Ajker Patrika

সরকারি তিন গাড়ি ভাঙচুর

কাউনিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ০৪
সরকারি তিন গাড়ি ভাঙচুর

কাউনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর ভোটের কর্মীদের ওপর হামলা এবং তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যার এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে হারাগাছ থানায় ৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটের দিন সন্ধ্যায় সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি দর্জিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে উপজেলা নিয়ন্ত্রণকক্ষে ফেরার পথে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা নির্বাচনী মালামাল বহন করা একটি ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর দুজন করে সদস্য আহত হন। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

আহতরা হলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নগর বিশেষ শাখার আফফাজুর রহমান ও কিরণ চন্দ্র এবং আনসার সদস্য মো. আব্দুল হাদি ও সাইফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আফফাজুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তালা প্রতীকের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মোস্তাক আহাম্মেদ মস্তু ও তাঁর লোকজন এ হামলা চালায় বলে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাকিবুল আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা করে তিনিসহ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা লোকজন এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যালট ও মালামাল নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হন। এ সময় পরাজিত প্রার্থী মোস্তাক ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা গাড়ির গতিরোধ করে ব্যালট ও সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা এবং তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক দফায় ২৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে।

কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য আলতাব হোসেন জানান, ভোট নেওয়ার পর থেকে সেখানে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ কারণে কেন্দ্রে ফল ঘোষণায় দেরি হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ আসে। পরে ফল ঘোষণার পর সেখান থেকে নির্বাচনী লোকজন ও পুলিশ মালামাল নিয়ে উপজেলা নিয়ন্ত্রণকক্ষে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর প্রায় তিন থেকে চার শতাধিক উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক নির্বাচনী লোকজন ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

সদস্য প্রার্থী মোস্তাক দাবি করেন, কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনা ঘটায়। টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলামের লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তবে বিজয়ী প্রার্থী শফিকুল বলেন, তাঁর লোকজন হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ভোটের সময় মোস্তাকের লোকজন বরং বিকেলে তাঁর দুই ছেলেকে মারপিট করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী বলেন, এ ঘটনায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাকিবুল আলম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০ জনের নামে মামলা করেছেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘ওই কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সারা দিনের পরিবেশ দেখে এমনটা ভাবা যায়নি। এ ঘটনায় মামলায় হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত