এম এস রানা
গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন কবির বকুল। নন্দিত এই গীতিকার একসময় গান গাইতেন, সুরও করতেন। এখন আবার সুর ও সংগীত পরিচালনার কথা ভাবছেন তিনি। কবির বকুলের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। এটাই কি কোনো গীতিকারের সবচেয়ে বেশি জাতীয় পুরস্কার পাওয়া?
সম্ভবত তাই। যত দূর জানি, গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার এর আগে কেউ পাননি।
আপনার অনুভূতি কী?
খুব ভালো। আসলে প্রতিটি পুরস্কারই তো আমার কাজের স্বীকৃতি। স্বীকৃতি পেতে সবারই ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো লাগে আমি যে এখনো ভালো গান, শ্রোতাদের পছন্দের গান লিখতে পারছি—এটা ভেবে।
যে গানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন, সেই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে অনেক বিতর্কও হলো। আপনার বক্তব্য কী?
বাঙালির চেতনাতেই তো মিশে আছেন নজরুল-রবীন্দ্রনাথ। নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে অনেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইনের আশ্রয় নিয়ে তাঁদের লেখনীকে সমৃদ্ধ করেছেন। গানের প্রয়োজনে পুরোনো বা প্রচলিত গানের কথা নিয়েও নতুন গান হচ্ছে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। তা ছাড়া, জুরিবোর্ডে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বিজ্ঞ, পড়াশোনা জানা লোক। আমার লেখা ২৪ লাইনের একটি গানের একটি লাইন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে আশ্রিত, সেটা তাঁরাও জানেন। অনেকে তো এটাও বলেছেন, ওই লাইন গানটাকে সমৃদ্ধ করেছে।
নতুন গীতিকারেরা কেন পুরস্কার পাচ্ছেন না? তাঁরা কি ভালো লিখতে পারছেন না?
নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভালো গান লিখছেন। নিশ্চয়ই তাঁরাও পুরস্কৃত হবেন। তবে একটা বিষয় কি জানেন? অ্যালবামের গান লেখা আর সিনেমার গান লেখা এক নয়।
কেমন?
সিনেমার গানটাকে আমি বলি ফরমায়েশি গান। পরিচালক তাঁর স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁকে ডাকবেন। সেই স্ক্রিপ্টের সিক্যুয়েন্স অনুযায়ীই গানটি লিখে দিতে হয়। ফলে এমন গান লেখার নিয়মিত চর্চা এবং সিনেমা ও পরিচালকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাটা জরুরি। অডিও অ্যালবামের জন্য এটা জরুরি নয়। এক্ষেত্রে একজন গীতিকবি স্বাধীন ভাবনা থেকে নিজের মতো করে গানটি লিখতে পারেন।
তাহলে কি সিনেমার গানে মেধার চেয়ে চর্চা বেশি জরুরি?
অবশ্যই। মেধার মূল্যায়ন তো হবেই, কিন্তু চর্চা না থাকলে সিনেমার জন্য ভালো গান লেখাটা কঠিন।
আপনি গানের সুরও করেছেন?
করেছি, একসময় গান গেয়েছি। পরবর্তী সময়ে গীতিকার হিসেবেই নিয়মিত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আবার সুর ও সংগীত পরিচালনা করছি।
প্রথম কোন সিনেমায় গান সুর করেছেন?
ফেরদৌস-শাবনূর অভিনীত সাইমন তারেকের ‘এ চোখে শুধু তুমি’। এ সিনেমার সব কটি গানের সুর-সংগীত আমার করা।
সুরকার হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন?
আমার সুর করা অনিন্দিতা দাস তালুকদারের গাওয়া দশটি গানের অ্যালবাম ‘ভালোবাসা তোমায় দিলাম ছুটি’। অ্যালবামটি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট ডেব্যু অ্যালবামের পুরস্কার পেয়েছিল।
নবীন গীতিকারদের জন্য কোনো কথা বা পরামর্শ?
নবীনদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আমিও তো একসময় নবীন ছিলাম। পরিবর্তনের ছোঁয়াটা নবীনদের হাত ধরেই হয়। অনেকেই ভালো লিখছেন। কেউ কেউ পুরষ্কৃত হচ্ছেন। সবার জন্য শুভকামনা।
গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন কবির বকুল। নন্দিত এই গীতিকার একসময় গান গাইতেন, সুরও করতেন। এখন আবার সুর ও সংগীত পরিচালনার কথা ভাবছেন তিনি। কবির বকুলের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। এটাই কি কোনো গীতিকারের সবচেয়ে বেশি জাতীয় পুরস্কার পাওয়া?
সম্ভবত তাই। যত দূর জানি, গীতিকার হিসেবে ছয়বার জাতীয় পুরস্কার এর আগে কেউ পাননি।
আপনার অনুভূতি কী?
খুব ভালো। আসলে প্রতিটি পুরস্কারই তো আমার কাজের স্বীকৃতি। স্বীকৃতি পেতে সবারই ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো লাগে আমি যে এখনো ভালো গান, শ্রোতাদের পছন্দের গান লিখতে পারছি—এটা ভেবে।
যে গানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন, সেই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে অনেক বিতর্কও হলো। আপনার বক্তব্য কী?
বাঙালির চেতনাতেই তো মিশে আছেন নজরুল-রবীন্দ্রনাথ। নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে অনেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইনের আশ্রয় নিয়ে তাঁদের লেখনীকে সমৃদ্ধ করেছেন। গানের প্রয়োজনে পুরোনো বা প্রচলিত গানের কথা নিয়েও নতুন গান হচ্ছে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। তা ছাড়া, জুরিবোর্ডে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বিজ্ঞ, পড়াশোনা জানা লোক। আমার লেখা ২৪ লাইনের একটি গানের একটি লাইন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে আশ্রিত, সেটা তাঁরাও জানেন। অনেকে তো এটাও বলেছেন, ওই লাইন গানটাকে সমৃদ্ধ করেছে।
নতুন গীতিকারেরা কেন পুরস্কার পাচ্ছেন না? তাঁরা কি ভালো লিখতে পারছেন না?
নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভালো গান লিখছেন। নিশ্চয়ই তাঁরাও পুরস্কৃত হবেন। তবে একটা বিষয় কি জানেন? অ্যালবামের গান লেখা আর সিনেমার গান লেখা এক নয়।
কেমন?
সিনেমার গানটাকে আমি বলি ফরমায়েশি গান। পরিচালক তাঁর স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁকে ডাকবেন। সেই স্ক্রিপ্টের সিক্যুয়েন্স অনুযায়ীই গানটি লিখে দিতে হয়। ফলে এমন গান লেখার নিয়মিত চর্চা এবং সিনেমা ও পরিচালকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাটা জরুরি। অডিও অ্যালবামের জন্য এটা জরুরি নয়। এক্ষেত্রে একজন গীতিকবি স্বাধীন ভাবনা থেকে নিজের মতো করে গানটি লিখতে পারেন।
তাহলে কি সিনেমার গানে মেধার চেয়ে চর্চা বেশি জরুরি?
অবশ্যই। মেধার মূল্যায়ন তো হবেই, কিন্তু চর্চা না থাকলে সিনেমার জন্য ভালো গান লেখাটা কঠিন।
আপনি গানের সুরও করেছেন?
করেছি, একসময় গান গেয়েছি। পরবর্তী সময়ে গীতিকার হিসেবেই নিয়মিত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আবার সুর ও সংগীত পরিচালনা করছি।
প্রথম কোন সিনেমায় গান সুর করেছেন?
ফেরদৌস-শাবনূর অভিনীত সাইমন তারেকের ‘এ চোখে শুধু তুমি’। এ সিনেমার সব কটি গানের সুর-সংগীত আমার করা।
সুরকার হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন?
আমার সুর করা অনিন্দিতা দাস তালুকদারের গাওয়া দশটি গানের অ্যালবাম ‘ভালোবাসা তোমায় দিলাম ছুটি’। অ্যালবামটি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট ডেব্যু অ্যালবামের পুরস্কার পেয়েছিল।
নবীন গীতিকারদের জন্য কোনো কথা বা পরামর্শ?
নবীনদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আমিও তো একসময় নবীন ছিলাম। পরিবর্তনের ছোঁয়াটা নবীনদের হাত ধরেই হয়। অনেকেই ভালো লিখছেন। কেউ কেউ পুরষ্কৃত হচ্ছেন। সবার জন্য শুভকামনা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪