মো. নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র পথ ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক। ৪০ কিলোমিটার সড়কের রামেরকান্দা থেকে রুহিতপুর বাজার পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার অংশে নিত্যদিন যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো যাত্রী। প্রতিদিনই এক থেকে দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদের।
অপ্রশস্ত বাঁক, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তায় ইজিবাইকের ইচ্ছেমতো ইউটার্ন ও পাশেই বাজার হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চলে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, সড়কের বাঁক প্রশস্ত করলে ও যানজটপ্রবণ অংশে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করলে ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এই সড়কে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ছাড়াও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের একাংশের মানুষ চলাচল করে। তা ছাড়া রাজধানীর কাছে হওয়ায় ওই সব এলাকার মানুষ ব্যবসায়ী, পেশাগত ও প্রশাসনিক কাজে নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহার করেন। অনেকেই সকালে রাজধানীতে এসে কাজ শেষে রাতে ফিরে যান। ওই সব এলাকা শিক্ষার্থীরাও একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। ফলে এইসব পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা আলী আজগর গুলিস্তানে একটি ইলেকট্রনিকস মার্কেটের বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুবার ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক হয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁকে; কিন্তু সড়কের রুহিতপুর বাজার এলাকায় নিত্যদিন যানজটে প্রতিদিনই দু-তিন ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় তাঁর।
তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। কখনো ২৫-৩০ মিনিটে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারলেও প্রায় দিনই দেড়-দুই ঘণ্টা লেগে যায়। পুরো রাস্তা ফাঁকা থাকলেও রামেরকান্দা থেকে রুহিতপুর বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে যানজটের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার রুহিতপুর বাজার এলাকায় দেখা যায়, সড়কের মাত্র এই ১ কিলোমিটার অংশে অন্তত চারটি অপ্রশস্ত বাঁক রয়েছে। মোড়ে দুটি যাত্রীবাহী বাস পারাপারের সময় জ্যাম লেগে যায়। কখনো তা উভয় পাশের সড়কে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সড়কের পাশেই বাজার ও যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণেও রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে ওই এলাকায় ইজিবাইক, অটোরিকশা, মোটরচালিত অটোরিকশার আধিক্য চোখে পড়ার মতো। যাত্রীর অপেক্ষায় এসব যানের চালকেরা রাস্তার ওপর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। তা ছাড়া ইচ্ছেমতো ইউটার্ন নেওয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ঢাকায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে প্রতিদিন নবাবগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় গিয়ে অফিস করতাম। কিন্তু কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকায় যানজটের কারণে রাজধানীর আজিমপুরে ভাড়াবাসায় পরিবার নিয়ে থাকছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়ি যেতে হলেও যানজটে পড়তে হয়।’
রুহিতপুর এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ী আলম হোসেন বলেন, ‘সড়কের পাশে দোকানের কারণে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে জ্যামে আটকে থাকতে দেখি। জ্যাম না থাকলেও এই সড়কে গাড়ি চলাচল করে খুব ধীরগতিতে। সড়কের বাঁকগুলো একটু প্রশস্ত করলে এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’
ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক পীযূষ চন্দ্র বলেন, ‘সড়কের যানজটপ্রবণ রামেরকান্দা-রুহিতপুর এলাকায় আমাদের নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সড়ক প্রশস্তের তুলনায় বড় বাস যাতায়াত করে। এই বাসে যাত্রী ওঠানামা করতে গেলেই সড়কে যানজট লেগে যায়। তা ছাড়া যানজটপ্রবণ ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অপ্রশস্ত বাঁক রয়েছে। সেগুলো প্রশস্ত করা গেলেও যানজট কিছুটা কমে আসবে।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তার পাশের দোকান উচ্ছেদে আমাদের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া ওই এলাকার যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ সড়কে অপ্রশস্ত বাঁক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সড়ক ও জনপথের আওতাধীন, তাদেরও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’
রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র পথ ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক। ৪০ কিলোমিটার সড়কের রামেরকান্দা থেকে রুহিতপুর বাজার পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার অংশে নিত্যদিন যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো যাত্রী। প্রতিদিনই এক থেকে দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদের।
অপ্রশস্ত বাঁক, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তায় ইজিবাইকের ইচ্ছেমতো ইউটার্ন ও পাশেই বাজার হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চলে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, সড়কের বাঁক প্রশস্ত করলে ও যানজটপ্রবণ অংশে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করলে ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এই সড়কে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ছাড়াও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের একাংশের মানুষ চলাচল করে। তা ছাড়া রাজধানীর কাছে হওয়ায় ওই সব এলাকার মানুষ ব্যবসায়ী, পেশাগত ও প্রশাসনিক কাজে নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহার করেন। অনেকেই সকালে রাজধানীতে এসে কাজ শেষে রাতে ফিরে যান। ওই সব এলাকা শিক্ষার্থীরাও একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। ফলে এইসব পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা আলী আজগর গুলিস্তানে একটি ইলেকট্রনিকস মার্কেটের বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুবার ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক হয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁকে; কিন্তু সড়কের রুহিতপুর বাজার এলাকায় নিত্যদিন যানজটে প্রতিদিনই দু-তিন ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় তাঁর।
তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। কখনো ২৫-৩০ মিনিটে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারলেও প্রায় দিনই দেড়-দুই ঘণ্টা লেগে যায়। পুরো রাস্তা ফাঁকা থাকলেও রামেরকান্দা থেকে রুহিতপুর বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে যানজটের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার রুহিতপুর বাজার এলাকায় দেখা যায়, সড়কের মাত্র এই ১ কিলোমিটার অংশে অন্তত চারটি অপ্রশস্ত বাঁক রয়েছে। মোড়ে দুটি যাত্রীবাহী বাস পারাপারের সময় জ্যাম লেগে যায়। কখনো তা উভয় পাশের সড়কে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সড়কের পাশেই বাজার ও যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণেও রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে ওই এলাকায় ইজিবাইক, অটোরিকশা, মোটরচালিত অটোরিকশার আধিক্য চোখে পড়ার মতো। যাত্রীর অপেক্ষায় এসব যানের চালকেরা রাস্তার ওপর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। তা ছাড়া ইচ্ছেমতো ইউটার্ন নেওয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ঢাকায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে প্রতিদিন নবাবগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় গিয়ে অফিস করতাম। কিন্তু কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকায় যানজটের কারণে রাজধানীর আজিমপুরে ভাড়াবাসায় পরিবার নিয়ে থাকছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়ি যেতে হলেও যানজটে পড়তে হয়।’
রুহিতপুর এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ী আলম হোসেন বলেন, ‘সড়কের পাশে দোকানের কারণে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে জ্যামে আটকে থাকতে দেখি। জ্যাম না থাকলেও এই সড়কে গাড়ি চলাচল করে খুব ধীরগতিতে। সড়কের বাঁকগুলো একটু প্রশস্ত করলে এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’
ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক পীযূষ চন্দ্র বলেন, ‘সড়কের যানজটপ্রবণ রামেরকান্দা-রুহিতপুর এলাকায় আমাদের নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সড়ক প্রশস্তের তুলনায় বড় বাস যাতায়াত করে। এই বাসে যাত্রী ওঠানামা করতে গেলেই সড়কে যানজট লেগে যায়। তা ছাড়া যানজটপ্রবণ ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অপ্রশস্ত বাঁক রয়েছে। সেগুলো প্রশস্ত করা গেলেও যানজট কিছুটা কমে আসবে।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তার পাশের দোকান উচ্ছেদে আমাদের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া ওই এলাকার যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ সড়কে অপ্রশস্ত বাঁক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সড়ক ও জনপথের আওতাধীন, তাদেরও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫