নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো। জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা আর মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ।
ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরে এক মধ্য উচ্চবিত্ত পরিবারে। ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে।
এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হননি ছোট্ট ফ্রিদা। তাঁর লম্বা স্টাইলের জামা পরার মূল কারণ ছিল শারীরিক সীমাবদ্ধতা ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
১৮ বছর বয়সে কাহলোকে আরেকটি বড় ধরনের ধকল সইতে হয়। এক বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন ও ডান পা কেটে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে তাঁর জীবনে। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন।
সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে ডিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন।
মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্ম-প্রতিকৃতি সিরিজের জন্য জনপ্রিয়। ক্যারিয়ারের পুরো সময়জুড়ে, কাহলো ৫৫টি আত্ম–প্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেল্ফ পোর্ট্রেট উইদ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ অন্যতম।
লোকে এই ছবিটি বহুবার দেখেছে বলা চলে। ছবিতে কাহলোর একপাশে কালো প্যান্থার এবং অপর পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো– শিল্পী ও রিভেরা অনেক বানর পুষতেন।
সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কণ্টকময় গাছের ডাল। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড।
কাঁটার আঘাতে গলার এখান সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর অভিব্যক্তি স্থির। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। নিজের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনায় বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।
তাঁর আঁকা ছবিগুলো তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে জন্মেছে। কাহলোর আত্ম-প্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর পূর্বসূরিদের, ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর আগ্রহ, সন্তানহীন এক নারী সত্তা। ডিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং কিশোর বয়সে মারাত্মক বাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা, ফ্রিদার জীবনের এ দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর চিত্রকর্মে।
বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পীকে আমৃত্যু টেনে যেতে হয়েছিল শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা। এক দিকে শরীরের বিরুদ্ধ আচরণ ও প্রিয় বিচ্ছেদে জর্জরিত মন, অন্যদিকে অফুরন্ত জীবনী শক্তি এই দুই মিলেই ছিলেন ফ্রিদা কাহলো। ১১৫ বছর পরেও তিনি ফিরে ফিরে আসেন আমাদের মাঝে।
জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো। জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা আর মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ।
ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরে এক মধ্য উচ্চবিত্ত পরিবারে। ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে।
এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হননি ছোট্ট ফ্রিদা। তাঁর লম্বা স্টাইলের জামা পরার মূল কারণ ছিল শারীরিক সীমাবদ্ধতা ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
১৮ বছর বয়সে কাহলোকে আরেকটি বড় ধরনের ধকল সইতে হয়। এক বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন ও ডান পা কেটে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে তাঁর জীবনে। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন।
সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে ডিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন।
মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্ম-প্রতিকৃতি সিরিজের জন্য জনপ্রিয়। ক্যারিয়ারের পুরো সময়জুড়ে, কাহলো ৫৫টি আত্ম–প্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেল্ফ পোর্ট্রেট উইদ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ অন্যতম।
লোকে এই ছবিটি বহুবার দেখেছে বলা চলে। ছবিতে কাহলোর একপাশে কালো প্যান্থার এবং অপর পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো– শিল্পী ও রিভেরা অনেক বানর পুষতেন।
সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কণ্টকময় গাছের ডাল। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড।
কাঁটার আঘাতে গলার এখান সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর অভিব্যক্তি স্থির। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। নিজের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনায় বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।
তাঁর আঁকা ছবিগুলো তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে জন্মেছে। কাহলোর আত্ম-প্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর পূর্বসূরিদের, ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর আগ্রহ, সন্তানহীন এক নারী সত্তা। ডিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং কিশোর বয়সে মারাত্মক বাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা, ফ্রিদার জীবনের এ দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর চিত্রকর্মে।
বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পীকে আমৃত্যু টেনে যেতে হয়েছিল শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা। এক দিকে শরীরের বিরুদ্ধ আচরণ ও প্রিয় বিচ্ছেদে জর্জরিত মন, অন্যদিকে অফুরন্ত জীবনী শক্তি এই দুই মিলেই ছিলেন ফ্রিদা কাহলো। ১১৫ বছর পরেও তিনি ফিরে ফিরে আসেন আমাদের মাঝে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫