মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়চিরি দিঘির পাড়ে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এ মেলা চলে। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত না হলেও এ বছর পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
আয়োজক কমিটির কাছ থেকে জানা যায়, এখন থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে শচীন্দ্র প্রসাদ রায় চৌধুরী চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখে তাঁর ৪০০ বছর পুরোনো ছয়চিরি দিঘির পাড়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম চড়ক পূজার আয়োজন করেন। এরপর থেকে এখানে প্রতিবছর এ পূজার আয়োজন করা হয়। এ চড়ক উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিনে চড়ক পূজা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৪৯ একর দিঘির পূর্ব ও উত্তর পাড়ে একটি করে ও দক্ষিণ পাড়ে দুটি পৃথক ১০০ ফুট লম্বা চড়ক গাছ রয়েছে। দিঘির চারপাশের বাসিন্দাদের জন্য আলাদাভাবে চারটি চড়কগাছে সন্ন্যাসী চার ভক্তের পিঠে লোহার দুটি বড়শি গেঁথে রশির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়কগাছ ঘোরানো হচ্ছে।
এ সময় আগত হাজারো দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই বাতাসা আর কলা উড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ছাড়া চড়ক পূজার দুই দিনে কালীনাচ, অগ্নিনাচ, হর গৌরী পূজার আয়োজন করা হয়। এসব পূজাকে কেন্দ্র করে কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটিবেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে পূজা করা হচ্ছে।
পূজার প্রথম দিন প্রায় ৪০ জন ভক্তের শরীরে লোহার শিকল বেঁধে নৃত্যের তালে তালে চড়কগাছ ঘোরানো হয়। চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে একপাশে মেলা বসেছে। মেলায় কৃষিসামগ্রীসহ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পণ্য তুলে ধরা হয়।
চড়ক পূজায় অংশগ্রহণকারী মুন্সীবাজার এলাকার সন্তোষ চক্রবর্তী ও শ্রী নরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী জানান, এ এলাকায় এক মাস ধরে চড়ক পূজার আয়োজন চলে। সনাতনী পঞ্জিকামতে, প্রতিবছরের চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখে এ পূজা উদ্যাপিত হয়। প্রতিটি চড়কে চারজন সন্ন্যাসীভক্তের পিঠে লোহার দুটি করে বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়কগাছ ঘোরানোর দৃশ্যটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আশা সুব্রত কুমার বলেন, ‘গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে এর আয়োজন করা হয়নি। এ বছর চড়ক পূজা হচ্ছে, এ জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি।’
মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর থেকে আগত সন্ন্যাসী বিধু রাম বলেন, ‘আমি ৫০ বছর ধরে সন্ন্যাসী হয়ে আছি। এই উৎসবে ১৮ বছর ধরে অংশগ্রহণ করছি। এখানের চড়ক পূজার আয়োজন অনেক বৃহৎ। চড়ক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন।’
এ পূজা আয়োজন কমিটির সহসভাপতি অসমঞ্জু প্রসাদ রায় চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় ১২০ বছর আগে আমার দাদা প্রথম এই চড়ক পূজার আয়োজন করেন। চড়ক পূজা ও মেলা কেন্দ্র করে ছয়চিরি দিঘির চারপাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসাহে মেতে ওঠেন। এবার এ উৎসব দেখতে সিলেট অঞ্চলসহ সারা দেশ থেকে হাজারো মানুষ এসেছেন। চড়ক পূজায় বিভিন্ন এলাকার ৪০ থেকে ৫০ জন পূজারি অংশ নেন। তাঁদের পরিশ্রমেই এ আয়োজন প্রতিবছর সুন্দরভাবে শেষ হয়।’
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল বলেন, ছয়চিরি দিঘিপাড়ের চড়ক পূজা শতবছর ধরে এ ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এবারের পূজা ও মেলা সম্পন্ন হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়চিরি দিঘির পাড়ে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এ মেলা চলে। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত না হলেও এ বছর পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
আয়োজক কমিটির কাছ থেকে জানা যায়, এখন থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে শচীন্দ্র প্রসাদ রায় চৌধুরী চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখে তাঁর ৪০০ বছর পুরোনো ছয়চিরি দিঘির পাড়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম চড়ক পূজার আয়োজন করেন। এরপর থেকে এখানে প্রতিবছর এ পূজার আয়োজন করা হয়। এ চড়ক উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিনে চড়ক পূজা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৪৯ একর দিঘির পূর্ব ও উত্তর পাড়ে একটি করে ও দক্ষিণ পাড়ে দুটি পৃথক ১০০ ফুট লম্বা চড়ক গাছ রয়েছে। দিঘির চারপাশের বাসিন্দাদের জন্য আলাদাভাবে চারটি চড়কগাছে সন্ন্যাসী চার ভক্তের পিঠে লোহার দুটি বড়শি গেঁথে রশির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়কগাছ ঘোরানো হচ্ছে।
এ সময় আগত হাজারো দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই বাতাসা আর কলা উড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ছাড়া চড়ক পূজার দুই দিনে কালীনাচ, অগ্নিনাচ, হর গৌরী পূজার আয়োজন করা হয়। এসব পূজাকে কেন্দ্র করে কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটিবেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে পূজা করা হচ্ছে।
পূজার প্রথম দিন প্রায় ৪০ জন ভক্তের শরীরে লোহার শিকল বেঁধে নৃত্যের তালে তালে চড়কগাছ ঘোরানো হয়। চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে একপাশে মেলা বসেছে। মেলায় কৃষিসামগ্রীসহ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পণ্য তুলে ধরা হয়।
চড়ক পূজায় অংশগ্রহণকারী মুন্সীবাজার এলাকার সন্তোষ চক্রবর্তী ও শ্রী নরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী জানান, এ এলাকায় এক মাস ধরে চড়ক পূজার আয়োজন চলে। সনাতনী পঞ্জিকামতে, প্রতিবছরের চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখে এ পূজা উদ্যাপিত হয়। প্রতিটি চড়কে চারজন সন্ন্যাসীভক্তের পিঠে লোহার দুটি করে বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়কগাছ ঘোরানোর দৃশ্যটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আশা সুব্রত কুমার বলেন, ‘গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে এর আয়োজন করা হয়নি। এ বছর চড়ক পূজা হচ্ছে, এ জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি।’
মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর থেকে আগত সন্ন্যাসী বিধু রাম বলেন, ‘আমি ৫০ বছর ধরে সন্ন্যাসী হয়ে আছি। এই উৎসবে ১৮ বছর ধরে অংশগ্রহণ করছি। এখানের চড়ক পূজার আয়োজন অনেক বৃহৎ। চড়ক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন।’
এ পূজা আয়োজন কমিটির সহসভাপতি অসমঞ্জু প্রসাদ রায় চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় ১২০ বছর আগে আমার দাদা প্রথম এই চড়ক পূজার আয়োজন করেন। চড়ক পূজা ও মেলা কেন্দ্র করে ছয়চিরি দিঘির চারপাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসাহে মেতে ওঠেন। এবার এ উৎসব দেখতে সিলেট অঞ্চলসহ সারা দেশ থেকে হাজারো মানুষ এসেছেন। চড়ক পূজায় বিভিন্ন এলাকার ৪০ থেকে ৫০ জন পূজারি অংশ নেন। তাঁদের পরিশ্রমেই এ আয়োজন প্রতিবছর সুন্দরভাবে শেষ হয়।’
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল বলেন, ছয়চিরি দিঘিপাড়ের চড়ক পূজা শতবছর ধরে এ ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এবারের পূজা ও মেলা সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪