Ajker Patrika

জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘দক্ষিণভাগ গণগ্রন্থাগার’

এ. জে লাভলু, বড়লেখা
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৪: ০৬
জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘দক্ষিণভাগ গণগ্রন্থাগার’

ছোট একটি কক্ষ। ভেতরে তাকে তাকে সাজানো বিভিন্ন ধরনের বই। কক্ষের একপাশে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে পুরোনো টাকার পাশাপাশি গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় জিনিসপত্র। সম্প্রতি কয়েকজন বইপ্রেমী যুবক ‘দক্ষিণভাগ গণগ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালাটি’ চালু করেছেন। এটির অবস্থান মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে।

গ্রন্থাগারটি চালুর পর থেকেই প্রতিদিন কমবেশি বইপ্রেমী আসেন। পছন্দমতো বই পড়েন। পাশাপাশি সেখানে স্থানীয় লেখক-কবিরাও বই পড়তে আসেন। বর্তমানে গণগ্রন্থাগারটিতে দেশি-বিদেশি ৪৫০টি বই আছে। এর মধ্যে ৫০টি বই স্থানীয় কবি-লেখকেরা উপহার হিসেবে দিয়েছেন।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গণগ্রন্থাগারটিতে শিগগিরই বিভিন্ন ধরনের আরও ৫০০ বই তোলা হবে। এটির সাজসজ্জা ও বই কেনায় এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি বছরের ৫ মে দক্ষিণভাগ গণগ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালাটি চালু করা হয়।

গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে বসে কয়েকজন পাঠক বই পড়ছেন। তাকে সাজানো রয়েছে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, মুক্তিযুদ্ধ, আইন ও বিচার, ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, কবিতা, সাহিত্যসহ শিশুতোষ বইয়ের পাশাপাশি স্থানীয় লেখকের বই। একপাশে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে পুরোনো টাকার নোট ও কয়েন। আরও রয়েছে হারিকেন, কুপি, মোবাইল ফোন, খড়ম (কাঠের জুতা)।

এ সময় কথা হয় শিক্ষক তারেক আহমেদ ও স্থানীয় লেখক জাকির মাছুমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, গ্রন্থাগারটি চালু হওয়ায় বই পড়ার একটি স্থান হয়েছে। চালুর পর এখানে নজরুলজয়ন্তী উদ্‌যাপন করা হয়েছে।’

তাঁরা আরও জানান, মানুষ এখন বই পড়তে চায় না। ছোট-বড় সবাই এখন মোবাইল ফোনে আসক্ত। গ্রন্থাগারটি এলাকার মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।

গ্রন্থাগারটির উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। পাঠক বাড়লে সকাল থেকে খোলা হবে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক আসছেন। আমরা শিগগিরই আরও ৫০০ নতুন বই আনব। তখন যাঁরা বাড়িতে নিয়ে পড়তে চাইবেন, তাঁদেরও বই দেওয়া হবে।’

গ্রন্থাগারটির মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মূলত মানুষকে বইমুখী করতে গণগ্রন্থাগারটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। পাঠকের সুবিধা বিবেচনা করে বিনা মূল্যে বই সংগ্রহ ও বসে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে গ্রাম-বাংলা থেকে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলো আমরা সংগ্রহ করে রাখছি। যাতে নতুন প্রজন্মের অনেকে সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। ধীরে ধীরে পাঠক বাড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত