Ajker Patrika

স্যালাইন বানানোর ভুলে জটিলতা বাড়ে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১২: ৩৭
Thumbnail image

প্রশ্ন: আমার সন্তানের বয়স সাড়ে তিন বছর। ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথার সমস্যা হচ্ছে। ওকে কতটুকু স্যালাইন দেওয়া যাবে?

লিনা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ

দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম একই। বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন বানানো যাবে না। এই স্যালাইন বানানোর ভুলের জন্য অনেক শিশুর জটিলতা বাড়ে। শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ান। সঙ্গে ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি ইত্যাদি খাওয়ান।

ডা. নূরজাহান বেগম স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

প্রশ্ন: আমার মেয়ে সবে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠেছে। চিকিৎসা ঘরেই হয়েছে। খুবই দুর্বল। ১০ বছর বয়স তার। মুখে একদমই রুচি নেই। ভারী খাবার একদমই খেতে পারছে না। পুষ্টিকর ও মুখরোচক কয়েকটি খাবারের পরামর্শ দেওয়া যায়?

ফেরদৌস আরা, পরশুরাম, ফেনী

ডেঙ্গুসহ যেকোনো জ্বরের পরে খাওয়ার রুচি কিছুটা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে জিংক, ভিটামিন বি ও এল লাইসিন অ্যামিনো অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খুব কার্যকরী।

দুধ, পনির, দুধের তৈরি খাবার, ডিম, মুরগির মাংস, চিংড়ি, বাদাম, শিম, মটরশুঁটি, লেবু, তেঁতুল এ খাবারগুলো জিংক এবং এল লাইসিন উভয় উপাদানে সমৃদ্ধ। এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়াতে পারেন। এগুলোতেও ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এর সঙ্গে কিছু রসাল মিষ্টি ফল খাওয়ান, যেমন মাল্টা, কমলা, আনারস, পেঁপে, আঙুর ইত্যাদি।

খাবার কম মসলাযুক্ত হবে এবং নরম করে রান্না করবেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী খাবার হচ্ছে স্যুপ। স্যুপে সব ধরনের উপাদানই দেওয়া যায়। তাই মেয়েকে ঘন ঘন স্যুপ খাওয়ান, সঙ্গে রসাল মিষ্টি ফল। আশা করি ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই মুখের রুচি ফিরে আসবে এবং শারীরিক দুর্বলতা কমে যাবে।দুধের তৈরি খাবারে চিনি দিলে লাইসিনের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যেতে পারে। তাই চিনি দেবেন না।

পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন, পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল।

প্রশ্ন: প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগেছিল। দাঁড়িয়ে হাঁচি দেওয়ার পর থেকে পিঠের নিচের অংশে টান পড়ে। ঠান্ডা সেঁক দিই। না কমায় কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে স্নান করি। সরষের তেল গরম করে মালিশ করা হয়েছে। কিন্তু সামান্য টান এখনো অনুভূত হয়। পরিত্রাণের উপায় কী?

বিল্লাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা

অনেক সময় আমরা হাঁচি বা কাশি দিলে কোমর বা পিঠের দিকে যে মাসল রয়েছে, তা পুল হয়। মাসল পুলিংয়ের ক্ষেত্রে বরফ সেঁক অনেক সময় ভালো কাজ করে। যেহেতু ঠান্ডা বা গরম সেঁক কোনোটাই কাজ করছে না, সে ক্ষেত্রে একটা এক্স-রে বা এমআরআই করাতে হবে। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলোও করা যেতে পারে। তবে আগে এক্স-রে ও এমআরআই করে তবেই চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

উম্মে শায়লা রুমকী, যুক্তরাজ্যে রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট, পিটিআরসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত