নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ, তিন বছর ও এর বেশি কারাদণ্ড হওয়ায় তাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। একই কারণে দলটির প্রথম সারির কয়েকজন নেতাও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শীর্ষস্থানীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচারকাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০টি মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এসব মামলার রায়ে যাঁদের দুই বছর বা এর বেশি কারাদণ্ড হবে, তাঁদের কেউ সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ, সংবিধানের ৬৬(২)-এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক ঙ্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কারও অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ড হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পাঁচ বছর পার না হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। গত রোববার প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। একাদশ সংসদের ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমও প্রার্থী হতে পারবেন না। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানের ১৩ বছর করে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এই চারজনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া দুটি মামলায়, তারেক রহমান কয়েকটি মামলায় এবং জোবাইদা একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের আশঙ্কা সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাইয়ের আগে সাজার কারণে তাঁদের ডাকসাইটে কয়েকজন নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। নির্বাচনের আগেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে কয়েকটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার কারাদণ্ডের পাশাপাশি মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও সাজা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল নাশকতার অভিযোগে ১০ বছর আগে বংশাল থানায় করা মামলায় মোহন মোল্লা নামের স্থানীয় এক বিএনপির নেতাকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে আট বছর আগের নাশকতার একটি মামলার রায়ে ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদের তিন বছরের সাজা হয়েছে। তাঁরাও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠছাড়া করা। সেটা করতেই রায়গুলো দেওয়া হয়েছে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুরুদ্দিন অপু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ উপার্জনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষপর্যায়ে। সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বিচারকাজও প্রায় শেষপর্যায়ে। রায়ের অপেক্ষায় আছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা একটি মামলা। এ ছাড়া বিএনপির নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ ইব্রাহিম, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সহসম্পাদক এবং বিএনপি নেতাদের পক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলা আগামী নির্বাচনের আগেই শেষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিএনপির এসব কেন্দ্রীয় নেতার আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ, তিন বছর ও এর বেশি কারাদণ্ড হওয়ায় তাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। একই কারণে দলটির প্রথম সারির কয়েকজন নেতাও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শীর্ষস্থানীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচারকাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০টি মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এসব মামলার রায়ে যাঁদের দুই বছর বা এর বেশি কারাদণ্ড হবে, তাঁদের কেউ সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ, সংবিধানের ৬৬(২)-এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক ঙ্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কারও অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ড হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পাঁচ বছর পার না হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। গত রোববার প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। একাদশ সংসদের ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমও প্রার্থী হতে পারবেন না। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানের ১৩ বছর করে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এই চারজনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া দুটি মামলায়, তারেক রহমান কয়েকটি মামলায় এবং জোবাইদা একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের আশঙ্কা সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাইয়ের আগে সাজার কারণে তাঁদের ডাকসাইটে কয়েকজন নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। নির্বাচনের আগেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে কয়েকটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার কারাদণ্ডের পাশাপাশি মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও সাজা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল নাশকতার অভিযোগে ১০ বছর আগে বংশাল থানায় করা মামলায় মোহন মোল্লা নামের স্থানীয় এক বিএনপির নেতাকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে আট বছর আগের নাশকতার একটি মামলার রায়ে ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদের তিন বছরের সাজা হয়েছে। তাঁরাও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠছাড়া করা। সেটা করতেই রায়গুলো দেওয়া হয়েছে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুরুদ্দিন অপু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ উপার্জনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষপর্যায়ে। সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বিচারকাজও প্রায় শেষপর্যায়ে। রায়ের অপেক্ষায় আছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা একটি মামলা। এ ছাড়া বিএনপির নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ ইব্রাহিম, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সহসম্পাদক এবং বিএনপি নেতাদের পক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলা আগামী নির্বাচনের আগেই শেষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিএনপির এসব কেন্দ্রীয় নেতার আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ঝুঁকিতে রয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫