মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার রেললাইনের ওপর দিয়ে তৈরি হওয়া অধিকাংশ সড়কপথে নেই গেট এবং গেটম্যান। পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার অভাব ও অসচেতনতায় এসব রেলপথ এখন মরণফাঁদ। আর এসব রেলক্রসিং পারাপারের সময় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলেও এসব রেলক্রসিংয়ে গেট স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব বিষয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে হালসা এবং পোড়াদহ থেকে খোকসা পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। আর এই রেলপথে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক রেললাইনের ওপর দিয়ে চলাচলের কাজে ব্যবহৃত পাকা সড়কপথ আছে। এর মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে গেট এবং গেটম্যান থাকলেও বাকিগুলো সম্পূর্ণ অরক্ষিত। আর এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা।
সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছরের শুরুতে কুষ্টিয়ার কাঠদহচর এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি গাড়ি উঠে পড়ে অরক্ষিত রেললাইন। তখন খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয় গাড়িটিকে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই শ্রমিক। ওই স্থানে রেলক্রসিংয়ের কোনো গেট এবং গেটম্যান না থাকার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সে সময় এলাকাবাসী দুর্ঘটনাস্থলে রেলগেট স্থাপনের দাবি জানালেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
কিছু কিছু রেলক্রসিং এলাকায় চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ লিখে একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে সব দায় শেষ করে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। চলাচলে নিষেধ থাকলেও সেসব ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে পাকা সড়ক করে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। এমন একটি রেলক্রসিং মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামে। গ্রামের মানুষের শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কপথে এই রেলক্রসিংটি। বড় কোনো যান এখান দিয়ে চলাচল না করলেও নছিমন, করিমন, অটোরিকশা ও ছোট ট্রাকসহ দিনে অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এই রেলক্রসিংয়ে নেই কোনো গেট বা গেটম্যান। শুধু ‘সামনে রেলগেট, চলাচল নিষিদ্ধ’-এমন একটি ভাঙাচোরা, অস্পষ্ট সাইনবোর্ড রয়েছে।
মামুনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এ জায়গা দিয়ে আমরা প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক এটি, প্রতিদিন শত শত মানুষ এ সড়কে চলাচল করে। কিন্তু এখানে কোনো রেলগেট নেই। রাস্তার ওপর রেল কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড লিখে রেখেছে চলাচল নিষেধ, আবার সড়ক বিভাগ সেই সড়ক পাকা করে দিয়েছে চলাচলের জন্য। এটা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না।’
একই উপজেলার ধুবাইল গেটপাড়া এলাকার অবস্থা আরও ভয়াবহ। এখানে রেলক্রসিংয়ের সড়কটির দুই পাশে এত ঢালু যে এক পাশ থেকে আরেক পাশের কোনো কিছুই দেখা যায় না। সেই সঙ্গে সড়ক থেকে রেললাইনের একেবারে কাছে না আসা পর্যন্ত ট্রেন আসছে কি না, সেটাও দেখা যায় না। গত এক মাসে এ স্থানেই ঘটেছে কমপক্ষে তিনটি দুর্ঘটনা। শরিফুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ‘এখানে মাঝেমধ্যেই দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় পথচারী আহত হয়। বেশ কয়েকবার প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া ভ্যান, সাইকেলসহ বেশ কিছু ছোটখাটো যান ট্রেনের নিচে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসব বিষয়ে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েও লাভ হয়নি।’
এসব বিষয়ে মিরপুর স্টেশন মাস্টার মীর ইসলাইল হোসেন বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আওতাবদ্ধ বা ট্রাফিকিং ব্যবস্থার মধ্যে থাকা রেলক্রসিংগুলোতে গেটসহ গেটম্যান নিয়োগ আছে। এর বাইরেও অনেক জায়গায় অরক্ষিত রেলক্রসিং আছে এবং অনেক জায়গায় নতুন সড়ক নির্মাণের কারণে নতুন নতুন ক্রসিং তৈরি হচ্ছে। তবে সেসব স্থানে রেলগেট অথবা গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছুই জানা নেই। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় কিছু এলাকায় গেটসহ গেটম্যান দেওয়া হতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী অঞ্চলের ডিআরএম-১ বীরবল মণ্ডল বলেন, ‘এ অবৈধ রেলক্রসিংয়ের জন্য যেসব সড়ক দায়ী, সেই ক্রসিংগুলো একটাও রেলের সৃষ্টি না। এগুলো সড়ক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এরপরও দ্বিপক্ষীয়ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। যেসব গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিং আছে, সেগুলোর বৈধতা দেওয়ার জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার রেললাইনের ওপর দিয়ে তৈরি হওয়া অধিকাংশ সড়কপথে নেই গেট এবং গেটম্যান। পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার অভাব ও অসচেতনতায় এসব রেলপথ এখন মরণফাঁদ। আর এসব রেলক্রসিং পারাপারের সময় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলেও এসব রেলক্রসিংয়ে গেট স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব বিষয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে হালসা এবং পোড়াদহ থেকে খোকসা পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। আর এই রেলপথে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক রেললাইনের ওপর দিয়ে চলাচলের কাজে ব্যবহৃত পাকা সড়কপথ আছে। এর মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে গেট এবং গেটম্যান থাকলেও বাকিগুলো সম্পূর্ণ অরক্ষিত। আর এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা।
সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছরের শুরুতে কুষ্টিয়ার কাঠদহচর এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি গাড়ি উঠে পড়ে অরক্ষিত রেললাইন। তখন খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয় গাড়িটিকে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই শ্রমিক। ওই স্থানে রেলক্রসিংয়ের কোনো গেট এবং গেটম্যান না থাকার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সে সময় এলাকাবাসী দুর্ঘটনাস্থলে রেলগেট স্থাপনের দাবি জানালেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
কিছু কিছু রেলক্রসিং এলাকায় চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ লিখে একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে সব দায় শেষ করে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। চলাচলে নিষেধ থাকলেও সেসব ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে পাকা সড়ক করে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। এমন একটি রেলক্রসিং মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামে। গ্রামের মানুষের শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কপথে এই রেলক্রসিংটি। বড় কোনো যান এখান দিয়ে চলাচল না করলেও নছিমন, করিমন, অটোরিকশা ও ছোট ট্রাকসহ দিনে অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এই রেলক্রসিংয়ে নেই কোনো গেট বা গেটম্যান। শুধু ‘সামনে রেলগেট, চলাচল নিষিদ্ধ’-এমন একটি ভাঙাচোরা, অস্পষ্ট সাইনবোর্ড রয়েছে।
মামুনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এ জায়গা দিয়ে আমরা প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক এটি, প্রতিদিন শত শত মানুষ এ সড়কে চলাচল করে। কিন্তু এখানে কোনো রেলগেট নেই। রাস্তার ওপর রেল কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড লিখে রেখেছে চলাচল নিষেধ, আবার সড়ক বিভাগ সেই সড়ক পাকা করে দিয়েছে চলাচলের জন্য। এটা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না।’
একই উপজেলার ধুবাইল গেটপাড়া এলাকার অবস্থা আরও ভয়াবহ। এখানে রেলক্রসিংয়ের সড়কটির দুই পাশে এত ঢালু যে এক পাশ থেকে আরেক পাশের কোনো কিছুই দেখা যায় না। সেই সঙ্গে সড়ক থেকে রেললাইনের একেবারে কাছে না আসা পর্যন্ত ট্রেন আসছে কি না, সেটাও দেখা যায় না। গত এক মাসে এ স্থানেই ঘটেছে কমপক্ষে তিনটি দুর্ঘটনা। শরিফুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ‘এখানে মাঝেমধ্যেই দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় পথচারী আহত হয়। বেশ কয়েকবার প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া ভ্যান, সাইকেলসহ বেশ কিছু ছোটখাটো যান ট্রেনের নিচে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসব বিষয়ে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েও লাভ হয়নি।’
এসব বিষয়ে মিরপুর স্টেশন মাস্টার মীর ইসলাইল হোসেন বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আওতাবদ্ধ বা ট্রাফিকিং ব্যবস্থার মধ্যে থাকা রেলক্রসিংগুলোতে গেটসহ গেটম্যান নিয়োগ আছে। এর বাইরেও অনেক জায়গায় অরক্ষিত রেলক্রসিং আছে এবং অনেক জায়গায় নতুন সড়ক নির্মাণের কারণে নতুন নতুন ক্রসিং তৈরি হচ্ছে। তবে সেসব স্থানে রেলগেট অথবা গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছুই জানা নেই। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় কিছু এলাকায় গেটসহ গেটম্যান দেওয়া হতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী অঞ্চলের ডিআরএম-১ বীরবল মণ্ডল বলেন, ‘এ অবৈধ রেলক্রসিংয়ের জন্য যেসব সড়ক দায়ী, সেই ক্রসিংগুলো একটাও রেলের সৃষ্টি না। এগুলো সড়ক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এরপরও দ্বিপক্ষীয়ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। যেসব গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিং আছে, সেগুলোর বৈধতা দেওয়ার জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫