Ajker Patrika

অ্যাসিড ব্যবহার বন্ধে অভিযান

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৪: ১৮
Thumbnail image

বদরগঞ্জে অবৈধভাবে অ্যাসিড ব্যবহার করা দুটি স্বর্ণের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন পৌর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল। তিনি গত শনিবার স্টেশন রোডে অভিযান চালিয়ে এ পদক্ষেপ নেন।

প্রতিষ্ঠান দুটি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ গলাতে এবং অলংকার পলিশ-বার্নিশ করতে লাইসেন্স ছাড়াই অ্যাসিড ব্যবহার করছিল। এ নিয়ে ১৮ মার্চ আজকের পত্রিকায় ‘অ্যাসিডের যত্রতত্র ব্যবহার, শ্বাসকষ্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মেয়র এ ব্যবস্থা নেন। তবে শহরের মিতা হল এলাকায় আরও একটি দোকানে অবৈধভাবে অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্টেশন এলাকার বাসিন্দা মাহবুবার রহমান বলেন, ‘মিতা হল এলাকায় যে কারখানায় অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছে সেখান থেকে ৩০০ গজের মধ্যে চারটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি সরকারি দপ্তর রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে সেই কারখানাটি আগে বন্ধ করার দরকার ছিল। অথচ শুধু মেয়র তাঁর বাড়ির পাশে অ্যাসিড ব্যবহারের দুটি অবৈধ কারখানা বন্ধ করলেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বদরগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভুগছে। ধারণা করা হচ্ছে অ্যাসিড ব্যবহারের কারণে তাদের এ সমস্যা হচ্ছে।

উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জে প্রায় ৬০টি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে রয়েছে ৩৯টি। এসব দোকানের মধ্যে অ্যাসিড ব্যবহারের লাইসেন্স রয়েছে শুধু মিন্নি জুয়েলার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।

স্বর্ণের দোকানে অ্যাসিড ব্যবহার করতে হলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর সেখান থেকে তদন্ত হয়। তারপর লাইসেন্স পাওয়া যায়। এমন নিয়মের মধ্যে বদরগঞ্জে একজন লাইসেন্স পেয়েছেন। প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নে সরকার পায় ৭ হাজার টাকা। মাত্র একজন এই নিয়মের মধ্যে ব্যবসা করলেও অন্যরা করছেন অবৈধভাবে।

তবে এসব জুয়েলার্স মালিকদের পৌরসভা থেকে কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি বলে বর্তমান মেয়র আহসানুল দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘১৩ মাস আগে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছি। আগের মেয়র কিছু ট্রেড লাইসেন্স দিলেও আমি কাউকে দেইনি।’

দোকান বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে অ্যাসিড ব্যবহারের কারখানা থাকায় আমার সন্তানেরাও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবৈধ দুই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। মিতা হল এলাকায় অ্যাসিড ব্যবহারের কারখানা আছে, এটা আমার জানা ছিল না। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মনছার আলী বলেন, ‘অ্যাসিড ব্যবহারে এখন লাইসেন্স দিচ্ছে না। এ কারণে অনেক ঘুরেও লাইসেন্স পাইনি। যেকোনো কারখানায় গিয়ে স্বর্ণালংকার পলিশ-বার্নিশ করছি। আমার মতো অন্যরাও লাইসেন্স না পেয়ে অন্যের কারখানায় পলিশ-বার্নিশ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত