শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রাহমানের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানের সুর পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ ও ভারতের নজরুল অনুরাগীরা। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এ আর রাহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও এর আইনগত যৌক্তিকতা কতটুকু, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। জানা গেছে, ২০২১ সালে ‘পিপ্পা’ ছবিতে ব্যবহারের জন্য কাজী নজরুলের পরিবারের কাছ থেকে গানটির স্বত্ব নেন প্রযোজক। কিন্তু স্বত্ব হস্তান্তরের চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কবির নাতনি অনিন্দিতা কাজী।
জানা গেছে, ছবির শুরুতে যাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কবির নাতি কাজী অনির্বাণ ও তাঁর মা কল্যাণী কাজীর নাম আছে। ছবিতে গানটি ব্যবহারের জন্য কল্যাণী কাজীর সঙ্গে ২০২১ সালে চুক্তি হয়েছিল নির্মাতা রয় কাপুর ফিল্মসের। সেই চুক্তির সাক্ষী ছিলেন অনির্বাণ কাজীও। যদিও এ আর রাহমানের দেওয়া সুর নিয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন কাজী অনির্বাণ নিজেও।
কাজী অনিরুদ্ধর ছেলে কাজী অনির্বাণ কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, গানটি ছবিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গানের সুর বা কথা পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনির্বাণ বলেন, ‘মা কিন্তু ওদের কাছে গানের চূড়ান্ত সংস্করণটি শুনতে চেয়েছিলেন। তখন জানতাম, মাস ছয়েকের মধ্যে ছবিটা মুক্তি পাবে। পরে দুই বছর কেটে গেল। গানটাও আর ওর শোনা হয়ে ওঠেনি।’ এরপর মহামারির কারণে রাজাকৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। গত মে মাসে প্রয়াত হন কল্যাণী কাজী। সে কথা মনে করিয়ে অনির্বাণ বললেন, ‘আমরাও তারপর বিষয়টা ভুলে যাই।’
অনিন্দিতা কাজী গত শনিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি অনিন্দিতা কাজী, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি, বর্তমানে নিউ জার্সি প্রবাসী। দাদুর “কারার ঐ লৌহকপাট” গানটির সুর বিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার-সুরকার-শিল্পী এ আর রাহমান। বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী, যাঁর বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে, নজরুলকে ঘিরে, নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন...তিনি ২০২১ সালে গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি; কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে, তিনি মৃত্যুর পরেও ভাবতে পারেননি বোধ হয়।’কাজী অনিন্দিতারও দাবি, গানটি অবিকৃত রেখেই ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই চুক্তিপত্রে ঠিক কী লেখা ছিল, তা তিনি জানেন না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অভিযোগও উঠেছে, কবি পরিবার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কাজী অনিন্দিতা লিখেছেন, ‘সে ক্ষেত্রে ২০২১ সালে কী অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছিল, সেটা জানা খুব প্রয়োজন, তাহলে সব বিতর্কের অবসান হবে। এবং যারা অ্যাগ্রিমেন্টের বিপক্ষে গিয়ে এই কাজটি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। সার্বিক স্বচ্ছতার কারণে ও পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এই অজানা বিষয়টি জানার দাবি রাখি।’
অনিন্দিতার দাবি, চুক্তিপত্রের কপি আছে অনির্বাণের কাছে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই, পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।’
কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর স্ত্রী প্রয়াত কল্যাণী কাজীর সঙ্গে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের করা চুক্তিতে কী লেখা ছিল, সেদিকেই এখন চোখ সবার। চুক্তিপত্রে কী লেখা ছিল, সে বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাইলে সাড়া দেননি কাজী অনির্বাণ। যদিও তিনি ছবিতে তাঁর এবং তাঁর মায়ের নাম ব্যবহার করতে আপত্তি জানিয়েছেন। গানটি ছবি থেকে সরাতেও বলেছেন।
কবির আরেক ছেলে কাজী সব্যসাচীর বাংলাদেশে থাকা পরিবার তাদের না জানিয়ে গানের স্বত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাজী সব্যসাচীর মেয়ে মিষ্টি কাজী বলেন, ‘আমি মিডিয়ার সুবাদে জানতে পারলাম যে কল্যাণী কাজী এই গান ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।আমরা খুবই অবাক হয়েছি, গান ব্যবহার করতে হলে পরিবারের দুটো অংশেরই জানার কথা ছিল। কল্যাণী কাজী আমার চাচি, তিনি মারা গেছেন। কিন্তু অনির্বাণ এটা কীভাবে করল? আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা অ্যাগ্রিমেন্ট দেখতে চাই।’
মেধাস্বত্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটুকু পরিবর্তন করা যায়, সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস মো. দাউদ মিয়া বলেন, কোনো প্রণেতার মেধাস্বত্ব তাঁর উত্তরাধিকারীরা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। একটি মেধাস্বত্ব ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হলে তা কতটুকু পরিবর্তন করা যায়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষের চুক্তিতে যতটুকু পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে, ব্যবহারকারী ততটুকুই পরিবর্তন করতে পারবেন।
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রাহমানের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানের সুর পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ ও ভারতের নজরুল অনুরাগীরা। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এ আর রাহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও এর আইনগত যৌক্তিকতা কতটুকু, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। জানা গেছে, ২০২১ সালে ‘পিপ্পা’ ছবিতে ব্যবহারের জন্য কাজী নজরুলের পরিবারের কাছ থেকে গানটির স্বত্ব নেন প্রযোজক। কিন্তু স্বত্ব হস্তান্তরের চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কবির নাতনি অনিন্দিতা কাজী।
জানা গেছে, ছবির শুরুতে যাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কবির নাতি কাজী অনির্বাণ ও তাঁর মা কল্যাণী কাজীর নাম আছে। ছবিতে গানটি ব্যবহারের জন্য কল্যাণী কাজীর সঙ্গে ২০২১ সালে চুক্তি হয়েছিল নির্মাতা রয় কাপুর ফিল্মসের। সেই চুক্তির সাক্ষী ছিলেন অনির্বাণ কাজীও। যদিও এ আর রাহমানের দেওয়া সুর নিয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন কাজী অনির্বাণ নিজেও।
কাজী অনিরুদ্ধর ছেলে কাজী অনির্বাণ কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, গানটি ছবিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গানের সুর বা কথা পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনির্বাণ বলেন, ‘মা কিন্তু ওদের কাছে গানের চূড়ান্ত সংস্করণটি শুনতে চেয়েছিলেন। তখন জানতাম, মাস ছয়েকের মধ্যে ছবিটা মুক্তি পাবে। পরে দুই বছর কেটে গেল। গানটাও আর ওর শোনা হয়ে ওঠেনি।’ এরপর মহামারির কারণে রাজাকৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। গত মে মাসে প্রয়াত হন কল্যাণী কাজী। সে কথা মনে করিয়ে অনির্বাণ বললেন, ‘আমরাও তারপর বিষয়টা ভুলে যাই।’
অনিন্দিতা কাজী গত শনিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি অনিন্দিতা কাজী, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি, বর্তমানে নিউ জার্সি প্রবাসী। দাদুর “কারার ঐ লৌহকপাট” গানটির সুর বিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার-সুরকার-শিল্পী এ আর রাহমান। বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী, যাঁর বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে, নজরুলকে ঘিরে, নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন...তিনি ২০২১ সালে গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি; কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে, তিনি মৃত্যুর পরেও ভাবতে পারেননি বোধ হয়।’কাজী অনিন্দিতারও দাবি, গানটি অবিকৃত রেখেই ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই চুক্তিপত্রে ঠিক কী লেখা ছিল, তা তিনি জানেন না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অভিযোগও উঠেছে, কবি পরিবার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কাজী অনিন্দিতা লিখেছেন, ‘সে ক্ষেত্রে ২০২১ সালে কী অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছিল, সেটা জানা খুব প্রয়োজন, তাহলে সব বিতর্কের অবসান হবে। এবং যারা অ্যাগ্রিমেন্টের বিপক্ষে গিয়ে এই কাজটি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। সার্বিক স্বচ্ছতার কারণে ও পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এই অজানা বিষয়টি জানার দাবি রাখি।’
অনিন্দিতার দাবি, চুক্তিপত্রের কপি আছে অনির্বাণের কাছে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই, পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।’
কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর স্ত্রী প্রয়াত কল্যাণী কাজীর সঙ্গে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের করা চুক্তিতে কী লেখা ছিল, সেদিকেই এখন চোখ সবার। চুক্তিপত্রে কী লেখা ছিল, সে বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাইলে সাড়া দেননি কাজী অনির্বাণ। যদিও তিনি ছবিতে তাঁর এবং তাঁর মায়ের নাম ব্যবহার করতে আপত্তি জানিয়েছেন। গানটি ছবি থেকে সরাতেও বলেছেন।
কবির আরেক ছেলে কাজী সব্যসাচীর বাংলাদেশে থাকা পরিবার তাদের না জানিয়ে গানের স্বত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাজী সব্যসাচীর মেয়ে মিষ্টি কাজী বলেন, ‘আমি মিডিয়ার সুবাদে জানতে পারলাম যে কল্যাণী কাজী এই গান ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।আমরা খুবই অবাক হয়েছি, গান ব্যবহার করতে হলে পরিবারের দুটো অংশেরই জানার কথা ছিল। কল্যাণী কাজী আমার চাচি, তিনি মারা গেছেন। কিন্তু অনির্বাণ এটা কীভাবে করল? আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা অ্যাগ্রিমেন্ট দেখতে চাই।’
মেধাস্বত্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটুকু পরিবর্তন করা যায়, সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস মো. দাউদ মিয়া বলেন, কোনো প্রণেতার মেধাস্বত্ব তাঁর উত্তরাধিকারীরা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। একটি মেধাস্বত্ব ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হলে তা কতটুকু পরিবর্তন করা যায়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষের চুক্তিতে যতটুকু পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে, ব্যবহারকারী ততটুকুই পরিবর্তন করতে পারবেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫