নুসরাত জাহান শুচি
বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজান মাস এলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বেশি বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি করেন। তবে আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, সবাই স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি ভালো থাকতে। যেকোনো প্রার্থনার চূড়ান্ত ফলাফল এটিই।
কিন্তু আসলেই কি আমরা ভালো থাকার প্রার্থনা করি?
সাধারণত আমরা কী চেয়ে থাকি?
-শৈশবে আমরা কী চাইতাম?
-আমরা কেউ চাইতাম যেন স্কুল-কলেজে প্রথম হতে পারি, সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারি, মা-বাবাকে ভালো রাখতে পারি, দেশ ও দশের কল্যাণ করতে পারি। আর ইচ্ছামতো খেলনা-চকলেট কিনতে পারি।
-কৈশোরে আমরা কী চাইতাম?
-আমাদের ওই বন্ধু বা বান্ধবী যে আমার সঙ্গে ঝগড়া করেছে তাকে যেন চান্স পেলেই উত্তমমধ্যম দিতে পারি। সারা দিন ঘুরব এই তো চাওয়া ছিল। আরও কত-কী!
-যৌবনে আমরা কী চাই?
একটা ক্যারিয়ার, অনেক টাকা, আর যদি কোনো মেয়ে বা ছেলেকে ভালো লাগে, তবে তাকেই যেন বিয়ে করতে পারি। পুরো বিশ্ব ঘুরতে পারি, পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারি ইত্যাদি।
-মা-বাবা কী চান?
-তাঁদের সন্তান যেন অনেক বড় হয়, অনেক খ্যাতি অর্জন করতে পারে। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। মোটকথা তাঁদের সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।
এই হলো সাধারণ মানুষের নিত্য চাওয়া-পাওয়ার তালিকা।
কিন্তু আমাদের এত চাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য হলো, ভালো থাকা। যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা চাই, তখন এটি আমরা ভুলেই যাই।
এর ফলে সৃষ্টিকর্তা যখন আমাদের চাওয়াগুলো পূরণ করেন, তখন অনেকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে, অনেকে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারে, অনেকে পছন্দের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। আবার অনেকের সন্তান থাকে দুধে-ভাতে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ভালো থাকা অধরা থেকে যায়। এই যেমন পছন্দের ক্যারিয়ার পেয়ে জীবনকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না, মন তখন সব ছেড়ে পালাতে চায়। বিয়ের পর আর প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভালো লাগে না, ডিভোর্স হয়। আর সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মা-বাবাকে রেখে আসেন বৃদ্ধাশ্রমে। এই তো আমাদের জন্য করা আমাদেরই দোয়ার ফলাফল। যেখানে ভালো থাকাটাই অধরা থেকে যায়।
কথায় আছে না ‘গড ইজ দ্য বেস্ট প্ল্যানার’—আমরা সবাই এ কথাটির সঙ্গে কম-বেশি পরিচিত। আমাদের ভালো-মন্দ সবকিছুর হিসাব সৃষ্টিকর্তার কাছে থাকে। তিনি জানেন, আমাদের কিসে ভালো হয় আর কিসে মন্দ। আমরা আমাদের চাওয়ার পর চাইতে পারতাম—হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমাদের জন্য যা ভালো হয়, তা-ই করো। অথবা আমার চাওয়ার মাঝেই আমার ভালো থাকার পথ দাও।
হয়তো নিজেদের কিছু চাওয়ার জন্যই আমাদের জীবন আমাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
এখানেই শেষ নয়। সব ধর্মেই মা-বাবাকে সবার ওপরে স্থান দিয়েছে। বলা হয়েছে, মা-বাবার কথা, তাঁদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে। তাই মা-বাবা যখন আমাদের বলেন, এখন পড়তে বসো, সন্তান সেটি খুব সহজে শুনবে না, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু মা-বাবার আদেশ না মানার জন্য তাদের নামে হয়তো একটি পাপ লেখা হচ্ছে। এমন অনেক বিষয়ই আমরা অবহেলা করে যাই। নিজের প্রিয় সন্তানকে হয়তো নিজেরাই কষ্টের মুখে ফেলি। আমরা সরাসরি পড়তে বসার আদেশ না করে বলতে পারি, তোমার পড়তে বসা উচিত।
এভাবে ভাবলে আমাদের ভালো থাকার জন্য আমরা যে কাজগুলো করি, তার বেশির ভাগই যে আমাদের খারাপ থাকার জন্য দায়ী, আমরা নিজেরাই হয়তোবা বুঝতে পারি না।
তাই পবিত্র মাস বলে আমরা যা ইচ্ছে চাইতে পারি না। আমাদের নিজেদের ইচ্ছের ওপর আমাদের ভালো থাকা নির্ভর করে না। আমরা নিজেদের কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের ভালো থাকা। আবেগের দাম রয়েছে। কিন্তু আবেগের বশে ক্ষণিকের চিন্তা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনি কোনো প্রার্থনা করাও উচিত নয়।
নুসরাত জাহান শুচি, সাংবাদিক
বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজান মাস এলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বেশি বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি করেন। তবে আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, সবাই স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি ভালো থাকতে। যেকোনো প্রার্থনার চূড়ান্ত ফলাফল এটিই।
কিন্তু আসলেই কি আমরা ভালো থাকার প্রার্থনা করি?
সাধারণত আমরা কী চেয়ে থাকি?
-শৈশবে আমরা কী চাইতাম?
-আমরা কেউ চাইতাম যেন স্কুল-কলেজে প্রথম হতে পারি, সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারি, মা-বাবাকে ভালো রাখতে পারি, দেশ ও দশের কল্যাণ করতে পারি। আর ইচ্ছামতো খেলনা-চকলেট কিনতে পারি।
-কৈশোরে আমরা কী চাইতাম?
-আমাদের ওই বন্ধু বা বান্ধবী যে আমার সঙ্গে ঝগড়া করেছে তাকে যেন চান্স পেলেই উত্তমমধ্যম দিতে পারি। সারা দিন ঘুরব এই তো চাওয়া ছিল। আরও কত-কী!
-যৌবনে আমরা কী চাই?
একটা ক্যারিয়ার, অনেক টাকা, আর যদি কোনো মেয়ে বা ছেলেকে ভালো লাগে, তবে তাকেই যেন বিয়ে করতে পারি। পুরো বিশ্ব ঘুরতে পারি, পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারি ইত্যাদি।
-মা-বাবা কী চান?
-তাঁদের সন্তান যেন অনেক বড় হয়, অনেক খ্যাতি অর্জন করতে পারে। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। মোটকথা তাঁদের সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।
এই হলো সাধারণ মানুষের নিত্য চাওয়া-পাওয়ার তালিকা।
কিন্তু আমাদের এত চাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য হলো, ভালো থাকা। যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা চাই, তখন এটি আমরা ভুলেই যাই।
এর ফলে সৃষ্টিকর্তা যখন আমাদের চাওয়াগুলো পূরণ করেন, তখন অনেকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে, অনেকে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারে, অনেকে পছন্দের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। আবার অনেকের সন্তান থাকে দুধে-ভাতে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ভালো থাকা অধরা থেকে যায়। এই যেমন পছন্দের ক্যারিয়ার পেয়ে জীবনকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না, মন তখন সব ছেড়ে পালাতে চায়। বিয়ের পর আর প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভালো লাগে না, ডিভোর্স হয়। আর সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মা-বাবাকে রেখে আসেন বৃদ্ধাশ্রমে। এই তো আমাদের জন্য করা আমাদেরই দোয়ার ফলাফল। যেখানে ভালো থাকাটাই অধরা থেকে যায়।
কথায় আছে না ‘গড ইজ দ্য বেস্ট প্ল্যানার’—আমরা সবাই এ কথাটির সঙ্গে কম-বেশি পরিচিত। আমাদের ভালো-মন্দ সবকিছুর হিসাব সৃষ্টিকর্তার কাছে থাকে। তিনি জানেন, আমাদের কিসে ভালো হয় আর কিসে মন্দ। আমরা আমাদের চাওয়ার পর চাইতে পারতাম—হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমাদের জন্য যা ভালো হয়, তা-ই করো। অথবা আমার চাওয়ার মাঝেই আমার ভালো থাকার পথ দাও।
হয়তো নিজেদের কিছু চাওয়ার জন্যই আমাদের জীবন আমাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
এখানেই শেষ নয়। সব ধর্মেই মা-বাবাকে সবার ওপরে স্থান দিয়েছে। বলা হয়েছে, মা-বাবার কথা, তাঁদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে। তাই মা-বাবা যখন আমাদের বলেন, এখন পড়তে বসো, সন্তান সেটি খুব সহজে শুনবে না, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু মা-বাবার আদেশ না মানার জন্য তাদের নামে হয়তো একটি পাপ লেখা হচ্ছে। এমন অনেক বিষয়ই আমরা অবহেলা করে যাই। নিজের প্রিয় সন্তানকে হয়তো নিজেরাই কষ্টের মুখে ফেলি। আমরা সরাসরি পড়তে বসার আদেশ না করে বলতে পারি, তোমার পড়তে বসা উচিত।
এভাবে ভাবলে আমাদের ভালো থাকার জন্য আমরা যে কাজগুলো করি, তার বেশির ভাগই যে আমাদের খারাপ থাকার জন্য দায়ী, আমরা নিজেরাই হয়তোবা বুঝতে পারি না।
তাই পবিত্র মাস বলে আমরা যা ইচ্ছে চাইতে পারি না। আমাদের নিজেদের ইচ্ছের ওপর আমাদের ভালো থাকা নির্ভর করে না। আমরা নিজেদের কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের ভালো থাকা। আবেগের দাম রয়েছে। কিন্তু আবেগের বশে ক্ষণিকের চিন্তা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনি কোনো প্রার্থনা করাও উচিত নয়।
নুসরাত জাহান শুচি, সাংবাদিক
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪