Ajker Patrika

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২২
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত সোমবার রাতে শিশুটির পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রয়্যাল হাসপাতালের পরিচালক আসগার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী শিশুর নাম মো. সিফাত (৭)। সে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ এলাকার রাকিবুর রহমানের ছেলে। রাকিবুর ফুটপাতে খাবার বিক্রি করেন।

রয়্যাল হাসপাতালে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে গত সোমবার বিকেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর আগে সিফাতের চাচা মশিউর রহমান শিশুটিকে কোলে নিয়ে রয়্যাল হাসপাতাল থেকে বের হন। এ সময় আরেকজন ফেসবুকে লাইভ ভিডিও শেয়ার করেন। তাঁরা শিশুটির করুণ পরিণতি ভিডিওতে দেখান এবং এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির পুরো শরীরে পুড়ে যাওয়ার মতো ফোসকা পড়েছে।

মশিউর রহমান বলেন, সিফাতের খিঁচুনি আছে। গত ৪ জানুয়ারি তাকে রয়্যাল হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ আসগার হোসেনকে দেখানো হয়। পরে তাঁর কথামতো সেখানেই ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। বাড়ি নিয়ে গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর পর শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হয়। পুরো শরীরে ফোসকা পড়ে যায়। মুখ-ঠোঁটও বাদ যায়নি।

এতে শিশুটির খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় রক্তবমি। পরে গত রোববার আবারও শিশুটিকে রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আসগার হোসেন দিনে মাত্র একবার রোগী দেখতে যেতেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা রোগীকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। আর ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় তাঁরা থানায় অভিযোগ করেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক আসগার হোসেন বলেন, ‘ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতেই পারে। এটাও তাই।’ ভুল চিকিৎসা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘রোগীর স্বজনেরা খুব বেপরোয়া। তাঁরা হাসপাতালের বিলটা পর্যন্ত না দিয়ে চলে গেছেন। তাই আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে শিশুর চাচা মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রথমবার ভর্তি থাকার সময় সাত দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিল নিয়েছেন। এবার বিলও চাননি। রোগী আনার সময় পরিস্থিতি কী, সেটা সবাইকে জানিয়ে রাখার জন্যই ফেসবুকে লাইভ করা হয়েছে।’

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের দুটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত