Ajker Patrika

এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

এশার নামাজ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের অন্যতম। পশ্চিম আকাশের দিগন্ত লালিমা অদৃশ্য হওয়ার পর থেকে সুবহে সাদিক উদয় হওয়া পর্যন্ত এশার নামাজের সময়। তবে মধ্যরাতের পরে এ নামাজ আদায় করা মাকরুহ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও হাদিস শরিফে এশার নামাজের বিশেষ কয়েকটি ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নিচে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—

নিফাক-মুক্তির সনদ: রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর নামাজ হলো এশা ও ফজরের নামাজ। এ দুই নামাজের কী ফজিলত, তা যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এ দুই নামাজে অংশ নিত।’ (মুসলিম) আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.) বলেন, ‘আমরা ফজর ও এশার নামাজে কাউকে অনুপস্থিত দেখলে তাঁর ব্যাপারে আমাদের মনে মুনাফিক হওয়ার সংশয় সৃষ্টি হতো।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এশা ও ফজরের নামাজে পরিচিত মুনাফিক ও অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কাউকে অনুপস্থিত দেখা যেত না।’ (মুসলিম) 

অর্ধরাত ইবাদতের সওয়াব: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতসহকারে পড়ল, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত ইবাদত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতসহকারে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে থেকে ইবাদত করল।’ (মুসলিম) 

সারা দিনের ক্লান্তি, পরিবারের লোকদের সঙ্গে আড্ডা, ঘুমের তাড়না ইত্যাদি কারণে এশার নামাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়। এ জন্য রাসুল (সা.) একাধিক হাদিসে বিশেষভাবে এ নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত