সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
গত বছরের জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির বৈঠকে ফতুল্লা থেকে উৎপাদিত বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলা ও ডাম্পিংয়ের জন্য খালি জমি খোঁজার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার ৭ মাসেও কোনো জমি খুঁজে পাননি জনপ্রতিনিধিরা। ফলে আসন্ন বর্ষায় আবারও ডুবতে পারে ফতুল্লার বিস্তীর্ণ জনপদ। প্রতিবারের মতো এবারও নাকানিচুবানি খেতে পারেন ডিএনডির বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লাখো মানুষের বসবাস হলেও এই এলাকার বাসিন্দাদের নির্ধারিত কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান নেই। ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের পাশেই ময়লা ফেলা হচ্ছিল বছরের পর বছর। আর সেই বর্জ্য আগুনে পুড়িয়ে কমানো ছাড়া ভিন্ন কোনো পথও ছিল না। প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে বর্জ্য ডাম্পিং করায় সমালোচনাও হয়েছে অনেক। এমন পরিস্থিতিতে বর্জ্য ফেলা নিয়ে নানান সময় নানা কর্মকাণ্ডও হয়েছে এই শহরে।
জালকুড়িতে ময়লা ফেলা নিয়ে সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে সিটি করপোরেশন আলআমিন নগর এলাকায় তাদের বর্জ্য ডাম্পিং করে থাকে। জালকুড়িতে বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে সেখানেই হবে মূল বর্জ্য ডাম্পিং কেন্দ্র। তবে কয়েক যুগ ধরে ফতুল্লা অঞ্চলের বর্জ্য কোথায় যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে স্বাভাবিকভাবে। আর তার সহজ উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ডাম্পিং আর ভাড়া কোনো স্থান নিয়ে সেই জায়গা ভরাট করা।
গত জলাবদ্ধতা নিরসন বৈঠকে ডিএনডি নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, একাধিক খাল উদ্ধার, নালা পরিষ্কার করা হলেও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে সেগুলো দ্রুতই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো পরিকল্পনা করা না হয়, তাহলে এই খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার করেও খুব একটা লাভ হবে না। একদিকে শক্তিশালী পাম্প চলবে, অন্যদিকে বর্জ্যের কারণে এলাকাগুলোতে আটকে থাকবে পানি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গত বছরের জুলাইয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন বলেছিলেন, ‘আমাদের এলাকার ময়লা কয়েকটা এনজিও সংগ্রহ করে। এরা কোথায় ময়লা ফেলে, তা আমার জানা নেই। তারা বিভিন্ন জায়গা নির্ধারণ নিয়ে সেখানে ময়লা ফালায়। কিছুদিন ভূইগড় এলাকায় আবার কিছুদিন স্টেশন এলাকায় ময়লা ফেলেছে শুনেছি। এখন শুনলাম কোনো গার্মেন্টস মালিক তাঁর জায়গা ভরাট করার জন্য ময়লা ফেলতে বলেছে। কিছুদিন ধরে তো ময়লাও নিচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসন থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত ডাম্পিং জোন প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। সেটা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।’
সেই বক্তব্যের ৭ মাস পর ডাম্পিং জোনের প্রস্তাব কত দূর এগোল, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন বলেন, ‘ফতুল্লার বাংলাদেশ খাদ এলাকায় ময়লা ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আগের ইউএনওর কাছে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। তবে তিনি চলে যাওয়ায় নতুন ইউএনওকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। তিনি বলেছেন, পুনরায় লিখিত চিঠি দিলে সেখানে বর্জ্য ফেলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আবারও চিঠি দেওয়া হবে।’
একইভাবে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু তাঁর এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গত বছরের জুলাইয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের এলাকায় কয়েকটি এনজিওর মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। আগে এসব বর্জ্য লিংক রোডের পাশে ফেলা হতো। এখন তো সেখানে বর্জ্য ফেলা নিষেধ। এখন কোথায় ফেলে, তা আমার জানা নেই। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফতুল্লার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং জোন নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেটি হলে আমাদের এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুর্ভোগ থাকবে না। মূলত এলাকার মানুষ বর্জ্য ঠিকমতো ফেলতে না পারায় সেগুলো খালে-বিলে পতিত হয়ে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়।’
সেই বক্তব্যের ৭ মাস পর ডাম্পিং জোনের প্রস্তাব কত দূর এগোল, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো জায়গা খুঁজে পাইনি। আসলে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব করার মতো কোনো সরকারি জায়গাই নেই। ফলে আমাদের এখনো খোঁজ চলছে।’
জেলা প্রশাসনের এই প্রস্তাবের পর ফতুল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত বাংলাদেশ খাদ এবং কুতুবপুরের অন্তর্গত জালকুড়ি এলাকায় একটি জায়গার কথা প্রস্তাব আকারে বলেছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন। তবে সেই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসক পর্যন্ত না যাওয়ায় অন্ধকারেই রয়ে গেছে ফতুল্লার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভাবনা। এতে করে আগামী বর্ষাতেও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির বৈঠকে ফতুল্লা থেকে উৎপাদিত বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলা ও ডাম্পিংয়ের জন্য খালি জমি খোঁজার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার ৭ মাসেও কোনো জমি খুঁজে পাননি জনপ্রতিনিধিরা। ফলে আসন্ন বর্ষায় আবারও ডুবতে পারে ফতুল্লার বিস্তীর্ণ জনপদ। প্রতিবারের মতো এবারও নাকানিচুবানি খেতে পারেন ডিএনডির বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লাখো মানুষের বসবাস হলেও এই এলাকার বাসিন্দাদের নির্ধারিত কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান নেই। ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের পাশেই ময়লা ফেলা হচ্ছিল বছরের পর বছর। আর সেই বর্জ্য আগুনে পুড়িয়ে কমানো ছাড়া ভিন্ন কোনো পথও ছিল না। প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে বর্জ্য ডাম্পিং করায় সমালোচনাও হয়েছে অনেক। এমন পরিস্থিতিতে বর্জ্য ফেলা নিয়ে নানান সময় নানা কর্মকাণ্ডও হয়েছে এই শহরে।
জালকুড়িতে ময়লা ফেলা নিয়ে সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে সিটি করপোরেশন আলআমিন নগর এলাকায় তাদের বর্জ্য ডাম্পিং করে থাকে। জালকুড়িতে বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে সেখানেই হবে মূল বর্জ্য ডাম্পিং কেন্দ্র। তবে কয়েক যুগ ধরে ফতুল্লা অঞ্চলের বর্জ্য কোথায় যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে স্বাভাবিকভাবে। আর তার সহজ উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ডাম্পিং আর ভাড়া কোনো স্থান নিয়ে সেই জায়গা ভরাট করা।
গত জলাবদ্ধতা নিরসন বৈঠকে ডিএনডি নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, একাধিক খাল উদ্ধার, নালা পরিষ্কার করা হলেও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে সেগুলো দ্রুতই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো পরিকল্পনা করা না হয়, তাহলে এই খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার করেও খুব একটা লাভ হবে না। একদিকে শক্তিশালী পাম্প চলবে, অন্যদিকে বর্জ্যের কারণে এলাকাগুলোতে আটকে থাকবে পানি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গত বছরের জুলাইয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন বলেছিলেন, ‘আমাদের এলাকার ময়লা কয়েকটা এনজিও সংগ্রহ করে। এরা কোথায় ময়লা ফেলে, তা আমার জানা নেই। তারা বিভিন্ন জায়গা নির্ধারণ নিয়ে সেখানে ময়লা ফালায়। কিছুদিন ভূইগড় এলাকায় আবার কিছুদিন স্টেশন এলাকায় ময়লা ফেলেছে শুনেছি। এখন শুনলাম কোনো গার্মেন্টস মালিক তাঁর জায়গা ভরাট করার জন্য ময়লা ফেলতে বলেছে। কিছুদিন ধরে তো ময়লাও নিচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসন থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত ডাম্পিং জোন প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। সেটা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।’
সেই বক্তব্যের ৭ মাস পর ডাম্পিং জোনের প্রস্তাব কত দূর এগোল, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন বলেন, ‘ফতুল্লার বাংলাদেশ খাদ এলাকায় ময়লা ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আগের ইউএনওর কাছে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। তবে তিনি চলে যাওয়ায় নতুন ইউএনওকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। তিনি বলেছেন, পুনরায় লিখিত চিঠি দিলে সেখানে বর্জ্য ফেলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আবারও চিঠি দেওয়া হবে।’
একইভাবে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু তাঁর এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গত বছরের জুলাইয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের এলাকায় কয়েকটি এনজিওর মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। আগে এসব বর্জ্য লিংক রোডের পাশে ফেলা হতো। এখন তো সেখানে বর্জ্য ফেলা নিষেধ। এখন কোথায় ফেলে, তা আমার জানা নেই। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফতুল্লার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং জোন নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেটি হলে আমাদের এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুর্ভোগ থাকবে না। মূলত এলাকার মানুষ বর্জ্য ঠিকমতো ফেলতে না পারায় সেগুলো খালে-বিলে পতিত হয়ে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়।’
সেই বক্তব্যের ৭ মাস পর ডাম্পিং জোনের প্রস্তাব কত দূর এগোল, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো জায়গা খুঁজে পাইনি। আসলে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব করার মতো কোনো সরকারি জায়গাই নেই। ফলে আমাদের এখনো খোঁজ চলছে।’
জেলা প্রশাসনের এই প্রস্তাবের পর ফতুল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত বাংলাদেশ খাদ এবং কুতুবপুরের অন্তর্গত জালকুড়ি এলাকায় একটি জায়গার কথা প্রস্তাব আকারে বলেছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুতফর রহমান স্বপন। তবে সেই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসক পর্যন্ত না যাওয়ায় অন্ধকারেই রয়ে গেছে ফতুল্লার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভাবনা। এতে করে আগামী বর্ষাতেও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২১ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫