রানা আব্বাস, অ্যাডিলেড থেকে
এক বছরের মধ্যে আরেকটি সেমিফাইনালে উঠে ম্যাথু হেইডেনের একটু মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুপার টুয়েলভের প্রতিটি ম্যাচে জিতে শেষ চারের লড়াইয়ে উঠেছিল তাঁর দল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে হেইডেনের পাকিস্তান হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এই ম্যাচের আগে একটু ‘আবেগতাড়িত’ হয়ে পড়েছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার।
পাকিস্তান দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করা হেইডেনকে সেদিন ছক কষতে হয়েছিল নিজেরই দেশকে হারাতে। পরিকল্পনা করতে হয়েছিল বন্ধু জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সব কৌশল এলোমেলো করে দিতে। দুবাইয়ের সেমিতে হেইডেনকে হার মানতে হয়েছিল তাঁর ‘ইমোশনাল ফ্রেন্ড’ ল্যাঙ্গারের কাছে। ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়া দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। আর অজিরা এবার উঠতে পারেনি সেমিতে। হেইডেনকে এবার আর আবেগতাড়িত হতে হচ্ছে না। আজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) এক বছরের মধ্যে হতে যাওয়া আরেকটি সেমিফাইনালে তাঁর দলের সামনে নিউজিল্যান্ড।
প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড বলেই নয়, আরও অনেক কারণে পাকিস্তান দলের এবারের পারফরম্যান্স ১৯৯২ বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ৩০ বছর আগের বিশ্বকাপে ইমরান খানের পাকিস্তান ‘কোণঠাসা বাঘ’ হিসেবে গর্জে উঠেছিল। শিরোপার লড়াইয়ে ওঠার আগে নিউজিল্যান্ডকেই পেয়েছিল। ইনজামাম-উল হক, ওয়াসিম আকরামদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মার্টিন ক্রোদের কাঁদিয়ে ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। শিরোপাটাও নিজেদের করে নিতে পেরেছিল ইমরানের দল। এবারও পাকিস্তান সেমিতে উঠেছে অনেকেটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ভাগ্যের ছোঁয়াও তারা যথেষ্ট পেয়েছে।
গতকাল সিডনির সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, ’৯২-এর স্মৃতি কতটা অনুপ্রাণিত করছে পাকিস্তান দলকে? বাবরদের অস্ট্রেলিয়ান মেন্টর বলেছেন, ‘এটা প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করছে না। আমরা সবাই সে টুর্নামেন্টের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝি।’ ৯২ ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্মৃতি।’
এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় চিন্তা বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। দলের ব্যাটিং বিভাগের দুই স্তম্ভ টুর্নামেন্টজুড়ে সেভাবে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। হেইডেন এখানে মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০০৭ বিশ্বকাপে তাঁর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কথা। টুর্নামেন্টজুড়ে বেশ সংগ্রাম করা ‘গিলি’ই ফাইনালে ১৪৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন। হেইডেন আশাবাদী, বাবর-রিজওয়ানও হয়তো তাঁদের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন বড় মঞ্চের জন্য। অবশ্য গত এক বছরে বড় উপলক্ষ খুব একটা রাঙাতে পারছে না পাকিস্তান। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তান থামে সেমিফাইনালে। সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে তারা হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।
আজ পাকিস্তান অনুপ্রাণিত হতে পারে প্রতিপক্ষের কাছ থেকেই। নিউজিল্যান্ডের এই রোগটা পুরোনো। তাদের নামের পাশে তাই বসে গেছে ‘সেমিফাইনালের দল’ তকমা। পাকিস্তানের কাছেই কিউইরা তিনটি আইসিসির টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে হেরেছে। ১৯৯২ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপ আর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। গত তিন বছরের পারফরম্যান্সে কিউইদের আর সেমিফাইনালের দল বলার উপায় নেই। টানা দুটি আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে তারা। ট্র্যাজেডি হচ্ছে, দুটিতেই হেরেছে তারা। ২০১৯ সালে কিউইদের স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের কাছে আর গত বছর দুবাইয়ে তাসমান পাড়ের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এই অপ্রিয় প্রসঙ্গটা গতকাল উঠল নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে। উইলিয়ামসন বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন এই বলে, ‘আমরা শুধুই নিজেদের খেলায় মনোযোগ রাখছি। এই টুর্নামেন্টে আমরা দেখছি যেকোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। এটা সত্যি রোমাঞ্চকর এক টুর্নামেন্ট।’
গত মাসে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের মোড়কে একটা পোশাকি মহড়া হয়ে গিয়েছিল দুই দলের মধ্যে। সেটির ফাইনাল জিতেছিল পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড দুই দলই মনে করে, ওই সিরিজের সঙ্গে আজকের ম্যাচের কোনো সম্পর্ক নেই। টুর্নামেন্টজুড়ে দুই দল যেভাবে এগিয়েছে, তাতে ক্রাইস্টচার্চের ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্পর্ক খোঁজার যুক্তিও নেই। পাকিস্তানের বাবর-রিজওয়ানরা ছন্দে না থাকলেও তাদের বোলিং বিভাগ আটকে দিতে পারে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা গ্লেন ফিলিপস-ডেভন কনওয়েদের। প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, দুই দল আজ সিডনিতে নামছে রোমাঞ্চকর এক সেমিফাইনাল উপহার দিতে।
এক বছরের মধ্যে আরেকটি সেমিফাইনালে উঠে ম্যাথু হেইডেনের একটু মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুপার টুয়েলভের প্রতিটি ম্যাচে জিতে শেষ চারের লড়াইয়ে উঠেছিল তাঁর দল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে হেইডেনের পাকিস্তান হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এই ম্যাচের আগে একটু ‘আবেগতাড়িত’ হয়ে পড়েছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার।
পাকিস্তান দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করা হেইডেনকে সেদিন ছক কষতে হয়েছিল নিজেরই দেশকে হারাতে। পরিকল্পনা করতে হয়েছিল বন্ধু জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সব কৌশল এলোমেলো করে দিতে। দুবাইয়ের সেমিতে হেইডেনকে হার মানতে হয়েছিল তাঁর ‘ইমোশনাল ফ্রেন্ড’ ল্যাঙ্গারের কাছে। ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়া দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। আর অজিরা এবার উঠতে পারেনি সেমিতে। হেইডেনকে এবার আর আবেগতাড়িত হতে হচ্ছে না। আজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) এক বছরের মধ্যে হতে যাওয়া আরেকটি সেমিফাইনালে তাঁর দলের সামনে নিউজিল্যান্ড।
প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড বলেই নয়, আরও অনেক কারণে পাকিস্তান দলের এবারের পারফরম্যান্স ১৯৯২ বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ৩০ বছর আগের বিশ্বকাপে ইমরান খানের পাকিস্তান ‘কোণঠাসা বাঘ’ হিসেবে গর্জে উঠেছিল। শিরোপার লড়াইয়ে ওঠার আগে নিউজিল্যান্ডকেই পেয়েছিল। ইনজামাম-উল হক, ওয়াসিম আকরামদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মার্টিন ক্রোদের কাঁদিয়ে ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। শিরোপাটাও নিজেদের করে নিতে পেরেছিল ইমরানের দল। এবারও পাকিস্তান সেমিতে উঠেছে অনেকেটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ভাগ্যের ছোঁয়াও তারা যথেষ্ট পেয়েছে।
গতকাল সিডনির সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, ’৯২-এর স্মৃতি কতটা অনুপ্রাণিত করছে পাকিস্তান দলকে? বাবরদের অস্ট্রেলিয়ান মেন্টর বলেছেন, ‘এটা প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করছে না। আমরা সবাই সে টুর্নামেন্টের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝি।’ ৯২ ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্মৃতি।’
এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় চিন্তা বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। দলের ব্যাটিং বিভাগের দুই স্তম্ভ টুর্নামেন্টজুড়ে সেভাবে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। হেইডেন এখানে মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০০৭ বিশ্বকাপে তাঁর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কথা। টুর্নামেন্টজুড়ে বেশ সংগ্রাম করা ‘গিলি’ই ফাইনালে ১৪৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন। হেইডেন আশাবাদী, বাবর-রিজওয়ানও হয়তো তাঁদের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন বড় মঞ্চের জন্য। অবশ্য গত এক বছরে বড় উপলক্ষ খুব একটা রাঙাতে পারছে না পাকিস্তান। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তান থামে সেমিফাইনালে। সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে তারা হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।
আজ পাকিস্তান অনুপ্রাণিত হতে পারে প্রতিপক্ষের কাছ থেকেই। নিউজিল্যান্ডের এই রোগটা পুরোনো। তাদের নামের পাশে তাই বসে গেছে ‘সেমিফাইনালের দল’ তকমা। পাকিস্তানের কাছেই কিউইরা তিনটি আইসিসির টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে হেরেছে। ১৯৯২ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপ আর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। গত তিন বছরের পারফরম্যান্সে কিউইদের আর সেমিফাইনালের দল বলার উপায় নেই। টানা দুটি আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে তারা। ট্র্যাজেডি হচ্ছে, দুটিতেই হেরেছে তারা। ২০১৯ সালে কিউইদের স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের কাছে আর গত বছর দুবাইয়ে তাসমান পাড়ের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এই অপ্রিয় প্রসঙ্গটা গতকাল উঠল নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে। উইলিয়ামসন বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন এই বলে, ‘আমরা শুধুই নিজেদের খেলায় মনোযোগ রাখছি। এই টুর্নামেন্টে আমরা দেখছি যেকোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। এটা সত্যি রোমাঞ্চকর এক টুর্নামেন্ট।’
গত মাসে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের মোড়কে একটা পোশাকি মহড়া হয়ে গিয়েছিল দুই দলের মধ্যে। সেটির ফাইনাল জিতেছিল পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড দুই দলই মনে করে, ওই সিরিজের সঙ্গে আজকের ম্যাচের কোনো সম্পর্ক নেই। টুর্নামেন্টজুড়ে দুই দল যেভাবে এগিয়েছে, তাতে ক্রাইস্টচার্চের ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্পর্ক খোঁজার যুক্তিও নেই। পাকিস্তানের বাবর-রিজওয়ানরা ছন্দে না থাকলেও তাদের বোলিং বিভাগ আটকে দিতে পারে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা গ্লেন ফিলিপস-ডেভন কনওয়েদের। প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, দুই দল আজ সিডনিতে নামছে রোমাঞ্চকর এক সেমিফাইনাল উপহার দিতে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫