মীর রাকিব হাসান
ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি বেশ সরব। হঠাৎ এমন পরিবর্তন?
ফেসবুক থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। নতুন করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছিল নাদিয়া আহমেদ (অভিনেত্রী, স্ত্রী)। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রশংসাসূচক বার্তা পাচ্ছি। রাশি রাশি ভালোবাসা মিলছে। ওপার বাংলায়ও পরিচিতি বেড়েছে। অনেকেই বলছেন, আশফাক চরিত্রটি দিয়ে এক নতুন নাঈমের উপস্থাপন হয়েছে।
‘কারাগার’ সিরিজে ডিবি অফিসার আশফাক চরিত্রে চমকে দিয়েছেন। এই চমকে দেওয়ার রহস্যটা কী?
প্রথমে বলতে হবে আমি এই আশফাক চরিত্রে কেন? আমাকে শাওকীর টিম অফিসে ডাকল। গিয়ে দেখি আমার লাইফের সব কাজের একটা তালিকা তৈরি করে আমার সঙ্গে কথা বলছে। ওরা আমাকে বোঝাল আশফাক চরিত্রে আমি কেন? বলল, ‘আশফাক দায়িত্ববান চরিত্র। আমরা এমন কাউকে চাই, যাকে অন্য চরিত্রগুলোর সঙ্গেও খাপছাড়া না লাগে। আমরা আপনার সম্পর্কে ডিটেইল খোঁজখবর নিয়েছি।’ এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। তারা কী চাচ্ছে, খুবই স্পষ্ট। প্রথম সিটিংয়েই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে মনে ঠিক করলাম, এই কাজটি করার জন্য যত কষ্টই করতে হয়, আমি করব।
চরিত্রটার জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতিটাও ছিল দীর্ঘ। আমার যে বয়স, তা একটু বাড়িয়ে কাঁচা-পাকা চুলে পাওয়া গেছে। শুধু চুলটা কাঁচা-পাকা নয়, ওজনটাও বাড়াতে হয়েছে। আমাকে ফিট বা নাঈম হয়ে থাকতে হবে এমন ভাবনাই কাজ করেনি। আমাকে আশফাক হয়ে উঠতে হয়েছে। ১৫-১৬ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। দৈনন্দিন যে খাবার খাই, সেটা একটু বাড়িয়েছি। তাতেই ওজন বেড়ে গেছে।
গত বছর তো মেদ ঝরিয়ে ওজন কমিয়ে নতুন লুকে হাজির হয়েছিলেন?
কাজ থেকে অনেক দিনের একটা বিরতি নিয়েছিলাম। যখন কাজে ফিরলাম, নিজেকে নতুন করে তৈরি করেছিলাম। যখন মেদ ঝরিয়ে নতুন লুকে ফিরেছি, অনেকেই চমকে গেছেন! বলছেন, ‘আপনি তো একেবারেই বাচ্চা হয়ে গেছেন।’ লুক বদলের সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।
সেই নাঈম আবার আশফাক চরিত্রের জন্য ওজন বাড়িয়েছেন?
এটা হয়েছে পরিচালকের প্রতি মুগ্ধতার কারণে। শাওকীর পরিচালন-দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছি। আশফাক চরিত্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিজের দর্শনও পরিবর্তন করেছে কারাগার সিরিজটি। শাওকী সৎ একজন ছেলে। কারাগারে অনেক চরিত্র আছে। তাদের যাকে ইচ্ছে জিজ্ঞেস করবেন, বলবে শাওকী প্রচণ্ড সৎ ছেলে। আমিও তাঁর ভক্ত হয়ে গেছি। আমি সব সময় একটা জিনিস চেষ্টা করি, যখন দেখি পরিচালক তাঁর কাজের ব্যাপারে স্পষ্ট, তখন নিজেকে ওয়াটার লেভেলে রাখি। যাতে উনি যা চাইছেন, সেটা যেন হয়ে উঠতে পারি। পরিচালক শাওকী আমাকে যেভাবে ড্রাইভ করেছে, সেভাবেই চলার চেষ্টা করেছি।
কারাগার সিরিজে ইন্তেখাব দিনারের সঙ্গে আপনার যে কেমিস্ট্রি, তার জন্য আপনার কী ধরনের ছিল?
দিনার ভাইয়ের সঙ্গে যত দিন কাজ করেছি, সব সময় দেখেছি স্ক্রিপ্টের সঙ্গে কীভাবে যেন একটা অদ্ভুত সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করে নেন। স্ক্রিপ্টটা তিনি অনেকবার পড়েন। মানে ফাইনাল পরীক্ষার মতো ওনার হাতে স্ক্রিপ্টটা থাকবেই। আশপাশের শিল্পীদের সঙ্গে বারবার কথা বলা। পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলা। দৃশ্যের মধ্যেও ছোট ছোট ডেভলপ হয়েছে। আমি সেই একই নাঈম শুটিং করছি। কিন্তু পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার আর সহশিল্পীদের কারণে নতুনভাবে উপস্থাপন হয়েছি।
ক্যারিয়ারের এক যুগ পর অভিনেতা হিসেবে নিজেকে এখন কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
এক যুগ পরে তো একটা মানুষের নতুন হওয়াই উচিত। ওটিটির যুগ চলছে। নতুন ভাবনা আসছে। আমিও নাহয় নতুন হলাম।
বর্তমান ব্যস্ততা ও পরিকল্পনা কী?
নতুন কাজ নিয়ে কথা চলছে। সময় নিয়ে কাজগুলো করতে চাচ্ছি। প্রতিদিন শুটিং থাকতে হবে এমন পথে হাঁটতে চাইছি না। নিজেকে আরও গোছাতে চাই।
ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি বেশ সরব। হঠাৎ এমন পরিবর্তন?
ফেসবুক থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। নতুন করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছিল নাদিয়া আহমেদ (অভিনেত্রী, স্ত্রী)। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রশংসাসূচক বার্তা পাচ্ছি। রাশি রাশি ভালোবাসা মিলছে। ওপার বাংলায়ও পরিচিতি বেড়েছে। অনেকেই বলছেন, আশফাক চরিত্রটি দিয়ে এক নতুন নাঈমের উপস্থাপন হয়েছে।
‘কারাগার’ সিরিজে ডিবি অফিসার আশফাক চরিত্রে চমকে দিয়েছেন। এই চমকে দেওয়ার রহস্যটা কী?
প্রথমে বলতে হবে আমি এই আশফাক চরিত্রে কেন? আমাকে শাওকীর টিম অফিসে ডাকল। গিয়ে দেখি আমার লাইফের সব কাজের একটা তালিকা তৈরি করে আমার সঙ্গে কথা বলছে। ওরা আমাকে বোঝাল আশফাক চরিত্রে আমি কেন? বলল, ‘আশফাক দায়িত্ববান চরিত্র। আমরা এমন কাউকে চাই, যাকে অন্য চরিত্রগুলোর সঙ্গেও খাপছাড়া না লাগে। আমরা আপনার সম্পর্কে ডিটেইল খোঁজখবর নিয়েছি।’ এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। তারা কী চাচ্ছে, খুবই স্পষ্ট। প্রথম সিটিংয়েই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে মনে ঠিক করলাম, এই কাজটি করার জন্য যত কষ্টই করতে হয়, আমি করব।
চরিত্রটার জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতিটাও ছিল দীর্ঘ। আমার যে বয়স, তা একটু বাড়িয়ে কাঁচা-পাকা চুলে পাওয়া গেছে। শুধু চুলটা কাঁচা-পাকা নয়, ওজনটাও বাড়াতে হয়েছে। আমাকে ফিট বা নাঈম হয়ে থাকতে হবে এমন ভাবনাই কাজ করেনি। আমাকে আশফাক হয়ে উঠতে হয়েছে। ১৫-১৬ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। দৈনন্দিন যে খাবার খাই, সেটা একটু বাড়িয়েছি। তাতেই ওজন বেড়ে গেছে।
গত বছর তো মেদ ঝরিয়ে ওজন কমিয়ে নতুন লুকে হাজির হয়েছিলেন?
কাজ থেকে অনেক দিনের একটা বিরতি নিয়েছিলাম। যখন কাজে ফিরলাম, নিজেকে নতুন করে তৈরি করেছিলাম। যখন মেদ ঝরিয়ে নতুন লুকে ফিরেছি, অনেকেই চমকে গেছেন! বলছেন, ‘আপনি তো একেবারেই বাচ্চা হয়ে গেছেন।’ লুক বদলের সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।
সেই নাঈম আবার আশফাক চরিত্রের জন্য ওজন বাড়িয়েছেন?
এটা হয়েছে পরিচালকের প্রতি মুগ্ধতার কারণে। শাওকীর পরিচালন-দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছি। আশফাক চরিত্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিজের দর্শনও পরিবর্তন করেছে কারাগার সিরিজটি। শাওকী সৎ একজন ছেলে। কারাগারে অনেক চরিত্র আছে। তাদের যাকে ইচ্ছে জিজ্ঞেস করবেন, বলবে শাওকী প্রচণ্ড সৎ ছেলে। আমিও তাঁর ভক্ত হয়ে গেছি। আমি সব সময় একটা জিনিস চেষ্টা করি, যখন দেখি পরিচালক তাঁর কাজের ব্যাপারে স্পষ্ট, তখন নিজেকে ওয়াটার লেভেলে রাখি। যাতে উনি যা চাইছেন, সেটা যেন হয়ে উঠতে পারি। পরিচালক শাওকী আমাকে যেভাবে ড্রাইভ করেছে, সেভাবেই চলার চেষ্টা করেছি।
কারাগার সিরিজে ইন্তেখাব দিনারের সঙ্গে আপনার যে কেমিস্ট্রি, তার জন্য আপনার কী ধরনের ছিল?
দিনার ভাইয়ের সঙ্গে যত দিন কাজ করেছি, সব সময় দেখেছি স্ক্রিপ্টের সঙ্গে কীভাবে যেন একটা অদ্ভুত সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করে নেন। স্ক্রিপ্টটা তিনি অনেকবার পড়েন। মানে ফাইনাল পরীক্ষার মতো ওনার হাতে স্ক্রিপ্টটা থাকবেই। আশপাশের শিল্পীদের সঙ্গে বারবার কথা বলা। পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলা। দৃশ্যের মধ্যেও ছোট ছোট ডেভলপ হয়েছে। আমি সেই একই নাঈম শুটিং করছি। কিন্তু পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার আর সহশিল্পীদের কারণে নতুনভাবে উপস্থাপন হয়েছি।
ক্যারিয়ারের এক যুগ পর অভিনেতা হিসেবে নিজেকে এখন কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
এক যুগ পরে তো একটা মানুষের নতুন হওয়াই উচিত। ওটিটির যুগ চলছে। নতুন ভাবনা আসছে। আমিও নাহয় নতুন হলাম।
বর্তমান ব্যস্ততা ও পরিকল্পনা কী?
নতুন কাজ নিয়ে কথা চলছে। সময় নিয়ে কাজগুলো করতে চাচ্ছি। প্রতিদিন শুটিং থাকতে হবে এমন পথে হাঁটতে চাইছি না। নিজেকে আরও গোছাতে চাই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪