Ajker Patrika

আসরের নামাজের গুরুত্ব

মুহাম্মদ মিশকাত
আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১০: ২৯
আসরের নামাজের গুরুত্ব

আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ কেটেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ আসরের নামাজ ফজর-জোহর এবং মাগরিব-এশার মধ্যবর্তী নামাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সকল নামাজের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮) মুফাসসিরগণ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আসরের নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো, সাধারণত এ সময় মানুষ কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে। ফলে নামাজ আদায়ে গাফিলতি হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে।

আসরের নামাজের রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ ও ফজিলত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; এক দল দিনে, এক দল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হন। এরপর তোমাদের মধ্যে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যান। তখন প্রতিপালক তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, ‘আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে?’ অবশ্য তিনি নিজেই তাঁদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। উত্তরে তাঁরা বলেন, ‘আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাজ আদায়রত অবস্থায় ছিল।’ (বুখারি)

আসরের নামাজ না পড়ার শাস্তিও করুণ। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ—সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়।’ (বুখারি)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ (বুখারি)

মুহাম্মদ মিশকাত, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত