালে লাইব্রেরি ও কাউন্সিলর কার্যালয়ের নির্দেশিকা লাগানো। কিছুটা এগোতেই চোখে পড়ে স্ট্যান্ডে বসানো কারনেশন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিজ্ঞাপন। তাতে আছে বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য হলরুম ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করার নির্দেশনা।
অভ্যর্থনাকক্ষে নিজেকে কনভেনশন সেন্টারের ইন-চার্জ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আলমগীর মজুমদার জানান, জেলা পরিষদ থেকে সেন্টারটি ইজারা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এখানে বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় একটি মিলনায়তন ও দুটি বড় কক্ষ। নিচতলায় মিলনায়তনটিতে ৬০০ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা আছে। এক বেলার অনুষ্ঠান করতে ভাড়া লাগে ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ডেকোরেশন, ওয়েটার ও বাবুর্চির বিল বাবদ লাগে ৩০ হাজার টাকার মতো। খাওয়ার বিল আলাদা।
আলমগীর মজুমদার জানান, সেন্টারের দোতলায় লাইব্রেরির সাইনবোর্ড লাগানো কক্ষটিতে ২০০ মানুষের অনুষ্ঠান করা যায়। এক বেলার জন্য ওই কক্ষের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। দোতলায় ৫০ জনের অনুষ্ঠান করার মতো আরেকটি কক্ষের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।
অভ্যর্থনাকক্ষের দেয়ালে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আগা খান মিন্টু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুমের বাঁধাই করা ছবি।
লাইব্রেরির জন্য বরাদ্দ কক্ষটি ঘুরে দেখান কনভেনশন সেন্টারের কর্মী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নামেই লাইব্রেরি, বাস্তবে কিছু নেই।’ লাইব্রেরির পাশেই একটি বড় কক্ষ তালাবদ্ধ। কক্ষের সামনে ‘কাউন্সিলরের অফিস’ লেখা সাইনবোর্ড। তিনতলায় যে কক্ষে ব্যায়ামাগার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন ডেকোরেটরের মালপত্রের গুদাম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মিলনায়তন ব্যবহারের জন্য পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত বিভিন্ন হারের ভাড়ার তালিকা পরিষদ ভবন, মিলনায়তনে দৃশ্যমান রাখতে হবে। যাতে সহজেই সবার নজরে আসে। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে ভাড়ার মূল্যতালিকা প্রদর্শন করা হয়নি।
জানা যায়, শূন্য দশমিক ৮৪ একর জমিতে এই কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। শেষ হয় ২০১৬ সালে। খরচ হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন বছর পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২০২১ সালের প্রথম দিকে মাত্র ২০ লাখ টাকায় তিন বছরের জন্য এটি ইজারা দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য কনভেনশন সেন্টারটি করা হলেও সে সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না। কাউন্সিলর নিজের খেয়ালখুশিমতো ব্যবহার করছেন।
কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইজারাদার, এটা রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব আমার। ভালো করার দায়িত্ব জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ বই, চেয়ার-টেবিল দিক, তাহলে লাইব্রেরি চালু হবে।’ তাঁর দাবি, লাইব্রেরির কক্ষ অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, ‘কনভেনশন সেন্টার অনেক দিন তো অকেজো অবস্থায় পড়েছিল। আমরা এখন দেখভাল করছি।’
কনভেনশন সেন্টারটি ভুল জায়গায় করা হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার আগেই এটা করা হয়েছে। ওই রকম একটা জায়গায় এমন কনভেনশন সেন্টার চলবে কি না, এটা ভাবা উচিত ছিল। কমার্শিয়াল জায়গায় এটা করার দরকার ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার দায়িত্ব নেওয়ার পর কী করা যায় দেখব।
কনভেনশন সেন্টারটি যাতে মানুষের উপকারে আসে, সেই পদক্ষেপ নেব।’
কনভেনশন সেন্টার ইজারা নিয়ে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার জনস্বার্থবিরোধী বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই স্থাপনা জনগণের কল্যাণের জন্য করেছে। এখন যদি কাউন্সিলর সেখানে অফিস করেন, যথেচ্ছ ব্যবহার করেন, তাহলে তো স্থানীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যাহত হবে।
নাগরিকদের সুবিধার কথা ভেবে ঢাকা জেলা পরিষদ গাবতলীর বড় বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় নির্মাণ করেছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টার। তবে কনভেনশন সেন্টারটির সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয় নাগরিকেরা। কথা ছিল, এই স্থাপনায় মিলনায়তনের পাশাপাশি থাকবে পাঠাগার, ব্যায়ামাগারসহ নানা নাগরিক সুবিধা। কিন্তু বাস্তবে এসব নেই। অভিযোগ আছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন।
২ নভেম্বর গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথের দেয়ালে লাইব্রেরি ও কাউন্সিলর কার্যালয়ের নির্দেশিকা লাগানো। কিছুটা এগোতেই চোখে পড়ে স্ট্যান্ডে বসানো কারনেশন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিজ্ঞাপন। তাতে আছে বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য হলরুম ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করার নির্দেশনা।
অভ্যর্থনাকক্ষে নিজেকে কনভেনশন সেন্টারের ইন-চার্জ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আলমগীর মজুমদার জানান, জেলা পরিষদ থেকে সেন্টারটি ইজারা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এখানে বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় একটি মিলনায়তন ও দুটি বড় কক্ষ। নিচতলায় মিলনায়তনটিতে ৬০০ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা আছে। এক বেলার অনুষ্ঠান করতে ভাড়া লাগে ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ডেকোরেশন, ওয়েটার ও বাবুর্চির বিল বাবদ লাগে ৩০ হাজার টাকার মতো। খাওয়ার বিল আলাদা।
আলমগীর মজুমদার জানান, সেন্টারের দোতলায় লাইব্রেরির সাইনবোর্ড লাগানো কক্ষটিতে ২০০ মানুষের অনুষ্ঠান করা যায়। এক বেলার জন্য ওই কক্ষের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। দোতলায় ৫০ জনের অনুষ্ঠান করার মতো আরেকটি কক্ষের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।
অভ্যর্থনাকক্ষের দেয়ালে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আগা খান মিন্টু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুমের বাঁধাই করা ছবি।
লাইব্রেরির জন্য বরাদ্দ কক্ষটি ঘুরে দেখান কনভেনশন সেন্টারের কর্মী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নামেই লাইব্রেরি, বাস্তবে কিছু নেই।’ লাইব্রেরির পাশেই একটি বড় কক্ষ তালাবদ্ধ। কক্ষের সামনে ‘কাউন্সিলরের অফিস’ লেখা সাইনবোর্ড। তিনতলায় যে কক্ষে ব্যায়ামাগার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন ডেকোরেটরের মালপত্রের গুদাম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মিলনায়তন ব্যবহারের জন্য পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত বিভিন্ন হারের ভাড়ার তালিকা পরিষদ ভবন, মিলনায়তনে দৃশ্যমান রাখতে হবে। যাতে সহজেই সবার নজরে আসে। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে ভাড়ার মূল্যতালিকা প্রদর্শন করা হয়নি।
জানা যায়, শূন্য দশমিক ৮৪ একর জমিতে এই কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। শেষ হয় ২০১৬ সালে। খরচ হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন বছর পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২০২১ সালের প্রথম দিকে মাত্র ২০ লাখ টাকায় তিন বছরের জন্য এটি ইজারা দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য কনভেনশন সেন্টারটি করা হলেও সে সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না। কাউন্সিলর নিজের খেয়ালখুশিমতো ব্যবহার করছেন।
কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইজারাদার, এটা রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব আমার। ভালো করার দায়িত্ব জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ বই, চেয়ার-টেবিল দিক, তাহলে লাইব্রেরি চালু হবে।’ তাঁর দাবি, লাইব্রেরির কক্ষ অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, ‘কনভেনশন সেন্টার অনেক দিন তো অকেজো অবস্থায় পড়েছিল। আমরা এখন দেখভাল করছি।’
কনভেনশন সেন্টারটি ভুল জায়গায় করা হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আসার আগেই এটা করা হয়েছে। ওই রকম একটা জায়গায় এমন কনভেনশন সেন্টার চলবে কি না, এটা ভাবা উচিত ছিল। কমার্শিয়াল জায়গায় এটা করার দরকার ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার দায়িত্ব নেওয়ার পর কী করা যায় দেখব।
কনভেনশন সেন্টারটি যাতে মানুষের উপকারে আসে, সেই পদক্ষেপ নেব।’
কনভেনশন সেন্টার ইজারা নিয়ে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার জনস্বার্থবিরোধী বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই স্থাপনা জনগণের কল্যাণের জন্য করেছে। এখন যদি কাউন্সিলর সেখানে অফিস করেন, যথেচ্ছ ব্যবহার করেন, তাহলে তো স্থানীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যাহত হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪