Ajker Patrika

‘লিফ ব্লাস্টে’ বোরোর ক্ষতি

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১২: ৫০
‘লিফ ব্লাস্টে’ বোরোর ক্ষতি

নওগাঁর মান্দায় বিভিন্ন মাঠের বোরো ধান গাছ লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শুরুতে ধানগাছের পাতায় ফোঁটা ফোঁটা কালচে দাগ পড়ে। পর্যায়ক্রমে তা পুরো পাতায় ছড়িয়ে মরিচার মতো ধরে নষ্ট হয়ে যায় এ গাছ। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটিয়েও সুফল মিলছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। দিনে প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরম পড়ছে। একই সঙ্গে রাতে অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। ভোরে পড়ছে হালকা কুয়াশাও। এ ধরনের আবহাওয়া ধানগাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অনুকূল পরিবেশ। ছত্রাকনাশকসহ কুইক ও ফাস্ট-জাতীয় পটাশ প্রয়োগ করলে কয়েক দিনের মধ্যে ধানগাছ আবার সবুজ ও সতেজ হয়ে উঠবে।

কৃষকেরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় সেচ খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম। কীটনাশকের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এক বিঘা জমিতে একবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে প্রকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। এরপরও আছে প্রতিকূল পরিবেশের শঙ্কা। এসব কারণে চলতি মৌসুমে ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রি-ধান ৮১, ব্রি-ধান ৮৯ ও ৯২, ব্রি-ধান ৫৭, ব্রি-ধান ২৮, জিরাশাইল, কাটারিভোগসহ উচ্চফলনশীল জাতের ধান। এ ছাড়া দুই বিঘা জমিতে প্রথমবার রোপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান।

নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, এ মৌসুমে তিনি ব্রি-ধান ৮১ ও ব্রি-ধান ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। ব্রি-ধান ২৮ জাতের জমিতে হঠাৎ করেই ধানগাছের পাতায় ফোঁটা ফোঁটা কালচে দাগ দেখা দেয়। কয়েক দিনের মধ্যে তা পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কালো মরিচার মতো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুই দফা বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা হওয়ার কারণে ধানগাছে লিফ ব্লাস্ট দেখা যাচ্ছে। তবে সেটা ক্ষতিকর মাত্রায় নয়। এ রোগে করণীয় বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কার্বনডাজিম গ্রুপের যেকোনো ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে এর সংক্রমণ কমে যাবে। একই সঙ্গে কুইক কিংবা ফাস্ট-জাতীয় পটাশ প্রয়োগে উপকার পাবেন কৃষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত