মুসাররাত আবির
হাঙ্গেরিকে বলা হয়ে থাকে ইউরোপের উচ্চশিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। দেশটির ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রিসেনে বিএসসি বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের আমানি হাসনাত। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হাঙ্গেরি সরকার প্রদত্ত স্টাইপেন্ডিয়াম বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমান তিনি।
বৃত্তি কথা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর নানা ধরনের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটিভেদে হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি থাকতে হয়।
প্রতিবছর হাঙ্গেরি সরকার ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড সুবিধাসহ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এই স্কলারশিপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবে হাঙ্গেরির উচ্চশিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিকীকরণ এবং বিশ্বজুড়ে হাঙ্গেরির উচ্চশিক্ষার মান ও খ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়া। এই বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ হওয়া পর্যন্ত ব্যাচেলর ও মাস্টার্স লেভেলে শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ১৩০ ইউরো দেওয়া হবে। আর ডক্টরাল প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রথম ধাপের প্রথম ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ ইউরো করে মাসিক ভাতা পাবেন। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫৫০ ইউরো করে মাসিক ভাতা পাবেন। বাংলাদেশ এডুকেশন মিনিস্ট্রির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় এখানে প্রতিবছর অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি মিলিয়ে ১০০ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হতো, যা টিউশন ফির পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার মতো আনুষঙ্গিক খরচও বহন করে।
পড়াশোনা ও টিউশন ফি
ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলোই হাঙ্গেরিতে আছে। এখানে মেডিসিন, ফার্মেসি, ডেন্টিস্ট্রি, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক, পরিবেশবিজ্ঞান, খাদ্যবিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা যায়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের উন্নত ল্যাব, রিসার্চ ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে; যা পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে নিয়োগে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।
ব্যাচেলর ডিগ্রির মেয়াদ সাধারণত তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির মেয়াদ এক থেকে দুই বছর এবং ডক্টরাল ডিগ্রির মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যাচেলর কোর্স হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় পড়ানো হলেও, অনেক ইংরেজি কোর্সও রয়েছে। টিউশন ফি প্রতি সেমিস্টারে ২ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার ইউনিভার্সিটি, কোর্স ও লেভেলের ওপর।
সুযোগ-সুবিধা
হাঙ্গেরি সব সময় বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ। এখানে ইংরেজি ভাষাভাষীর মানুষ খুব কম হলেও তরুণদের মধ্যে ইংরেজি জানার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি হাঙ্গেরিয়ান ভাষা শেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিনা মূল্যে এক বছর হাঙ্গেরিয়ান কোর্সও করানো হয়। আর বাঙালি হাঙ্গেরিজুড়ে বিভিন্ন শহরে আছেন। হাঙ্গেরি সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় সেই দেশের ভিসা নিয়ে ২৬টি দেশে যাতায়াত করা যায়। ছুটির সময়ে অন্য দেশে গিয়েও কাজ করে আয় করা যায়। খণ্ডকালীন চাকরি করে মাসে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। থাকার খরচও খুব কম, পড়াশোনা শেষে খুব সহজেই নাগরিকত্ব ও ইউরোপে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশি অনেক ছাত্রছাত্রী হাঙ্গেরিতে এসে ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগালে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই বসবাস করার সুযোগ পান।
ভর্তির প্রক্রিয়া
হাঙ্গেরিতে সাধারণত বছরে দুইবার আবেদন করা যায়। একটি হলো ১ এপ্রিল থেকে ১ জুলাই এবং অপরটি ১ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব অনলাইন ওয়েবসাইট।
ভর্তি হতে যা যা লাগবে
কাগজগুলো সত্যায়িত করে আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে অনলাইন পরীক্ষা নিতে পারে। আপনার পরীক্ষা, একাডেমিক ও অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা করে আপনাকে ভর্তির ফলাফল জানাবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
হাঙ্গেরিকে বলা হয়ে থাকে ইউরোপের উচ্চশিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। দেশটির ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রিসেনে বিএসসি বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের আমানি হাসনাত। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হাঙ্গেরি সরকার প্রদত্ত স্টাইপেন্ডিয়াম বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমান তিনি।
বৃত্তি কথা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর নানা ধরনের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটিভেদে হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি থাকতে হয়।
প্রতিবছর হাঙ্গেরি সরকার ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড সুবিধাসহ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এই স্কলারশিপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবে হাঙ্গেরির উচ্চশিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিকীকরণ এবং বিশ্বজুড়ে হাঙ্গেরির উচ্চশিক্ষার মান ও খ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়া। এই বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ হওয়া পর্যন্ত ব্যাচেলর ও মাস্টার্স লেভেলে শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ১৩০ ইউরো দেওয়া হবে। আর ডক্টরাল প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রথম ধাপের প্রথম ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ ইউরো করে মাসিক ভাতা পাবেন। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫৫০ ইউরো করে মাসিক ভাতা পাবেন। বাংলাদেশ এডুকেশন মিনিস্ট্রির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় এখানে প্রতিবছর অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি মিলিয়ে ১০০ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হতো, যা টিউশন ফির পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার মতো আনুষঙ্গিক খরচও বহন করে।
পড়াশোনা ও টিউশন ফি
ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলোই হাঙ্গেরিতে আছে। এখানে মেডিসিন, ফার্মেসি, ডেন্টিস্ট্রি, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক, পরিবেশবিজ্ঞান, খাদ্যবিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা যায়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের উন্নত ল্যাব, রিসার্চ ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে; যা পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে নিয়োগে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।
ব্যাচেলর ডিগ্রির মেয়াদ সাধারণত তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির মেয়াদ এক থেকে দুই বছর এবং ডক্টরাল ডিগ্রির মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যাচেলর কোর্স হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় পড়ানো হলেও, অনেক ইংরেজি কোর্সও রয়েছে। টিউশন ফি প্রতি সেমিস্টারে ২ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার ইউনিভার্সিটি, কোর্স ও লেভেলের ওপর।
সুযোগ-সুবিধা
হাঙ্গেরি সব সময় বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ। এখানে ইংরেজি ভাষাভাষীর মানুষ খুব কম হলেও তরুণদের মধ্যে ইংরেজি জানার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি হাঙ্গেরিয়ান ভাষা শেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিনা মূল্যে এক বছর হাঙ্গেরিয়ান কোর্সও করানো হয়। আর বাঙালি হাঙ্গেরিজুড়ে বিভিন্ন শহরে আছেন। হাঙ্গেরি সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় সেই দেশের ভিসা নিয়ে ২৬টি দেশে যাতায়াত করা যায়। ছুটির সময়ে অন্য দেশে গিয়েও কাজ করে আয় করা যায়। খণ্ডকালীন চাকরি করে মাসে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। থাকার খরচও খুব কম, পড়াশোনা শেষে খুব সহজেই নাগরিকত্ব ও ইউরোপে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশি অনেক ছাত্রছাত্রী হাঙ্গেরিতে এসে ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগালে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই বসবাস করার সুযোগ পান।
ভর্তির প্রক্রিয়া
হাঙ্গেরিতে সাধারণত বছরে দুইবার আবেদন করা যায়। একটি হলো ১ এপ্রিল থেকে ১ জুলাই এবং অপরটি ১ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব অনলাইন ওয়েবসাইট।
ভর্তি হতে যা যা লাগবে
কাগজগুলো সত্যায়িত করে আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে অনলাইন পরীক্ষা নিতে পারে। আপনার পরীক্ষা, একাডেমিক ও অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা করে আপনাকে ভর্তির ফলাফল জানাবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫