ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ময়মনসিংহে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলার সব জায়গায় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেলার পাঁচ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ধানখেত, কলাবাগান, আখখেত ও সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কিছুটা কমাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সব কটি উপজেলায় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ফুলবাড়িয়া, ফুলপুর, ভালুকা, গফরগাঁও, গৌরীপুর—এই পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাকি আট উপজেলার হিসাব এখনো হাতে পায়নি কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধানের।
এদিকে সিত্রাংয়ে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। তাঁরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। অনেক কৃষকের অভিযোগ, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষি অফিস থেকে তাঁদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি।গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন ক্ষতির মধ্যে পড়ব, তা ভাবিনি। ধানের পাশাপাশি কিছু সবজি চাষ করেছিলাম, সব নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার যদি সহযোগিতা না করে, তাহলে সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলার পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘বাগানে ৭০০ কলাগাছ ছিল। গত রাতে সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে প্রায় ৬০০ কলাগাছ ভেঙে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। কলাগাছগুলোয় ফলনও ভালো হয়েছিল। বাগান ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। এখন দেনা করে আনা টাকা কীভাবে শোধ করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’
আছিম পাটুলী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘৩৫ কাঠা জমিতে লাগানো প্রায় তিন হাজার ছড়া আসা কলাগাছ ঝড়ে মাঝখানে ভেঙে গেছে। এতে আমার প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একেবারে পথে বসেছি। সরকার সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’
রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের পেঁপেচাষি আবু রায়হান বলেন, ‘আমার প্রায় চার হাজার পেঁপেগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। সকাল থেকে মাথা ঘোরাচ্ছে। এখন ভেবে পাচ্ছি না কী করে ক্ষতি পুষিয়ে উঠব। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।’
সোহেল রানা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আলুর জমিতে পানি জমায় আমার স্বপ্ন তলিয়ে গেছে। গত শনিবার মাত্র আলুর বীজ রোপণ করেছিলাম। কফির চারাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি কেমনে পোষাব ভেবে পাচ্ছি না।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, ‘সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে উপজেলায় ২৮৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টর জমির কলাখেতের পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জরিপকাজ চলমান রেখেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। যাঁরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সাহস জোগানোর চেষ্টা করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলে দেখছি, তাঁদের সহযোগিতা করা যায় কি না।’
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মতিউজ্জামান বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাঁচ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে ধানখেত, কলাবাগান, আখখেত ও সবজিখেত। বেশিরভাগ ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যেসব খেতে পানি জমে রয়েছে, সেগুলোর নালা কেটে দেওয়ার জন্য। সরকার যদি সিত্রাংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করে, তাহলে তাঁদের কাছে সেই সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে ময়মনসিংহে ঘরবাড়ি ক্ষতি হওয়ার কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। কারও যদি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়ে থাকে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করব। তবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ সে বিষয়ে আমাদের তথ্য দেবে। পরে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের সহযোগিতা করা যায় কি না, সে বিষয়ে দেখা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ময়মনসিংহে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলার সব জায়গায় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেলার পাঁচ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ধানখেত, কলাবাগান, আখখেত ও সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কিছুটা কমাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সব কটি উপজেলায় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ফুলবাড়িয়া, ফুলপুর, ভালুকা, গফরগাঁও, গৌরীপুর—এই পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাকি আট উপজেলার হিসাব এখনো হাতে পায়নি কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধানের।
এদিকে সিত্রাংয়ে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। তাঁরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। অনেক কৃষকের অভিযোগ, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষি অফিস থেকে তাঁদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি।গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন ক্ষতির মধ্যে পড়ব, তা ভাবিনি। ধানের পাশাপাশি কিছু সবজি চাষ করেছিলাম, সব নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার যদি সহযোগিতা না করে, তাহলে সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলার পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘বাগানে ৭০০ কলাগাছ ছিল। গত রাতে সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে প্রায় ৬০০ কলাগাছ ভেঙে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। কলাগাছগুলোয় ফলনও ভালো হয়েছিল। বাগান ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। এখন দেনা করে আনা টাকা কীভাবে শোধ করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’
আছিম পাটুলী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘৩৫ কাঠা জমিতে লাগানো প্রায় তিন হাজার ছড়া আসা কলাগাছ ঝড়ে মাঝখানে ভেঙে গেছে। এতে আমার প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একেবারে পথে বসেছি। সরকার সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’
রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের পেঁপেচাষি আবু রায়হান বলেন, ‘আমার প্রায় চার হাজার পেঁপেগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। সকাল থেকে মাথা ঘোরাচ্ছে। এখন ভেবে পাচ্ছি না কী করে ক্ষতি পুষিয়ে উঠব। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।’
সোহেল রানা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আলুর জমিতে পানি জমায় আমার স্বপ্ন তলিয়ে গেছে। গত শনিবার মাত্র আলুর বীজ রোপণ করেছিলাম। কফির চারাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি কেমনে পোষাব ভেবে পাচ্ছি না।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, ‘সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে উপজেলায় ২৮৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টর জমির কলাখেতের পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জরিপকাজ চলমান রেখেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। যাঁরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সাহস জোগানোর চেষ্টা করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলে দেখছি, তাঁদের সহযোগিতা করা যায় কি না।’
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মতিউজ্জামান বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাঁচ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে ধানখেত, কলাবাগান, আখখেত ও সবজিখেত। বেশিরভাগ ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যেসব খেতে পানি জমে রয়েছে, সেগুলোর নালা কেটে দেওয়ার জন্য। সরকার যদি সিত্রাংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করে, তাহলে তাঁদের কাছে সেই সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে ময়মনসিংহে ঘরবাড়ি ক্ষতি হওয়ার কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। কারও যদি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়ে থাকে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করব। তবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ সে বিষয়ে আমাদের তথ্য দেবে। পরে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের সহযোগিতা করা যায় কি না, সে বিষয়ে দেখা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪