Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতা চাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন। এ জন্য প্রচারের পাশাপাশি তাঁরা ছুটছেন কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের কাছে।

বিএনপি জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় একমাত্র আওয়ামী লীগের দলের প্রার্থীই নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। সে ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়নের পাশাপাশি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বও অনেক। তাই এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে কদর বেড়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের।

জানা গেছে, ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন হবে। নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলা পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯০। তাঁদের মধ্যে পাঁচ পৌরসভায় ৫ জন মেয়র, ৪৫ জন কাউন্সিলর ও ১৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর, ৮ উপজেলা পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান ও ১৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ৭৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ৭৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৯৩ জন সাধারণ ইউপি সদস্য ও ২৩১ জন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রয়েছেন।

এদিকে ইসির তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন বৈঠকে চালাচ্ছেন প্রচার। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান মোহন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সিনিয়র সহসভাপতি মো. রেজাউল করিম আলমগীর মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মো. তসলিম সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহীন মিয়া ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সুলতান আহমেদ মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সম্পৃক্ত। সফলতা ও সততার সঙ্গে পৌরসভা ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারব ইনশা আল্লাহ। তাই আশা করছি, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্ররাজনীতি করি এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও দায়িত্বরত রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে আমি ন্যায়ের সঙ্গে কাজ করব।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। পরে চাকরি করলেও আওয়ামী লীগ থেকে বিমুখ হইনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং আছি। আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে ঢাকা আছি, ঢাকা থেকে এসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা করব।’

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত