Ajker Patrika

ভিজিএফের চালের কার্ডে ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি ও নাম

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৫৯
Thumbnail image

মির্জাপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণের কার্ডে নিজের নাম ও ছবি ব্যবহার করে দুস্থদের মধ্যে সরকারি চাল বিতরণ করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। শুধু তা-ই নয়, নিজের তৈরি করা ওই কার্ডে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করে গ্রাম আদালতের সিল তৈরি করে তা ব্যবহার করেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

টাঙ্গাইল জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক ও উপজেলার বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার সারা দেশে দুস্থদের মধ্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে। উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৮ হাজার ২৮২টি গরিব পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। এর মধ্যে বানাইল ইউনিয়নে ১ হাজার ১২৮ জন ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।

এদিকে সরকার থেকে দেওয়া ভিজিএফের চাল বানাইল ইউনিয়নের বিতরণের জন্য কার্ড তৈরি করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী। এতে নিজের নাম ও ছবি ব্যবহার করে করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, কার্ডের ওপর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক-সংবলিত গ্রাম আদালতের সিলও ব্যবহার করেন তিনি।

এ বিষয়ে বানাইল ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মাজম আলী বলেন, সরকারের দেওয়া উপহারে চেয়ারম্যান কেন তাঁর ছবি ব্যবহার করবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল বলেন, বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে কাজটি করেছেন, তা বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।

তবে বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী বলেন, কেউ যেন জালিয়াতি করে চাল নিতে না পারে সে সে জন্যই তাঁর নাম ও ছবি দিয়ে টোকেন তৈরি করা হয়েছে। কার্ডে দাঁড়িপাল্লা-সংবলিত প্রতীক দিয়ে তৈরি সিল ব্যবহার করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি গ্রাম আদালতের সিল।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গণি বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণের কার্ডে চেয়ারম্যানের ছবি ব্যবহার করার সুযোগ নেই। গ্রাম আদালতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের নির্ধারিত কোনো লোগো নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত