Ajker Patrika

চারঘাটে রোগীদের ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা হয় না

সনি আজাদ, চারঘাট 
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ০০
চারঘাটে রোগীদের ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা হয় না

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। অথচ কলেরায় আক্রান্ত রোগী, অসুস্থ বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসায় এ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতিকুল হক বলেন, ইলেকট্রোলাইট মানবদেহের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যাবলি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব জরুরি। সাধারণত রক্ত নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ইলেকট্রোলাইট দেখা হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলাজুড়ে শীতের শুরু থেকেই ডায়রিয়া ও কলেরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। রোগীদের অধিকাংশ শিশু ও বয়স্ক। গত এক মাসে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া ও কলেরায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।

উপজেলার রাওথা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলের ডায়রিয়া হয়েছিল। ডাক্তার বললেন, ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করাতে হবে। রাজশাহীতে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক ৩৫ কিলোমিটার দূরের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হলো। উপজেলা পর্যায়ে এই পরীক্ষা চালু থাকলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নিতে পারতাম। খরচ ও সময়—দুটিই বাঁচত।’

উপজেলা বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে শুধু মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তারা নমুনা নিয়ে শহর থেকে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শহীদুল ইসলাম রবিন বলেন, ‘কলেরা রোগীর চিকিৎসায় ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে এটির ব্যবস্থা নেই। থাকলে রোগীদের আরও ভালো চিকিৎসা দেওয়া যেত। প্রাথমিকভাবে রোগীকে স্যালাইনসহ ওষুধ দিলে ভালো হয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত