Ajker Patrika

তাঁর মতো প্রাণবন্ত মানুষ খুব কমই দেখেছি

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৫৬
Thumbnail image

হুমায়ুন ফরীদি বাংলাদেশের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে একজন। আমার সৌভাগ্য আমি উনাকে ছাত্রজীবন থেকে পেয়েছি। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। তাঁর সঙ্গে যখন পরিচয়, তখন তিনি ঢাকা থিয়েটারে অলরেডি জয়েন করেছেন। দু-একটা নাটকেও অভিনয় করেছেন।

আমার অভিনয়ের শুরুটাও নাটকীয়ভাবে হয় তাঁর হাত ধরে। তিনিই আমাকে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৯৮০ সালে, আমাদের হলের নাট্যোৎসব প্রতিযোগিতার একটি নাটকে।

আমি যখন ঢাকা থিয়েটারে যোগ দিই, তখন থেকে তিনি আমাকে নানা পরামর্শ দিতেন। একসঙ্গে নাটকের ওয়ার্কশপ করতাম। ওনার সঙ্গে সহশিল্পী হয়ে কাজ শুরু করেছি ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকে। টেলিভিশনেও একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া—যাঁর কাছ থেকে কাজ শিখেছি, তিনি আমার পরিচালনায় অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। ধারাবাহিক ‘স্পর্শের বাইরে’ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে অনেক নাটকে আমি ফরীদি ভাইকে নিয়ে কাজ করেছি।

শহীদুজ্জামান সেলিমকারণ, আমার ওই জায়গাটা ছিল, যেখানে ফরীদি ভাই, সুবর্ণা, আসাদ ভাই—তাঁরা কখনো না করতে পারতেন না। তাই আমি এই সুযোগটা নিতাম। ফরীদি ভাইকে বলতাম, আপনাকে এই নাটকে অভিনয় করতে হবে, রাজি হতে দ্বিতীয়বার ভাবতেন না। সময়মতো আসতেন সব সময়। শিডিউল নিয়ে কখনো ভোগাননি। এই জীবনে আমাকে যদি কেউ ভালো অভিনেতা বলেন, এর অনেকটা কৃতিত্ব ওনার।

তাঁর মতো প্রাণবন্ত মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। ভীষণ সাবলীল ছিলেন। হাসি-আড্ডায় চারপাশ মাতিয়ে রাখতেন। অনেক কঠিন চরিত্র যখন পেতাম, ওনার সঙ্গে পরামর্শ করতাম। অভিনয়ের ক্ষেত্রে ফরীদি ভাই আমার প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন। এখন আর জিজ্ঞেস করার মানুষ নেই। তাই তাঁর বলে যাওয়া কথাগুলোই স্মরণ করতে থাকি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত