Ajker Patrika

আকাঙ্ক্ষা থেকেই মানুষ সবকিছু করে

সম্পাদকীয়
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৭: ৩১
Thumbnail image

মানুষের যাবতীয় কর্মচাঞ্চল্য উৎসারিত আকাঙ্ক্ষা থেকে। কিছু উৎসুক নীতিশাস্ত্রজ্ঞ এমন একটি ভুল তত্ত্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, নীতিবোধের স্বার্থে অভিলাষ বা আকাঙ্ক্ষা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। আমি এটাকে মিথ্যা বলব কেবল এ কারণে নয় যে, কোনো মানুষ কখনোই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কোনো কাজ করে না; বরং এ কারণে যে, কোনো দায়িত্বই তার কাছে পাত্তা পায় না যতক্ষণ না সে দায়িত্ববান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। মানুষ কী করবে এটা জানতে যদি আপনি আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে কেবল তাদের বস্তুগত পারিপার্শ্বিকতা জানলে চলবে না, তাদের তুলনামূলক শক্তির সঙ্গে অভিলাষের গোটা ব্যাপারটির সংশ্লিষ্টতা সম্বন্ধেও জানতে হবে।

এমন কিছু আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, যা বেশ শক্তিশালী, কিন্তু নিয়ম বা আইন হিসেবে এগুলোর রাজনৈতিক কোনো গুরুত্ব নেই। অধিকাংশ পুরুষ জীবনের কোনো একসময় বিয়ে করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে থাকে, কিন্তু নিয়ম হিসেবে তারা এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে রাজনৈতিক কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও রয়েছে, স্যাবাইন এক নারীর ধর্ষণ এ ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন ভয়াবহভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল এ কারণে যে, বলিষ্ঠ তরুণ যাদের কাজ করা উচিত, তারা নারীসমাজবিবর্জিত হওয়াকে মোটেই পছন্দ করেনি। কিন্তু এ ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক। নারী ও পুরুষ একে অপরের সান্নিধ্যে কাটাবে এ-জাতীয় সাধারণ আগ্রহের খুব সামান্য প্রভাব রয়েছে রাজনীতির ওপর।

রাজনৈতিকভাবে যেসব আকাঙ্ক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোকে মুখ্য ও গৌণ এ দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। মুখ্য অংশে জীবনের প্রয়োজন এগুলোই: খাদ্য, বাসস্থান ও বস্ত্র। এই বস্তুগত জিনিসগুলো যখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে, তখন এগুলো পূরণে মানুষের উদ্যোগের কোনো সীমা থাকে না বা এ সময় হানাহানি প্রদর্শন বিবেচনাবোধকেও ছাড়িয়ে যায়। 

বার্ট্রান্ড রাসেল ১৯৫০ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত