আবুল কাশেম, সাঁথিয়া (পাবনা)
‘থাকিলে ডোবাখানা, হবে কচুরিপানা,
বাঘে হরিণে খানা একসাথে
খাবে না...’
বাঘে আর হরিণে একসঙ্গে খানা খাওয়া অসম্ভব হলেও কচুরিপানা এখন আর ফেলনা নয়। এটি দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। আপাতদৃষ্টে কৃষকের গলার কাঁটা এই জলজ উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য। সেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম। সেই গ্রামের রফিকুল-জয়তুন দম্পতি তাঁদের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন কচুরিপানা দিয়ে তৈরি পণ্যের একটি কুটিরশিল্প প্রকল্প। গ্রামের মানুষের কাছ থেকে বিলে অযত্নে জন্মানো কচুরিপানা কিনে রোদে শুকিয়ে সেগুলো তাঁরা পাঠাচ্ছেন জয়পুরহাটের একটি কারখানায়। প্রতি মণ শুকনা কচুরিপানা বিক্রি করেন তাঁরা ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সেই কারখানায় এসব শুকনা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব টব, ফুলদানি, বালতি, পাটি, ট্রে, ফুলঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, টেবিল ম্যাটসহ প্রায় ২০ ধরনের পণ্য। এ ছাড়া রফিকুলের বাড়িতেও তৈরি হচ্ছে কিছু পণ্য।
সম্প্রতি এক সকালে রসুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ কচুরিপানা সংগ্রহে ব্যস্ত। আবদুল লতিফ ও তাঁর স্ত্রী কাজ করছিলেন সেখানে। কাজ করতে করতে কথা বলছিলেন আবদুল লতিফ। তিনি জানালেন, শুধু রসুলপুর নয়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া, ঘুঘুদহ, গৌরী গ্রাম, দোপমাজগ্রাম, ধাতালপুর, মিয়াপুর, বহলবাড়িয়া, বানিয়াবছ, গাঙ্গোহাটি এবং পাশের বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর, হাটুরিয়া, নাকালিয়াসহ ১৫টি গ্রামের মানুষ কচুরিপানা সংগ্রহের পর বিক্রি করেন রফিকুলের কাছে।
কথা হলো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়তুন খাতুনের সঙ্গে। কচুরিপানা দিয়ে পণ্য তৈরির পেছনের গল্প জানালেন তিনি। বেত দিয়ে তৈরি পণ্য বিক্রির পারিবারিক ব্যবসা ছিল তাঁর স্বামী রফিকুলের। ব্যবসার কাজে একবার স্বামী-স্ত্রী গিয়েছিলেন ঢাকায়। সেখানে বিডি ক্রিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে জানতে পারেন, কচুরিপানা দিয়েও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা যায়। সেই তথ্যে তাঁদের মনে হয়, কাজটি তাঁরা নিজেরাও করতে পারেন।
বিডি ক্রিয়েশনকে তাঁদের ইচ্ছার কথা জানান জয়তুন। এরপর সেখান থেকে তিনজন মাস্টার তাঁদের গ্রামে গিয়ে হাতেকলমে শিখিয়ে দেন, কচুরিপানা দিয়ে কীভাবে জিনিসপত্র তৈরি করতে হয়। সেই শুরু। ধীরে ধীরে জয়তুন গ্রামের নারীদের এ কাজে যুক্ত করেন। এখন ৩০-৪০ জন নারী কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ করছেন তাঁদের বাড়িতে। বর্তমানে ১০ রকমের পণ্য তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। তবে নগদ অর্থের অভাবে মাঝেমধ্যে কাজটি সচল রাখতে হিমশিম খেতে হয় জয়তুন ও রফিকুলকে।
কথা হয় বিডি ক্রিয়েশনের কর্ণধার আবদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের আটটি দেশে কচুরিপানায় তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রতিবছর দেড় কোটি থেকে দুই কোটি টাকার এসব পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
‘থাকিলে ডোবাখানা, হবে কচুরিপানা,
বাঘে হরিণে খানা একসাথে
খাবে না...’
বাঘে আর হরিণে একসঙ্গে খানা খাওয়া অসম্ভব হলেও কচুরিপানা এখন আর ফেলনা নয়। এটি দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। আপাতদৃষ্টে কৃষকের গলার কাঁটা এই জলজ উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য। সেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম। সেই গ্রামের রফিকুল-জয়তুন দম্পতি তাঁদের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন কচুরিপানা দিয়ে তৈরি পণ্যের একটি কুটিরশিল্প প্রকল্প। গ্রামের মানুষের কাছ থেকে বিলে অযত্নে জন্মানো কচুরিপানা কিনে রোদে শুকিয়ে সেগুলো তাঁরা পাঠাচ্ছেন জয়পুরহাটের একটি কারখানায়। প্রতি মণ শুকনা কচুরিপানা বিক্রি করেন তাঁরা ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সেই কারখানায় এসব শুকনা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব টব, ফুলদানি, বালতি, পাটি, ট্রে, ফুলঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, টেবিল ম্যাটসহ প্রায় ২০ ধরনের পণ্য। এ ছাড়া রফিকুলের বাড়িতেও তৈরি হচ্ছে কিছু পণ্য।
সম্প্রতি এক সকালে রসুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ কচুরিপানা সংগ্রহে ব্যস্ত। আবদুল লতিফ ও তাঁর স্ত্রী কাজ করছিলেন সেখানে। কাজ করতে করতে কথা বলছিলেন আবদুল লতিফ। তিনি জানালেন, শুধু রসুলপুর নয়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া, ঘুঘুদহ, গৌরী গ্রাম, দোপমাজগ্রাম, ধাতালপুর, মিয়াপুর, বহলবাড়িয়া, বানিয়াবছ, গাঙ্গোহাটি এবং পাশের বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর, হাটুরিয়া, নাকালিয়াসহ ১৫টি গ্রামের মানুষ কচুরিপানা সংগ্রহের পর বিক্রি করেন রফিকুলের কাছে।
কথা হলো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়তুন খাতুনের সঙ্গে। কচুরিপানা দিয়ে পণ্য তৈরির পেছনের গল্প জানালেন তিনি। বেত দিয়ে তৈরি পণ্য বিক্রির পারিবারিক ব্যবসা ছিল তাঁর স্বামী রফিকুলের। ব্যবসার কাজে একবার স্বামী-স্ত্রী গিয়েছিলেন ঢাকায়। সেখানে বিডি ক্রিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে জানতে পারেন, কচুরিপানা দিয়েও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা যায়। সেই তথ্যে তাঁদের মনে হয়, কাজটি তাঁরা নিজেরাও করতে পারেন।
বিডি ক্রিয়েশনকে তাঁদের ইচ্ছার কথা জানান জয়তুন। এরপর সেখান থেকে তিনজন মাস্টার তাঁদের গ্রামে গিয়ে হাতেকলমে শিখিয়ে দেন, কচুরিপানা দিয়ে কীভাবে জিনিসপত্র তৈরি করতে হয়। সেই শুরু। ধীরে ধীরে জয়তুন গ্রামের নারীদের এ কাজে যুক্ত করেন। এখন ৩০-৪০ জন নারী কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ করছেন তাঁদের বাড়িতে। বর্তমানে ১০ রকমের পণ্য তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। তবে নগদ অর্থের অভাবে মাঝেমধ্যে কাজটি সচল রাখতে হিমশিম খেতে হয় জয়তুন ও রফিকুলকে।
কথা হয় বিডি ক্রিয়েশনের কর্ণধার আবদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের আটটি দেশে কচুরিপানায় তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রতিবছর দেড় কোটি থেকে দুই কোটি টাকার এসব পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫