নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ সিডও সনদে (কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অন অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন/নারীর প্রতি বৈষম্য নির্মূলের সনদ) স্বাক্ষর করার পর কেটে গেছে ৩৮ বছর। কিন্তু সনদের মোট ৩০টি ধারার মধ্যে দুটি ধারা সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এই ধারা দুটোতে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার এবং নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সরকার বিভিন্ন প্রতিবেদনে সিডও বাস্তবায়নে অগ্রগতির কথা বলে থাকে। কিন্তু যে দুটি ধারায় সিডওর মূল বক্তব্য রয়েছে, সেখানেই সংরক্ষণ থাকায় এই সনদ বাস্তবায়নে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে যাচ্ছে।
আজ সিডও দিবস। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে নারীর প্রতি সব বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হতে শুরু করে। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিডও সনদে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। সে সময় সনদের ২, ১৩(ক), ১৬(১)(গ) ও (চ) ধারার ওপর সংরক্ষণ রেখেছিল বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে ২ এবং ১৬(১)(গ) ধারার ওপর সংরক্ষণ বহাল রেখে বাকি দুটি থেকে তুলে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘১৯৮৪ সালে সিডও স্বাক্ষরের পরে বহু সরকার এসেছে, গেছে। কিন্তু ২ এবং ১৬(১)(গ) ধারা থেকে আপত্তি ওঠেনি। অথচ ওই ধারা দুটিই সিডওর মূল বক্তব্য। আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ব্যাংক হারাবার ভয়ে এই জায়গাগুলোতে কোনো কথাই বলে না। ভারতের মতো দেশেও দেওয়ানি আইনে পারিবারিক বৈষম্যমূলক বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই।’
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেই ২৮, ২৯ ও ৩০ ধারায় নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সিডওর মূল কথাও সেটাই। অথচ সব সরকারের সময়ই দুটি ধারা বাদ রাখা হচ্ছে। যার ফলে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা দূর হচ্ছে না।’
পারিবারিক আইনে নারী-পুরুষ সমানাধিকার না থাকার ফলেই নারী নির্যাতন, গৃহ সহিংসতা বাড়ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে সিডওর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। রাতারাতি তো এটা করে ফেলা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপ হয়েছে। সামনেও আছে।’
বাংলাদেশ সিডও সনদে (কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অন অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন/নারীর প্রতি বৈষম্য নির্মূলের সনদ) স্বাক্ষর করার পর কেটে গেছে ৩৮ বছর। কিন্তু সনদের মোট ৩০টি ধারার মধ্যে দুটি ধারা সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এই ধারা দুটোতে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার এবং নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সরকার বিভিন্ন প্রতিবেদনে সিডও বাস্তবায়নে অগ্রগতির কথা বলে থাকে। কিন্তু যে দুটি ধারায় সিডওর মূল বক্তব্য রয়েছে, সেখানেই সংরক্ষণ থাকায় এই সনদ বাস্তবায়নে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে যাচ্ছে।
আজ সিডও দিবস। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে নারীর প্রতি সব বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হতে শুরু করে। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিডও সনদে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। সে সময় সনদের ২, ১৩(ক), ১৬(১)(গ) ও (চ) ধারার ওপর সংরক্ষণ রেখেছিল বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে ২ এবং ১৬(১)(গ) ধারার ওপর সংরক্ষণ বহাল রেখে বাকি দুটি থেকে তুলে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘১৯৮৪ সালে সিডও স্বাক্ষরের পরে বহু সরকার এসেছে, গেছে। কিন্তু ২ এবং ১৬(১)(গ) ধারা থেকে আপত্তি ওঠেনি। অথচ ওই ধারা দুটিই সিডওর মূল বক্তব্য। আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ব্যাংক হারাবার ভয়ে এই জায়গাগুলোতে কোনো কথাই বলে না। ভারতের মতো দেশেও দেওয়ানি আইনে পারিবারিক বৈষম্যমূলক বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই।’
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেই ২৮, ২৯ ও ৩০ ধারায় নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সিডওর মূল কথাও সেটাই। অথচ সব সরকারের সময়ই দুটি ধারা বাদ রাখা হচ্ছে। যার ফলে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা দূর হচ্ছে না।’
পারিবারিক আইনে নারী-পুরুষ সমানাধিকার না থাকার ফলেই নারী নির্যাতন, গৃহ সহিংসতা বাড়ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে সিডওর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। রাতারাতি তো এটা করে ফেলা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপ হয়েছে। সামনেও আছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪