Ajker Patrika

সুযোগে ইলিশ মজুত

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ০১
সুযোগে ইলিশ মজুত

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন জেলেরা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সুযোগে গত দুই দিন বরিশালের মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলা, কালাবদর, তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার মহোৎসব চলেছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় শেষ মুহূর্তে বরফ দিয়ে ইলিশ মজুতের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ফ্রিজ এবং ট্রাকভর্তি বরফ জব্দও করেছে প্রশাসন।

এদিকে গত ২০ দিনে বরিশাল জেলায় ৪৯৮ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। ঢালাওভাবে জেল-জরিমানায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে এবারের অভিযান। এদিকে টানা নিষেধাজ্ঞার পর জেলেপাড়ায় চলছে মাছ ধরার প্রস্তুতি।

এবারও মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞাকালে বরিশালের মেঘনাবেষ্টিত হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে হামলা-মামলায় চলেছে অস্থিরতা। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে গত দুই-তিন দিন ছিল নদ-নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে জেলেরা দেদার ইলিশ শিকার করেছেন। সেই মাছ মজুত করতে বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক ভরে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে বরফ নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দুই উপজেলার বাসাবাড়ি, বাগান, মাটির নিচেও ইলিশ মজুত করা হয়েছে।

হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেষ সময় তো জেলেরা এ রকম বেপরোয়া হবেই। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ এনে ইলিশ মজুত করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে এক ট্রাক বরফ এবং ইলিশসহ তিনটি ডিপ ফ্রিজ জব্দ করা হয়েছে। গোটা অভিযানে উপজেলায় ২২৩ জনের জেল-জরিমানা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেষ সময় ঢিলেঢালা অভিযানে মা ইলিশ শিকার চলেছে বরিশাল সদর, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জেও। এর নেপথ্যে রয়েছেন প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীরা। মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এবার বরিশালে যেভাবে জেলেদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা রেকর্ড। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ছয় জেলায় এ পর্যন্ত জেল দেওয়া হয়েছে মোট ৬৩৭ জনকে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় হচ্ছে রেকর্ড ৪৯৮ জন।

বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, ২৮ অক্টোবর রাত ১২টার পর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে। এবার জেল-জরিমানা বেশি হয়েছে বরিশালে। তাঁদের তৎপরতাও বেশি ছিল; কিন্তু শ্রমিক নামিয়ে মাছ শিকার করা হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সুযোগে জেলেরা নদীতে নেমে পড়েছিলেন। গত দুই দিনে বেপরোয়াভাবে মা ইলিশ শিকার হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল থেকে তাঁর নেতৃত্বে সদর উপজেলার চরমোনাই, সায়েস্তাবাদ, ভাষানচর, বামনির চরে অভিযান চালানো হয়।

হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জেও মৎস্য কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। হিজলায় গত বুধবার মধ্যরাতে এক ট্রাক বরফ জব্দ করা হয়। মেহেন্দীগঞ্জ-ভোলার সীমান্তে তাঁরা গতকাল ৩৩ জনকে ধরেছেন। উপপরিচালক আনিসুর বলেন, শেষ মুহূর্তে মা ইলিশ ধরে মজুত করার চেষ্টা চালালেও ইতিমধ্যে নদ-নদী নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

হেফাজতের সমাবেশে জুলাইয়ের নারীদের গালিগালাজের নিন্দা জানাই: রিফাত রশিদ

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নেই ১ শতাংশও

জামায়াতের ‘রোহিঙ্গা রাজ্যের প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত