চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিলে গোখাদ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। এ ছাড়া দাবদাহে মাঠের ঘাসের সংকটও দেখা দিয়েছে। এতে অনেক খামারি গরু-ছাগলের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো খামারি লাভ হচ্ছে না বলে খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এদিকে খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকদের শুধু খৈল, ভুসি ও দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কাঁচা ঘাস চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলার একাধিক খামারি ও গোখাদ্যের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দু-তিন মাস আগে এক কেজি গমের ভুসির দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বর্তমানে তা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকার বেশি। এদিকে প্রতি কেজি খৈল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি চালের খুদ ৩৫ টাকা। এ ছাড়া দানাদার খাদ্য বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। দুই মাস আগের তুলনায় বেড়েছে ৫-৭ টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০০টি গরু ও ১৫০টি ছাগলের খামার রয়েছে। অধিকাংশ খামারি বাজার থেকে খড়, ভুসি, খৈলসহ নানা রকম দানাদার খাদ্য কিনে গরু-ছাগল লালন পালন করেন।
হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের খামারি কবির হোসেন বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করে, কিন্তু গোখাদ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না। গোখাদ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে এক শ্রেণির অসাধু চক্র জড়িত বলে মনে হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে গরু-ছাগল পালন ছেড়ে দিতে হবে।
সাহাপুর বাজারের গরু-ছাগলের খাদ্য কিনতে আসা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘কৃষিকাজের পাশাপাশি এবার ঈদে গরু পালন করে বাড়তি কিছু আয়ের চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে মাঠে ঘাস কম পাওয়া যাচ্ছে। হঠাৎ করে খৈল, ভুসিসহ গোখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে গরু পালন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।’ খামারিদের দাবি, গোখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সে অনুযায়ী দাম বাড়েনি পশুর। এ কারণে ভালো দামে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রান্তিক কৃষকসহ খামারিরা।
চাটখিল পৌর শহরের গরু-ছাগলের খাদ্য ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানি যদি খাদ্য বেশি দামে বিক্রি করে, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নাই। আমরা তো আর আমাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিইনি। কোম্পানি দাম কমালে আমরা কমাতে পারব।’
দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের খামারি রহমত উল্লাহ বলেন, তাঁর খামারে দেশি-বিদেশি জাতের ৫০টি গরু ও ৫টি ছাগল রয়েছে। আগে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার খাদ্য লাগত। এখন দাম বাড়ার কারণে সাড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা খাবার কিনতে হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।
নোয়াখলা গ্রামের খামারি মোহাম্মদ মিলন বলেন, ‘আমার খামারে প্রায় ৭০টি দেশি-বিদেশি ষাঁড় রয়েছে। খাদ্যের দাম বাড়ায় আমার প্রতিদিন দুই মাস আগের তুলনায় প্রতিদিন ২ হাজার টাকার খাবার বেশি লাগছে।’
সোমপাড়া বাজারের গোখাদ্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, সব কোম্পানির উৎপাদিত খাদ্যের দাম বেড়েছে গত দুই মাসে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তিনবার, আবার কোনো প্রতিষ্ঠান ৪ বার গোখাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। এতে প্রতি ২৫ কেজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোরবান আলী বলেন, ‘গোখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। খাবারের খরচ বাড়ায় অনেক খামারি গরু-ছাগলের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো খামারি লাভ হচ্ছে না বলে খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকদের বলব, তাঁরা যেন শুধু খৈল ভুসি দানাদার খাদ্যের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে কাঁচা ঘাস চাষ করেন।’
নোয়াখালীর চাটখিলে গোখাদ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। এ ছাড়া দাবদাহে মাঠের ঘাসের সংকটও দেখা দিয়েছে। এতে অনেক খামারি গরু-ছাগলের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো খামারি লাভ হচ্ছে না বলে খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এদিকে খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকদের শুধু খৈল, ভুসি ও দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কাঁচা ঘাস চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলার একাধিক খামারি ও গোখাদ্যের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দু-তিন মাস আগে এক কেজি গমের ভুসির দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বর্তমানে তা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকার বেশি। এদিকে প্রতি কেজি খৈল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি চালের খুদ ৩৫ টাকা। এ ছাড়া দানাদার খাদ্য বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। দুই মাস আগের তুলনায় বেড়েছে ৫-৭ টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০০টি গরু ও ১৫০টি ছাগলের খামার রয়েছে। অধিকাংশ খামারি বাজার থেকে খড়, ভুসি, খৈলসহ নানা রকম দানাদার খাদ্য কিনে গরু-ছাগল লালন পালন করেন।
হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের খামারি কবির হোসেন বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করে, কিন্তু গোখাদ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না। গোখাদ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে এক শ্রেণির অসাধু চক্র জড়িত বলে মনে হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে গরু-ছাগল পালন ছেড়ে দিতে হবে।
সাহাপুর বাজারের গরু-ছাগলের খাদ্য কিনতে আসা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘কৃষিকাজের পাশাপাশি এবার ঈদে গরু পালন করে বাড়তি কিছু আয়ের চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে মাঠে ঘাস কম পাওয়া যাচ্ছে। হঠাৎ করে খৈল, ভুসিসহ গোখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে গরু পালন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।’ খামারিদের দাবি, গোখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সে অনুযায়ী দাম বাড়েনি পশুর। এ কারণে ভালো দামে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রান্তিক কৃষকসহ খামারিরা।
চাটখিল পৌর শহরের গরু-ছাগলের খাদ্য ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানি যদি খাদ্য বেশি দামে বিক্রি করে, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নাই। আমরা তো আর আমাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিইনি। কোম্পানি দাম কমালে আমরা কমাতে পারব।’
দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের খামারি রহমত উল্লাহ বলেন, তাঁর খামারে দেশি-বিদেশি জাতের ৫০টি গরু ও ৫টি ছাগল রয়েছে। আগে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার খাদ্য লাগত। এখন দাম বাড়ার কারণে সাড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা খাবার কিনতে হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।
নোয়াখলা গ্রামের খামারি মোহাম্মদ মিলন বলেন, ‘আমার খামারে প্রায় ৭০টি দেশি-বিদেশি ষাঁড় রয়েছে। খাদ্যের দাম বাড়ায় আমার প্রতিদিন দুই মাস আগের তুলনায় প্রতিদিন ২ হাজার টাকার খাবার বেশি লাগছে।’
সোমপাড়া বাজারের গোখাদ্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, সব কোম্পানির উৎপাদিত খাদ্যের দাম বেড়েছে গত দুই মাসে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তিনবার, আবার কোনো প্রতিষ্ঠান ৪ বার গোখাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। এতে প্রতি ২৫ কেজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোরবান আলী বলেন, ‘গোখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। খাবারের খরচ বাড়ায় অনেক খামারি গরু-ছাগলের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো খামারি লাভ হচ্ছে না বলে খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকদের বলব, তাঁরা যেন শুধু খৈল ভুসি দানাদার খাদ্যের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে কাঁচা ঘাস চাষ করেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪